Soil forming process and factors
Soil forming process and factors
পরিবর্তন হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক ভূগোলের সিলেবাস । নতুন সিলেবাস অনুযায়ী সমগ্র উচ্চ মাধ্যমিক ভূগোলকে চারটি সেমিস্টারে বিভক্ত করা হয়েছে, যেখানে একাদশ শ্রেণীতে দুটি এবং দ্বাদশ শ্রেণীতে দুটি সেমিস্টার অন্তর্ভুক্ত । উচ্চ মাধ্যমিক ভূগোলের নতুন সিলেবাসের ভিত্তিতে ভূগোলের সেমিস্টার ভিত্তিক বিষয়বস্তুকে আলোচনা করার জন্য আমরা একাদশ ভূগোল নির্যাস : দ্বিতীয় সেমিস্টার বিভাগের সূচনা করি । এই বিভাগে এখন আমরা আলোচনা করবো একাদশ শ্রেণীর দ্বিতীয় সেমিস্টারের Physical Geography এর Unit-II এর Geomorphic Process অধ্যায় এর অন্তর্ভুক্ত টপিক Soil forming process and factors সম্পর্কিত প্রথম অংশ । সমগ্র অধ্যায়টি বেশ কয়েকটি পর্বে শেষ হবে, তাই পরবর্তী পর্বটি পড়ার জন্য Next Part এ ক্লিক করো । তাহলে আর অপেক্ষা না করে চলো আমরা মূল বিষয়ে প্রবেশ করি ➦
মৃত্তিকা সৃষ্টির প্রক্রিয়া ও উপাদান (প্রথম অংশ)
☛ মৃত্তিকা : সাধারণ অর্থে ভূপৃষ্ঠের উপরের নরম আবরণের নাম মাটি । মৃত্তিকা বিজ্ঞানী জফির মতে ‘মাটি হচ্ছে একটি প্রকৃতি জাত বস্তু যা খনিজ ও জৈব পদার্থের সমন্বয়ে বিভিন্ন গভীরতা বিশিষ্ট স্তর বিন্যাসে গঠিত এবং যা আদি বস্তুর দৈহিক, ভৌতিক, রাসায়নিক ও জৈবিক ধর্মে স্বতন্ত্র ।’ রমনের মতে ‘মাটি হল পৃথিবী পৃষ্ঠের অবিরত ক্ষয়শীল একটি স্তর ।’ রুশ নাগরিক মৃত্তিকা বিজ্ঞানের জনক ভি. ভি. ডকুচেভ (1893) এর মতে- “মাটি হল ভূপৃষ্ঠের ওপর স্বাধীন, উপবায়বীয়, বিবর্তনমূলক প্রাকৃতিক বস্তু যা একটি সময় কালে শিলার আবহবিকার ও জৈব পদার্থ উৎপন্ন হয়”। অর্থাৎ, সুদীর্ঘকাল ধরে আবহবিকারজাত শিলাচুর্ণ, খনিজ পদার্থ ও জৈব পদার্থ যুক্ত ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম বিশিষ্ট ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগে আলগা ও পাতলা স্তরকে মৃত্তিকা বলা হয়।
➦ মৃত্তিকার ইংরেজি প্রতিশব্দ ‘Soil’ শব্দটির উৎপত্তি ল্যাটিন শব্দ ‘Solum’ (সোলাম) থেকে এসেছে। যার অর্থ হল ‘Floor বা মেঝে’ বা ভূমি’।
