Aim and Object Geography Education
Aim and Object Of Geography Education
পরিবর্তন হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক ভূগোলের সিলেবাস । নতুন সিলেবাস অনুযায়ী সমগ্র উচ্চ মাধ্যমিক ভূগোলকে চারটি সেমিস্টারে বিভক্ত করা হয়েছে, যেখানে একাদশ শ্রেণীতে দুটি এবং দ্বাদশ শ্রেণীতে দুটি সেমিস্টার অন্তর্ভুক্ত । উচ্চ মাধ্যমিক ভূগোলের নতুন সিলেবাসের ভিত্তিতে ভূগোলের সেমিস্টার ভিত্তিক বিষয়বস্তুকে আলোচনা করার জন্য আমরা একাদশ ভূগোল নির্যাস : প্রথম সেমিস্টার বিভাগের সূচনা করি । এই বিভাগে এখন আমরা আলোচনা করবো একাদশ শ্রেণীর Physical Geography এর Unit-I এর Geography as a discipline অধ্যায় এর Aim and Object Geography Education সম্পর্কে । তাহলে আর অপেক্ষা না করে চলো আমরা মূল বিষয়ে প্রবেশ করি ➦
Aim and Object Geography Education//ভূগোল শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
☙ ভূগোল শিক্ষার মুল লক্ষ্য : ভূগোল শিক্ষার মুল লক্ষ্যগুলি হলঃ i. বৃত্তিমূলক লক্ষ্য, ii. কৃষ্টিমূলক লক্ষ্য, iii. নৈতিক লক্ষ্য, iv. আধ্যাত্মিক লক্ষ্য, v. অভিযোজনের লক্ষ্য ইত্যাদি ।
◾ভূগোল শিক্ষার বৃত্তিমূলক লক্ষ্য (Vocational Aim) : আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষার লক্ষ্য হল শিক্ষার্থীকে ভবিষৎ জীবনের উপযোগী করে তোলা । নিজস্ব চাহিদা পূরণ, অর্থনৈতিক স্বাচ্ছন্দ্য, সামাজিক মর্যাদা অর্জনের জন্য উপযুক্ত বৃত্তি প্রত্যেকেরই প্রয়োজন । ভূগোল বিষয়টি পাঠের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভৌগোলিক আনুষঙ্গিক পরিসরের সঙ্গে সঙ্গে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রগুলির সম্পর্কেও জ্ঞাত হয় । ফলে শিক্ষার্থী নিজের পছন্দ মতো বৃত্তি নির্বাচন করে নিজেকে নির্দিষ্ট কর্মে নিযুক্ত করতে পারে ।
ভারতে 2000 থেকে আজ পর্যন্ত ভূগোলের অধ্যায়ন সীমারেখার সংকীর্ণতা অতিক্রম করে বিস্তীর্ণভাবে ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন শাখায় । প্রাকৃতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, ঐতিহাসিক সহ বিশুদ্ধ বিজ্ঞান, খ-গোল বিদ্যা ও আধুনিক প্রযুক্তিবিদ্যার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে পড়েছে । বিকাশ ঘটেছে বিভিন্ন শাখা ও নূতন ক্ষেত্রের । সমান তালে ভূগোল শিক্ষার্থীর কাছে উন্মোচিত হয়েছে নুতন নুতন ক্ষেত্র যেখানে একজন শিক্ষার্থী নিজেকে স্বপ্রতিষ্ঠিত করে ভবিষ্যৎ জীবন সুরক্ষিত করতে পারে । ভূগোল শিক্ষার্থীরা যেসমস্ত ক্ষেত্রে