TET Miscellaneous Info.উচ্চ প্রাথমিক টেট নির্যাসপ্রাথমিক টেট নির্যাস

Piaget’s Cognitive Development Theory In Bengali

Piaget’s Cognitive Development Theory In Bengali

TET শব্দের পূর্ণাঙ্গ অর্থ হলঃ Teacher’s Eligibility Test অর্থাৎ শিক্ষক হিসাবে যোগ্যতা নির্ণায়ক অভিক্ষা । NCTE এর নির্দেশ অনুসারে বর্তমানে প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকতায় নিযুক্তির ক্ষেত্রে TET উত্তীর্ণ হওয়া একটি অন্যতম প্রধান শর্ত । একথা মাথায় রেখে প্রতিযোগী শিক্ষার্থীদের সহায়তার জন্য আমদের প্রচেষ্টা আমরা TET Niryas বিভাগে তুলে ধরছি, যেখানে পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিকউচ্চ প্রাথমিক টেট, CTET এর Paper-IPaper-II এবং SLST এর বিষয়বস্তুর উপর Study Materials থাকছে । প্রসঙ্গক্রমে Piaget’s Cognitive Development Theory নামক পোস্টে পিয়াগেট ও তার তত্ত্ব সংক্রান্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্পর্কে আলোচনা করা হলঃ
Piaget's Cognitive Development Theory

পিয়াগেটের জ্ঞানীয় বিকাশ তত্ত্ব :

➲ জিন পিয়াগেট (Jean Piaget) : জন্ম: 9 আগস্ট, 1896, সুইজারল্যান্ডের নিউচেটেলে। নিউচেটেল বিশ্ববিদ্যালয় এবং জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাকৃতিক বিজ্ঞান এবং দর্শন অধ্যয়ন করেছেন। 22 বছর বয়সে তিনি ম্যালাকোলজিতে (মলাস্কের অধ্যয়ন) তার পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন । মৃত্যু: 16 সেপ্টেম্বর, 1980, জেনেভা, সুইজারল্যান্ডে। তত্ত্ব: জ্ঞানীয় বিকাশ তত্ত্ব।

➲ প্রারম্ভিক জীবন এবং শিক্ষা : জিন পিয়াগেট 9 আগস্ট, 1896 সালে সুইজারল্যান্ডের নিউচেটেলে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন মধ্যযুগীয় সাহিত্যের অধ্যাপক আর্থার পাইগেট এবং রেবেকা জ্যাকসনের সবচেয়ে বড় সন্তান। পিয়াগেটের প্রাথমিক জীবন প্রকৃতির প্রতি ভালবাসা এবং তার চারপাশের জগত সম্পর্কে কৌতূহল দ্বারা চিহ্নিত ছিল।

পিয়াগেট নিউচেটেল (Neuchâtel) বিশ্ববিদ্যালয়ে তার শিক্ষা শুরু করেন, যেখানে তিনি প্রাকৃতিক বিজ্ঞান এবং দর্শন অধ্যয়ন করেন। পরে তিনি জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানান্তরিত হন, যেখানে তিনি তার পিএইচডি অর্জন করেন 22 বছর বয়সে ম্যালাকোলজিতে (মলাস্কের অধ্যয়ন)।

➲ কর্মজীবন এবং তত্ত্ব : একজন মনোবিজ্ঞানী হিসাবে পিয়াগেটের কর্মজীবন শুরু হয়েছিল 1920 এর দশকে, যখন তিনি প্যারিসের আলফ্রেড বিনেট ল্যাবরেটরিতে কাজ করেছিলেন। এই সময়ে, তিনি তার জ্ঞানীয় বিকাশের তত্ত্ব তৈরি করেছিলেন, যার মাধ্যমে ধারণা করা হয় যে শিশুরা বিভিন্ন ধাপের মধ্য দিয়ে বিকশিত হয় । প্রত্যেকটি ধাপকে চারিত্রিকভাবে চিন্তাভাবনা ও বিশ্বের বোধগম্যতার জন্য একটি অনন্য উপায় দ্বারা চিহ্নিত করা হয়।

পিয়াগেটের জ্ঞানীয় বিকাশের তত্ত্বটি যে ধারণার উপর ভিত্তি করে বিকশিত হয়েছে তার মূল কথা হলঃ শিশুরা সক্রিয়ভাবে হাতে-কলমে অভিজ্ঞতা এবং সামাজিক মিথস্ক্রিয়াগুলির মাধ্যমে তাদের নিজস্ব জ্ঞান ও বিশ্ব সমন্ধে বোধ গঠন করে। তিনি বিশ্বাস করতেন যে শিশুরা জ্ঞানীয় বিকাশের চারটি ধাপের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়, যথাঃ সেন্সরিমোটর, প্রিপারেশনাল, কংক্রিট অপারেশনাল ও ফর্মাল অপারেশনাল।