☛ বৈশিষ্ট্যঃ মৃত্তিকার সাধারণ বৈশিষ্ট্যগুলি হলঃ i. এটি ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগের পাতলা ও ভঙ্গুর স্তর। ii. মৃত্তিকা নানান খনিজ ও জৈব পদার্থ দ্বারা গঠিত। iii. মৃত্তিকা সৃষ্টির প্রাথমিক ধাপ হল রেগোলিথ। iv. পডসল, ল্যাটেরাইট, চারনোজেম হল মৃত্তিকার কয়েকটি উদাহরণ।
☛ মৃত্তিকার উৎপত্তি : মৃত্তিকার উৎপত্তি প্রধানত তিনটি পদ্ধতিতে হয়ে থাকে, যথাঃ
A. শিলা স্তরের আবহবিকারের (তাপ ও শৈত্য জনিত প্রসারণ, শল্কমোচন, হাইড্রেশন, হাইড্রোলিসিস, কার্বনেশন, অক্সিডেশন) মাধ্যমে শিলা খণ্ড চূর্ণবিচূর্ণ হয় ; B. এলুভিয়েশন প্রক্রিয়ায় ঐ শিলাখণ্ডের খনিজ ও জৈব কণা ভৌত ও রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় চলাচল করে; এবং C. ইলুভিয়েশন প্রক্রিয়ায় ঐ সব শিলা উপাদান মাটি পরিলেখের B স্তরে জমা হয় এবং মাটির উত্পত্তি ঘটায় ।
☛ মৃত্তিকা সৃষ্টির প্রাথমিক প্রভাবক : ভূপৃষ্ঠের সকল মাটি সৃষ্টির পিছনে কয়েকটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া ভূমিকা নেয়, যেমন : i. সংযোজন :– মাটিতে জল, জৈব পদার্থ, খনিজ পদার্থ, সূর্য তাপ সংযোজিত হয় । ii. অপসারণ :- জল বাষ্পীভূত হয় এবং জৈব পদার্থের অপসারণ ঘটে । iii. রূপান্তর :– মাটি মধ্যস্থ খনিজ ও জৈব পদার্থের ভৌত ও রাসায়নিক রূপান্তর ঘটে । iv. চলন বর্জন :- মাটিতে জল চুঁইয়ে নীচে প্রবেশের সময় দ্রাব্য পদার্থ কাদা, জৈব পদার্থ ও জল যুক্ত অক্সাইড নীচের স্তরে স্থানান্তরিত হয় ।
☛ মৃত্তিকা সৃষ্টির প্রভাবক : বিভিন্ন জটিল পরিবেশগত নিয়ন্ত্রকের মধ্য দিয়ে মৃত্তিকার সৃষ্টি হয়। এক্ষেত্রে বিভিন্ন মৃত্তিকা বিজ্ঞানী নানান ধারণা প্রকাশ করেছেন যা নিম্নে আলোচনা করা হলো।
(1) ডকুচেভের নিয়ন্ত্রকঃ মৃত্তিকা বিজ্ঞানের জনক রুশ মৃৎ বিজ্ঞানী ভি. ভি. ডকুচেভ (1954) স্তেপ তৃণভূমিতে গবেষণার মধ্য দিয়ে একটি সমীকরণ প্রকাশ করেন। যথা-S= f(cl,o,p,t) যেখানে, S= Soil (মাটি), f=Factors (নিয়ন্ত্রক), Cl= Climate (জলবায়ু), O=Organism (জীবকূল, P= Parent Rock (জনক শিলা), এবং t=Time (সময়)। (2) জেনির নিয়ন্ত্রকঃ মার্কিন মৃত্তিকা বিজ্ঞানী এইচ. জেনি (1958) মাটি গঠনের কয়েকটি উপকরণ দিয়েছেন। যথা- S=f (cl,o,r,p,t) যেখানে, তিনি r অর্থাৎ, Relief (ভূপ্রকৃতি) কে সংযুক্ত করেছেন। (3) জোফির নিয়ন্ত্রকঃ রুশ মৃত্তিকাবিজ্ঞানী জে. এস. জফি (1965) কার্যকারিতার ভিত্তিতে কয়েকটি উপাদানের উল্লেখ করেছেন। যথা- সক্রিয় কারণ (Active Factors)– জলবায়ু, জীবজগৎ, এবং নিষ্ক্রিয় কারণ (Passive Factors)- জনক শিলা, ভূপ্রকৃতি এবং সময়।