তাদের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করতে পারে সেগুলি হলঃ i. শিক্ষক হিসাবে (As a teacher), ii. প্রশাসক হিসেবে (As a administrator), iii. নগর পরিকল্পনাকারী হিসাবে (As a town planner), iii. সর্বেক্ষক হিসেবে (As asurveyors), iv. মানচিত্রকার হিসেবে (As a cartographer), v. কম্পিউটার কার্টোগ্রাফার হিসেবে (As a Computer Cartographer), vi. পর্যটক প্রদর্শক হিসেবে (As a travel guide), vii. গবেষক হিসেবে (As a researcher), ix) জনসংখ্যা বিশারদ হিসাবে (As a demographer), x) ভূমিরূপ বিশারদ হিসেবে (As a geologist) ইত্যাদি ।
◾ভূগোল শিক্ষার কৃষ্টিমূলক লক্ষ্য (Cultural Aim) : শিক্ষার কৃষ্টিমূলক লক্ষ্য বলতে বোঝায় সামাজিক নিয়ম-নীতি, আচার-ব্যবহার, খাদ্যাভ্যাস, পোশাক-পরিচ্ছদ, সংস্কৃতি সম্পর্কে অবহিত করা । ভূগোলে মানবীয় ভূগোল পাঠের মাধ্যমে এই সমস্ত বিষয় সম্পর্কে শিক্ষার্থী জ্ঞানলাভ করতে সমর্থ হয় এবং ভালোমন্দ বিচারের মাধ্যমে খারাপ গুণগুলি বর্জন করে ভাল গুণ আয়ত্বের মাধ্যমে সামাজিক পরিবর্তন সূচিত করতে সক্ষম হয় ।
◾ভূগোল শিক্ষার নৈতিক লক্ষ্য (Moral Aim) : শিক্ষার্থীর মনের মধ্যে নৈতিক মূল্যবোধ জাগ্রত করে আদর্শ ক্ষেত্রে অনুশীলন করানো শিক্ষার অন্যতম লক্ষ্য । ভূগোল শিক্ষার্থী ভূগোল পাঠের মাধ্যমে সমাজব্যবস্থা বিকাশের প্রয়োজনীয় রসদ বা উপাদান সম্পর্কে জ্ঞান আহরণ করতে সক্ষম হয়, যা থেকে সামাজিক মূল্যবোধ শিক্ষার মাধ্যমে নিজের নৈতিক চরিত্রকে সুদৃঢ় করতে সমর্থ হয় ।
◾ভূগোল শিক্ষার আধ্যাত্মিক লক্ষ্য (Spiritual Aim) : বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষার আধ্যাত্মিক লক্ষ্য ব্যাপকভাবে স্বীকৃত । শিক্ষাকে অন্তর্নিহিত শক্তির বিকাশ সাধনের মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করে শিক্ষার্থী নিজেকে অখণ্ড ব্রহ্মাণ্ডের অংশ হিসাবে উপলব্ধি করতে পারে । ভূগোল পাঠের দ্বারা শিক্ষার্থী মহাকাশ, পৃথিবী, বিভিন্ন মহাদেশ, দেশ, রাজ্য তথা নিজ ভৌগোলিক পরিসর ও তার পারিপার্শ্বিক পরিবেশ সমন্ধে জ্ঞানলাভ এর মাধ্যমে আধ্যাত্মিক চেতনার উন্নয়ন ঘটায় । ভূগোলে Teleological Approach এর মাধ্যমে বিষয়টি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা গড়ে ওঠে ।
জার্মান ভূগোলবিদ কার্ল রিটার (August 7, 1779 – September 28, 1859) ভূগোলে ঈশ্বরবাদ বা Teleological Approach এর ধারণা প্রবর্তন করেন।