➲ পিয়াগেটের তত্ত্বের মূল ধারণা : পিয়াগেটের তত্ত্বের কিছু মূল ধারণার মধ্যে রয়েছে ⬎

1. স্কিমা (Schemas) : পিয়াগেট “স্কিমা” ধারণাটি প্রবর্তন করেন, যা একটি মানসিক কাঠামো এবং ব্যক্তিদের নিজস্ব অভিজ্ঞতাগুলিকে সংগঠিত করতে ও উপলব্ধি করতে সহায়তা করে। স্কিমাগুলি মানসিক টেমপ্লেটের মতো যা আমাদের তথ্য বুঝতে এবং শ্রেণীবদ্ধ করতে সহায়তা করে।
2. সাযুজ্যকরণ (Assimilation) : সাযুজ্যকরণ হল এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ব্যক্তিরা তাদের বিদ্যমান স্কিমাগুলিতে নতুন তথ্য অন্তর্ভুক্ত করে। যখন আমরা নতুন তথ্যের সম্মুখীন হই, তখন আমরা এটিকে আমাদের বিদ্যমান স্কিমাগুলিতে সাযুজ্য করার চেষ্টা করি।
3. আবাসন (Accommodation) : আবাসন হল এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ব্যক্তিরা তাদের বিদ্যমান স্কিমাগুলিকে নতুন তথ্যের সাথে মানানসই করে। যখন আমরা নতুন তথ্যের সম্মুখীন হই, যা আমাদের বিদ্যমান স্কিমাগুলির সাথে খাপ খায় না, তখন আমাদের নতুন তথ্য মিটমাট করার জন্য আমাদের স্কিমাগুলিকে সামঞ্জস্য করতে হতে পারে৷
4. ভারসাম্য (Equilibration) : ভারসাম্য হল এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ব্যক্তিরা জ্ঞানীয় ভারসাম্যের অবস্থা অর্জনের জন্য আত্তীকরণ এবং আবাসনের ভারসাম্য বজায় রাখে। যখন আমরা নতুন তথ্যের মুখোমুখি হই, তখন আমরা জ্ঞানীয় ভারসাম্যের অবস্থা অর্জনের জন্য নতুন তথ্যের সাথে আমাদের বিদ্যমান স্কিমাগুলির ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করি।

➲ জ্ঞানীয় বিকাশের পর্যায়:

1. সেন্সরিমোটর পর্যায় (0-2 বছর): সদ্যোজাত এবং ছোট শিশুরা পরিবেশের সাথে যোগাযোগ করতে তাদের ইন্দ্রিয় এবং মোটর দক্ষতা ব্যবহার করে শিখে। এই পর্যায়ে, শিশুরা তাদের পরিবেশের উপর নিয়ন্ত্রণের অনুভূতি অর্জন করতে তাদের ইন্দ্রিয় এবং মোটর দক্ষতা সমন্বয় করতে শেখে।
◈ এই পর্যায়ের বৈশিষ্ট্য: ⦿ ইন্দ্রিয় এবং মোটর দক্ষতার মাধ্যমে শেখা; ⦿ প্রতীকী চিন্তাভাবনার অভাব; ⦿ অহংকেন্দ্রিক চিন্তাভাবনা।

2. প্রিপারেশনাল পর্যায় (2-7 বছর): শিশুরা বিশ্বের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য প্রতীক এবং ভাষা ব্যবহার করতে শুরু করে, কিন্তু তাদের চিন্তাভাবনা এখনও অহংকেন্দ্রিক এবং স্বজ্ঞাত। এই পর্যায়ে, শিশুরা অন্যদের সাথে যোগাযোগের জন্য ভাষা ব্যবহার করতে শুরু করে, কিন্তু তাদের এখনও অন্যান্য লোকের দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করতে অসুবিধা হয়।
◈ এই পর্যায়ের বৈশিষ্ট্য: ⦿ প্রতীক ও ভাষার ব্যবহার; ⦿ অহংকেন্দ্রিক চিন্তাভাবনা; ⦿ স্বজ্ঞাত চিন্তাভাবনা।