➦ স্বাভাবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে মৃত্তিকা সৃষ্টির প্রভাবকগুলিকে প্রধান দুইটি গোত্রে বিভক্ত করা যায়, যথাঃ প্রত্যক্ষ প্রভাবক ও পরোক্ষ প্রভাবক। মৃত্তিকা সৃষ্টির সক্রিয় বা প্রত্যক্ষ প্রভাবকগুলি হলঃ A. জলবায়ু :- i. উষ্ণতার প্রভাব ; ii. আর্দ্রতার প্রভাব; iii. বায়ু প্রবাহের প্রভাব; এবং B. জীবজগত :- i. উদ্ভিদের প্রভাব ও ii. প্রাণীর প্রভাব
অন্যদিকে মৃত্তিকা সৃষ্টির পরোক্ষ সক্রিয় প্রভাবকগুলি হলঃ A. জনক শিলা; B. ভূমিরূপ; C. সময় ইত্যাদি ।
একাদশ শ্রেণীর দুটি সেমিস্টারের In Details আলোচনা রয়েছে ইবুক দুটিতে 📥
♦️ইবুক : উচ্চ মাধ্যমিক ভূগোল নির্যাস : একাদশ, প্রথম সেমিস্টার
♦️ইবুক : উচ্চ মাধ্যমিক ভূগোল নির্যাস : একাদশ, দ্বিতীয় সেমিস্টার)
☛ মৃত্তিকা সৃষ্টিতে জলবায়ুর ভূমিকা : মৃত্তিকা সৃষ্টিতে জলবায়ুর প্রভাব অন্যতম । বিভিন্ন ধরনের অধঃক্ষেপণ যেমন মৃত্তিকার আর্দ্রতা সৃষ্টি করে তেমনি উষ্ণতা আবার মৃত্তিকাকে শুষ্কও করে । এই উত্তাপ ও অধঃক্ষেপনের উপর শিলার যান্ত্রিক ও রাসায়নিক আবহবিকার প্রভাবিত হয় । মাটির আর্দ্রতা যেমন N2, C, H2, এর বিনিময় ক্ষমতা বৃদ্ধি করে তেমনি তাপমাত্রা মাটির জৈবপদার্থের বিশ্লেষণ ক্ষমতা ও জীবাণুর কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে মাটি গঠনে সাহায্য করে । এই উপাদানগুলি জল ও তাপ জোগানের মাধ্যমে আববিকারের ফলে রেগোলিথ সৃষ্টিতে সাহায্য করে। নিম্নে বৃষ্টিপাত ও উষ্ণতার প্রভাবগুলি আলোচনা করা হলো।
(A) বৃষ্টিপাতের প্রভাবঃ (i. বৃষ্টিপাত বেশি হলে জীবানুদের ক্রিয়াকলাপ বৃদ্ধি পায় এবং এই সকল অঞ্চলে উদ্ভিদের ঘনত্ব বেশি হয়। (ii. বৃষ্টির পরিমান বাষ্পিভবনের চেয়ে বেশি হলে ধৌত প্রক্রিয়ায় মাটির খনিজ পদার্থ অপসারিত হয়ে লোহা ও অ্যালুমিনিয়াম সচিত হাকে ফলে অম্লধর্মী পেডালফার মৃত্তিকা সৃষ্টি করে। (iii. শুষ্ক অঞ্চলে বাষ্পীভবনের পরিমান বেশি থাকার ফলে ক্ষারধর্মী মৃত্তিকা সৃষ্টি করে। যেমন- সিরোজেম মৃত্তিকা। (iv. বৃষ্টিপাত বেশি হলে মাটিতে হাইড্রোজেন আয়নের পরিমান বৃদ্ধি পায় এবং মাটির Ph হ্রাস পায়, ফলে মাটি অম্লধর্মী হয়। (v. কম বৃষ্টিপাত যুক্ত অঞ্চলে মাটির স্তরায়ন সুস্পষ্ট হয় না। (vi. আর্দ্র অঞ্চলে যান্ত্রিক ও রাসায়নিক আবহবিকার বেশি কার্যকর হয় ফলে মাটিতে কাদার পরিমান বৃদ্ধি পায়।