◾ভূগোল শিক্ষার অভিযোজনের লক্ষ্য (Aim of Adjustment) : প্রগতিশীল সমাজে পরিবর্তনশীল ক্রমবর্ধমান চাহিদা সম্পর্কে অবহিত হয়ে পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে না পারলে অবলুপ্তি অনিবার্য । ডারউইনের (1859) প্রাকৃতিক নির্বাচনবাদের মাধ্যমে এই সত্য উপলব্ধি করে একজন ভূগোল শিক্ষার্থী ভূগোল পাঠের মাধ্যমে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নিজেকে অভিযোজিত করার কৌশলরীতি আয়ত্ব করতে সক্ষম হয় ।
এছাড়া অধ্যাপক হল্টজ্ (Andres Holtz) ভূগোল শিক্ষার লক্ষ্যকে দুই ভাগে ভাগ করেন, যথাঃ i. বাস্তবিক লক্ষ্য (Practical Aims) এবং ii. সামাজিক লক্ষ্য (Cultural Aims) ।
অধ্যাপক হল্টজ্ এর মতে ভূগোল শিক্ষার বাস্তবিক লক্ষ্যগুলি হলঃ i. ভূগোলের মাধ্যমে ভূমি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন । ii. কৃষি ও শিল্প সম্পর্কিত জ্ঞান অর্জন । iii. আমাদের জীবনে ভৌগোলিক উপাদান এবং তাদের প্রভাব সম্পর্কে সঠিক ধারণার বিকাশ সাধন । iv. শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভ্রমণ এবং পরিদর্শনের চাহিদা পূরণ ইত্যাদি ।
অধ্যাপক হল্টজ্ এর মতে ভূগোল শিক্ষার সামাজিক লক্ষ্যগুলি হলঃ i. শিক্ষার্থীর মধ্যে দেশভক্তির জাগরণ । ii. প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সম্পর্কে আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি এবং প্রাকৃতিক শক্তি ও অন্যান্য বিষয়ের সুস্পষ্ট জ্ঞান আহরণ । iii. বিশ্ব জনশক্তি সমন্ধে জ্ঞান, পারস্পরিক সহযোগিতা, বিশ্ব ভাতৃত্বের বিকাশ, সহমর্মিতার বিকাশ ইত্যাদি । iv. ভৌগোলিক পরিসরের পরিপ্রেক্ষিতে জীবন ধারণের অভিযোজন গত ক্ষমতার উন্নয়ন ঘটানো । v. মানব এবং জমির নিরিখে সামাজিক মূল্যবোধের বিকাশ ইত্যাদি ।
উচ্চ মাধ্যমিক ভূগোল নির্যাস : একাদশ, প্রথম সেমিস্টার
☙ ভূগোল শিক্ষার উদ্দেশ্য : ভূগোল শিক্ষার উদ্দেশ্যগুলিকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়, যথাঃ i. স্বল্পমেয়াদি উদ্দেশ্য : জ্ঞান, বোধ, প্রয়োগ, দক্ষতা ইত্যাদি এবং ii. দীর্ঘমেয়াদি উদ্দেশ্য : আগ্রহ, যুক্তিবাদী ও অনুসন্ধানী মনোভাবের বিকাশ, মানুষ ও পরিবেশে সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি, জাতীয় সংহতি ও আন্তর্জাতিকতাবোধের প্রসারণ ইত্যাদি ।
➣ ভূগোল শিক্ষার প্রধান উদ্দেশ্যগুলি হলঃ i. মানষিক চেতনার উন্মেষ ঘটানো, ii. পৃথিবী ও তার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা, iii. যুক্তিবাদী, অন্বেষণী ও অনুসন্ধানী মনোভাবের বিকাশ ঘটানো, iv. প্রাকৃতিক অবস্থা সম্পর্কে জ্ঞানলাভ করা, v. প্রাকৃতিক সম্পদ সম্পর্কে ধারণার বিকাশ ঘটানো, vi. অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ধারণা লাভ করা, vii. পরিবেশ সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা, viii. সুষম ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটানো, ix) সামাজিকতার বিকাশ ঘটানো, x) ব্যবহারিক দিকের উন্নয়ন ঘটানো ইত্যাদি ।