3. কংক্রিট অপারেশনাল পর্যায় (7-11 বছর): শিশুরা যৌক্তিকভাবে চিন্তা করার এবং কংক্রিট বস্তু এবং ঘটনাগুলি ব্যবহার করে সমস্যাগুলি সমাধান করার ক্ষমতা বিকাশ করে। এই পর্যায়ে, শিশুরা সমস্যা সমাধানের জন্য দৃষ্টিভঙ্গি ও যুক্তি ব্যবহার করতে শুরু করে, কিন্তু তাদের এখনও বিমূর্ত চিন্তাভাবনা করতে অসুবিধা হয়।
◈ এই পর্যায়ের বৈশিষ্ট্য : ⦿ দৃষ্টিভঙ্গি ও যুক্তির ব্যবহার; ⦿ কংক্রিট বস্তু এবং ঘটনা ব্যবহার করে সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা; ⦿ বিমূর্ত চিন্তা করতে অসুবিধা।

4. আনুষ্ঠানিক অপারেশনাল পর্যায় (11-15 বছর): কিশোর-কিশোরীরা বিমূর্ত ধারণা সম্পর্কে বিমূর্তভাবে চিন্তা করার এবং যুক্তিযুক্তভাবে দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করার ক্ষমতা বিকাশ করে। এই পর্যায়ে, কিশোর-কিশোরীরা বিমূর্ত ধারণা সম্পর্কে চিন্তা করতে শুরু করে এবং তাদের নিজস্ব তত্ত্ব ও ধারণা বিকাশ করে।
◈ এই পর্যায়ের বৈশিষ্ট্য: ⦿ বিমূর্তভাবে চিন্তা করার ক্ষমতা; ⦿ বিমূর্ত ধারণা সম্পর্কে যৌক্তিকভাবে দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করার ক্ষমতা; ⦿ নিজস্ব তত্ত্ব এবং ধারণার বিকাশ।

➲ শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রয়োগ :
✧ শিশু-কেন্দ্রিক শিক্ষা : পিয়াগেটের তত্ত্ব শিশু-কেন্দ্রিক শিক্ষার গুরুত্বের উপর জোর দেয়, যেখানে শিশুদেরকে তাদের নিজস্ব গতিতে অন্বেষণ এবং শিখতে উৎসাহিত করা হয়।
✧ হাতে-কলমে শিক্ষা : পিয়াগেটের তত্ত্ব হাতে-কলমে শিক্ষার গুরুত্বের উপর জোর দেয়, যেখানে শিশুদের সরাসরি অভিজ্ঞতা এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে শিখতে উৎসাহিত করা হয়।
✧ স্বতন্ত্র পার্থক্যের সাথে অভিযোজন : পিয়াগেটের তত্ত্ব জ্ঞানীয় বিকাশে পৃথক পার্থক্যের সাথে নির্দেশনাকে খাপ খাওয়ানোর গুরুত্বের উপর জোর দেয়।

➲ প্রভাব এবং উত্তরাধিকার: জ্ঞানীয় বিকাশের পিয়াগেটের তত্ত্ব শিক্ষা এবং শিশু বিকাশের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে। শিশু-কেন্দ্রিক শিক্ষা, হাতে-কলমে শিক্ষা, এবং সামাজিক মিথস্ক্রিয়াগুলির গুরুত্ব সম্পর্কে তার ধারণাগুলি সারা বিশ্বে শিক্ষামূলক অনুশীলনকে রূপ দিয়েছে।

প্রাথমিক টেট প্রস্তুতির জন্য ক্লিক করুনঃ

উচ্চ প্রাথমিক টেট প্রস্তুতির জন্য ক্লিক করুনঃ

➲ সমালোচনা এবং সীমাবদ্ধতা: যদিও পিয়াগেটের তত্ত্বটি শিশু শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রভাবশালী, তবুও এটি সমালোচনা এবং সীমাবদ্ধতারও ঊর্ধ্বে নয় । এই তত্ত্বের কিছু সমালোচনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ

✦ খুব বিস্তৃত: পিয়াগেটের পর্যায়গুলি খুব বিস্তৃত এবং স্বতন্ত্র বিকাশের সূক্ষ্মতাগুলি ধারণ করে না।
✦ খুব কঠোর : পিয়াগেটের পর্যায়গুলি খুব কঠোর এবং বিকাশে পৃথক পার্থক্যের অনুমতি দেয় না।
✦ অভিজ্ঞতামূলক সমর্থনের অভাব: পিয়াগেটের কিছু তত্ত্ব অভিজ্ঞতামূলক গবেষণা দ্বারা সমর্থিত হয়নি।