(B) উষ্ণতার প্রভাবঃ (i. বিজ্ঞানী ভ্যান্ট হফ্ (1884) এর মতে প্রতি 10°c উষ্ণতা বৃদ্ধিতে রাসায়নিক বিক্রিয়ার হার দ্বিগুণ হয়। ফলে মাটি সৃষ্টির হার বৃদ্ধি পায় এবং পরিলেখ পরিনতি লাভ পায়। (ii. উষ্ণ ও আর্দ্র অঞ্চলে রাসায়নিক আবহবিকার হার বেশি হওয়ার রেগোলিথে স্তর গভীর হয়। (iii. তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে মাটিতে জৈব পদার্থ ও নাইট্রোজেনের পরিমান বৃদ্ধি পায়। (iv. অধিক উষ্ণতায় আবহবিকারের হার বেশি ফলে মাটিতে কেওলিনাইট (কাদা) এর পরিমান বেশি থাকে। (v. আর্দ্র ক্রান্তীয় অঞ্চলে উষ্ণতা বেশি হলে সিলিকা সেস্ক্যুওক্সাইডের পরিমান কমে যায়।
(C) বায়ু প্রবাহের প্রভাবঃ বায়ু প্রবাহ বাষ্পীভবনে সহায়তা করে এবং বায়ুপ্রবাহের ফলে মৃত্তিকার ওপরের স্তরের কণা বাহিত হয়ে এক বৈচিত্র্যপূর্ণ মৃত্তিকা সৃষ্টি করে। যেমন হোয়াংহো নদীর তীরে লোয়েস মাটি।
ভ্যান্ট হফ এর সূত্র : মৃত্তিকা সৃষ্টিতে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সক্রিয় নিয়ন্ত্রক হল তাপমাত্রা । বিজ্ঞানী ভ্যান্ট হফ 1884 সালে বলেন প্রতি 10 ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে রাসায়নিক বিক্রিয়ার হার প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পায় । এই সূত্রকেই বলা হয় ভ্যান্ট হফের সূত্র ।
➦ উদাহরণ : এই তাপমাত্রার পার্থক্যের জন্যই শীতল তূন্দ্রা অঞ্চলের তুলনায় উষ্ণ ক্রান্তীয় অঞ্চলে মৃত্তিকা সৃষ্টির হার কয়েকগুণ বেশী।
☛ মৃত্তিকা সৃষ্টিতে জীবজগতের ভূমিকা : উদ্ভিদ ও জীবজগতের সক্রিয় ভূমিকা মৃত্তিকা সৃষ্টির অন্যতম জৈব ভিত্তি । যেমন :-i. প্রেইরী ও স্টেপ বনভূমি অঞ্চলের জৈব পদার্থ চার্ণোজেম ; ii. উদ্ভিদের বর্জ্য পদার্থ থেকে হিউমাস সমৃদ্ধ মাটি ; iii. সরলবর্গীয় বৃক্ষ অঞ্চলে আম্লিক পডজল মৃত্তিকার সৃস্টি হয় । iv. মাটিতে বসবাসকারী কেঁচো, পিঁপড়ে, উই ইত্যাদি প্রাণী বিভিন্ন যান্ত্রিক ও রাসায়নিক ক্রিয়াকলাপে মৃত্তিকার গ্রথন ও রাসায়নিক গঠনে পরিবর্তন আনে । v. ব্যাকটেরিয়া, প্রটোজোয়া প্রভৃতি আণুবীক্ষণিক জীব গোষ্ঠী জৈব পদার্থ গঠণ, হিউমাস গঠণ, জারণ-বিজারণের মাধ্যমে মাটি গঠনে সাহায্য করে ।