◾মানষিক চেতনার উন্মেষ : প্রতিটি শিক্ষার মূল লক্ষ্য হল মানসিক চেতনার উন্মেষ ঘটানো । এই চেতনা থেকে একজন মানুষ তার জীবনযাত্রা ও তার মানোন্নয়ন সঠিক ভাবে করতে পারে । ভূগোল যেহেতু প্রাকৃতিক, আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক প্রভৃতি বিভিন্ন ধরনের পরিবেশ ও মনুষ্য জীবনে তার প্রভাব সমন্ধে আলোচনা করে, তাই শিক্ষার্থীর মানসিক চেতনার বিকাশে ভূগোল এক অত্যাবশ্যকীয় বিষয়।
◾পৃথিবী ও তার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন : এই বিশাল পৃথিবীর দুটি ভৌগলিক স্থানের মধ্যে প্রচুর বিভেদতা রয়েছে, আবার অবস্থান ভেদে জলবায়ু, প্রাকৃতিক পরিবেশ, মানুষের অর্থনৈতিক কার্যাবলীর প্রকৃতি ও মানবীয় চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সদা পরিবর্তনশীল । পৃথিবীর এরুপ সামগ্রিক ও স্থানিক বৈশিষ্ট্য ও বিভেদতা সম্পর্কে জ্ঞান লাভের জন্য ভূগোল পাঠ অত্যাবশকীয়।
◾যুক্তিবাদী, অন্বেষণী ও অনুসন্ধানী মনোভাবের বিকাশ : ভূগোল বিজ্ঞানের ‘আঁতুড়ঘর ‘ । যেকোন রকম প্রার্থিব সংঘটন অন্যান্য বিজ্ঞানের মতোই ভূগোলে অনুসন্ধানী দৃষ্টিভঙ্গিতে যুক্তির মাধ্যমে গ্রহণ করা হয় । আবার ঐ সংঘটনকে প্রার্থিব বিভিন্ন শক্তির প্রভাব দ্বারা আলোচনা করে উপস্থাপনা করা হয় । ফলে ভূগোল পৃথিবীর বিভিন্ন ঘটনা সম্পর্কে শিক্ষার্থীর মনে কৌতুহল জাগিয়ে তুলতে সক্ষম । এই কৌতুহল অন্বেষণী, অনুসন্ধানী, পর্যবেক্ষণ মূলক এবং যুক্তিবাদী মনোভাবের বিকাশে সাহায্য করে ।
◾প্রাকৃতিক অবস্থা সম্পর্কে জ্ঞানলাভ : ভূগোল কোন স্থানের প্রাকৃতিক অবস্থা, জলবায়ু ও ভূপ্রকৃতির সম্পর্ক, জলবায়ুর ভিত্তিতে মানুষের দৈহিক গঠণ, সাংস্কৃতির বিকাশ, রুচি-আহার-জীবিকার প্রাথমিক বৈশিষ্ট্য বসতির গঠণ প্রভৃতি নানা বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করে থাকে । অর্থাৎ পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানের প্রকৃতি ও মানবীয় সমাজ তথা মানুষ সম্পর্কে জ্ঞান লাভের অদ্বিতীয় মাধ্যম হল ভূগোল ।