➲ পরবর্তী জীবন ও মৃত্যু : পিয়াগেট 16 সেপ্টেম্বর, 1980-এ 84 বছর বয়সে তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কাজ এবং লেখালেখি চালিয়ে যান। তিনি সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে মৃত্যুবরণ করেন । তিনি জ্ঞানীয় বিকাশের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী গবেষণা এবং তত্ত্বের উত্তরাধিকার রেখে যান।

➲ জিন পিয়াগেটের গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ এবং গবেষণাপত্র :

➱ গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ :
✦ “The Language and Thought of the Child” (1923) : এই বইটি শিশুদের ভাষা এবং চিন্তার একটি ব্যাপক অধ্যয়ন, এবং এটি জ্ঞানীয় বিকাশের পিয়াগেটের তত্ত্বের ভিত্তি স্থাপন করে।
✦ “The Child’s Conception of the World” (1926) : এই বইটিতে, পিয়াগেট তাদের স্থান, সময় এবং কার্যকারণ সম্পর্কে ধারণাগুলি সহ বিশ্বে সম্পর্কে শিশুর বোধগম্যতার অন্বেষণ করে।
✦ “The Origins of Intelligence in Children” (1936) : এই বইটি শিশুদের বুদ্ধিমত্তার বিকাশের একটি ব্যাপক অধ্যয়ন, এবং এটি জ্ঞানীয় বিকাশের মাধ্যমে পিয়াগেটের তত্ত্বের ভিত্তি স্থাপন করে।
✦ “Play, Dreams, and Imitation in Childhood” (1945) : এই বইতে, পিয়াগেট শিশুদের জ্ঞানীয় ক্ষমতার বিকাশে খেলা, স্বপ্ন এবং অনুকরণের ভূমিকা অন্বেষণ করে।
✦ “The Construction of Reality in the Child” (1937) : এই বইটি শিশুর বাস্তবতা নির্মাণের একটি ব্যাপক অধ্যয়ন, যার মধ্যে বস্তু, স্থান এবং সময় সম্পর্কে তাদের বোঝার অন্তর্ভুক্ত।

➱ গুরুত্বপূর্ণ গবেষণাপত্র :
☆ “The Language and Thought of the Child” (“শিশুর ভাষা ও চিন্তন“) (1923) : এই গবেষণাপত্রটি একই নামের পিয়াগেটের বইয়ের একটি সারাংশ, এবং এটি তার জ্ঞানীয় বিকাশের তত্ত্বের ভিত্তি স্থাপন করে।
☆ “The Child’s Conception of Causality” (“কার্যকারণ সম্পর্কে শিশুর ধারণা“) (1927) : এই পেপারে, Piaget কার্যকারণ সম্পর্কে শিশুর বোঝাপড়ার অনুসন্ধান করে, যার মধ্যে তাদের কারণ ও প্রভাবের ধারণা।
☆ “The Stages of Intellectual Development” (“বৌদ্ধিক বিকাশের পর্যায়“) (1954) : এই গবেষণাপত্রটি সেন্সরিমোটর, প্রি-অপারেশনাল, কংক্রিট অপারেশনাল এবং আনুষ্ঠানিক অপারেশনালের চারটি ধাপ সহ পিয়াগেটের জ্ঞানীয় বিকাশের তত্ত্বের একটি ব্যাপক ওভারভিউ।
☆ “The Role of the Environment in the Development of Intelligence” (“বুদ্ধিমত্তার বিকাশে পরিবেশের ভূমিকা“) (1955) : এই গবেষণাপত্রে, পাইগেট সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কারণের প্রভাব সহ বুদ্ধিমত্তার বিকাশে পরিবেশের ভূমিকা অন্বেষণ করেছেন।
☆ “The Psychology of Intelligence” (“বুদ্ধিমত্তার মনোবিজ্ঞান“) (1950) : এই পেপারটি পিয়াগেটের বুদ্ধিমত্তার তত্ত্বের একটি ব্যাপক ওভারভিউ, যার মধ্যে তার সেন্সরিমোটর, প্রি-অপারেশনাল, কংক্রিট অপারেশনাল, এবং ফর্মাল অপারেশনাল ইন্টেলিজেন্সের ধারণা রয়েছে। ➮ Read In English


⟽ পূর্ববর্তী পোস্ট : ভূগোলে ব্যবহৃত সাম্প্রতিক শব্দ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page