☛ মাটি গঠনে মানুষের প্রভাব : মৃত্তিকার ক্রম বিকাশে মানুষের ভূমিকা খুব বৈচিত্রময়; কারণ মানুষ যেমন একদিকে অবাধে জমি কর্ষণ প্রচুর বনভূমি ধ্বংশ ইত্যাদি নেতিবাচক কাজ দ্বারা মাটির গুনগুন পাল্টে দেয় তেমনি অন্যদিকে বিজ্ঞান সম্মত উপায়ে মাটির পরিচর্যা, শস্যাবর্তন, ধাপ চাষ ও ঝুম চাষ নিয়ন্ত্রণ জনিত ইতিবাচক পদক্ষেপ দ্বারা মাটির পুনর্গঠনে ভূমিকা নেয় । যেমন – অনুন্নত আফ্রিকার টোগা, সোমালিয়া ইত্যাদি দেশের প্রাচীণ অধিবাসীরা প্রকৃতি থেকে সরাসরি মাটি তৈরি করে।
☛ PSC Geography Study Materials
☛ মৃত্তিকা সৃষ্টিতে আদি বা জনক শিলার প্রভাব : ভূত্বকে অবস্থিত যে সমস্ত শিলা থেকে ধীর পদক্ষেপে আবহবিকার জনিত কারণে সময়ের স্বাপেক্ষে মাটির উদ্ভব হয় তাকে জনক শিলা বলে । ইহা কঠিন ও কোমল উভয়ই হতে পারে । জনক শিলার কাঠিন্যতার উপরেই মৃত্তিকা সৃষ্টির হার নির্ণয় করে । এর মূলতঃ দুটি ভাগ রয়েছে, যথাঃ A. অবশিষ্ট জনক শিলা ও B. অবক্ষেপিত জনক শিলা ।
মৃত্তিকা সৃষ্টিতে আদি শিলার ভূমিকা নিষ্ক্রিয় । আবহবিকার ও সঞ্চয়ের মাধ্যমে জনক শিলা থেকে মাটি তৈরি হয় । কিন্তু মাটির গঠণ, গ্রথন, রং, রাসায়নিক বৈশিষ্ট অনেকাংশে জনক শিলা নির্ভর । যেমন – i. গ্রানাইট ও রায়োনাইট থেকে মোটা গ্রথন যুক্ত অম্ল ধর্মী বেলে মাটি; ii. ব্যসল্ট থেকে মসৃণ ক্ষারকীয় এঁটেল মাটি; iii. চুনাপাথর থেকে রেনজিনা মাটি গড়ে ওঠে।
মাটি গঠনে আদি শিলার প্রভাবগুলি হলঃ (i. সিলিকা সমৃদ্ধ আম্লিক শিলা (গ্রানাইট, নিস) থেকে অম্লধর্মী মাটি এবং ম্যাগনেসিয়াম ও অ্যালুমিনিয়াম সমৃদ্ধ ক্ষারধর্মী আদি শিলা (ব্যাসল্ট,সার্পেন্টাইন) থেকে ক্ষারধর্মী মাটি সৃষ্টি হয়। (ii. বেলেপাথার, গ্রানাইট, কোয়ার্টজাইট আদি শিলা থেকে সৃষ্টমাটির গ্রথন স্থূল, প্রবেশ্য ও জলধারণ ক্ষমতা কম হয়। অপরদিকে, শেল, কাদাপাথর, চুনাপাথর যুক্ত আদিশিলা থেকে সৃষ্ট মাটির গ্রথন ক্ষূক্ষ্ণ হয় ও জলধারণ ক্ষমতা বেশি হয়। (iii. লোহা ও অ্যালুমিনিয়াম যুক্ত যৌগ মাটিকে লাল রঙের করে তোলে। (iv. আদি শিলায় কোয়ার্টজ কণা বেশি থাকলে মৃত্তিকা ধূসর বা সাদা বর্ণের হয়। (v. চুনাপাথর ও মার্বেল থেকে রেন্টজিনা মৃত্তিকা সৃষ্টি হয়। ➣ Next Part
☛ PSC Geography Study Materials