◾প্রাকৃতিক সম্পদ সম্পর্কে ধারণার বিকাশ : আজকের শিক্ষার্থী আগামী দিনের দ্বায়িত্বশীল নাগরিক । একজন দ্বায়িত্বশীল নাগরিকের প্রধান দ্বায়িত্ব হল দেশের সামগ্রীক উন্নয়ন সাধন আর এই উন্নয়নের প্রধান ভিত্তি হল সম্পদ উত্তোলন । সম্পদ উত্তোলনের জন্য সম্পদ ও প্রকৃতির অন্তঃসম্পর্ক সমন্ধে ধারণা থাকা জরুরী । প্রাকৃতিক সম্পদের সম্ভাব্য সঞ্চয় ক্ষেত্র, সম্পদের প্রকৃতি ও গুরুত্ব, অর্থনৈতিক উন্নয়নে সম্পদের ভূমিকা সম্পর্কে ধারণা প্রদানে ভূগোল শিক্ষার্থীদের কাছে অনবদ্য বিষয় ।
◾অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ধারণা লাভ : পৃথিবীর উৎপত্তি, জীবজগতের বিকাশ, মানবীয় সমাজের ক্রম প্রতিপাদন, অর্থনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক বিকাশের ধারা প্রভৃতি নানা বিষয়ের অতীত-বর্তমান ও ভবিষ্যতের রূপরেখা ও সম্পর্ক সমন্ধে ভূগোলে আলোচনা করা হয় । তাই এরুপ জ্ঞান লাভের জন্য ভূগোল পাঠ আবশ্যক ।
◾পরিবেশ সম্পর্কে জ্ঞান লাভ : পৃথিবীর বর্তমান প্রাকৃতিক পরিবেশ ও তার ভবিষ্যতে পরিবর্তনশীলতা, পরিবেশের উন্নয়ন ও অবনমন, ভূমিরুপের বিকাশ, পরিবেশ দূষণ ও দূষণ রোধের উপায়, দূষণ ও জীবজগতের পরিবর্তিত রুপ, বিশ্ব উষ্ণায়ন প্রভৃতি সম্পর্কে জ্ঞান লাভ ভূগোল শিক্ষার্থী তথা যেকোন শিক্ষার্থী অন্যতম আগ্রহের বিষয় যা ভূগোল শিক্ষার মাধম্যে সম্পূর্ণ হয় ।
◾সুষম ব্যক্তিত্বের বিকাশ : যেকোন শিক্ষার অন্যতম মূল উদ্দেশ্য হল সুষম ব্যক্তিত্বের বিকাশ । যা শিক্ষার্থীর পারিপার্শিক প্রাকৃতিক ও আর্থ-সামাজিক অবস্থা,পরিবেশ সচেতনতা, জীবনধারণের মানোন্নয়ন, জ্ঞানার্জনের কৌতুহল, বিশ্বের আপেক্ষিক পরিকাঠামো ও জনজীবনে তার প্রভাব সম্পর্কে ধারণার ভিত্তিতে গঠিত হয় । যা ভূগোলের এক অন্যতম প্রতিপাদ্য বিষয় ।
◾সামাজিকতার বিকাশ : ভূগোল শিক্ষা দেশপ্রেম জাগরণ; প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রতি আকর্ষণ; সহযোগিতা, সমবেদনা ও বিশ্ব ভাতৃত্ব বোধের মনোভাব গঠণ; দেশ ও মানবজাতির সাপেক্ষে সভ্যতা ও সংস্কৃতির মূল্যায়ন উপলব্ধি প্রভৃতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীর অন্তঃকরনে সামাজিকতার বীজ বপনে সাহায্য করে থাকে ।
◾ব্যবহারিক দিকের উন্নয়ন : মানুষ প্রতিনিয়ত ছুটে চলেছে উন্নয়নের পিছনে । এই উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন ব্যবহারিক দক্ষতা যা ভূগোল শিক্ষার মাধ্যমে প্রাপ্ত হয় । ভূমির ব্যবহার, শিল্পের বিকাশ, কৃষিব্যবস্থার উন্নয়ন, পরিবহন, যোগাযোগ ও বাণিজ্য ব্যবস্থার আধুনিকীকরণের সাথে এরুপ উন্নয়ন ওতপ্রোতভাবে জড়িত । আবার উন্নয়নের এইসব উপাদানগুলোর ব্যবহারিক কৌশল সমন্ধে সম্যক ধারণা প্রদান করে ভূগোল শিক্ষা । অর্থাৎ ব্যবহারিক দিকের উন্নয়নে ভূগোল শিক্ষা আবশ্যকীয় ।
Pingback: Branches of Geography - নির্যাস.ইন