Endogenic Process Fold
Endogenic Process Fold
পরিবর্তন হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক ভূগোলের সিলেবাস । নতুন সিলেবাস অনুযায়ী সমগ্র উচ্চ মাধ্যমিক ভূগোলকে চারটি সেমিস্টারে বিভক্ত করা হয়েছে, যেখানে একাদশ শ্রেণীতে দুটি এবং দ্বাদশ শ্রেণীতে দুটি সেমিস্টার অন্তর্ভুক্ত । উচ্চ মাধ্যমিক ভূগোলের নতুন সিলেবাসের ভিত্তিতে ভূগোলের সেমিস্টার ভিত্তিক বিষয়বস্তুকে আলোচনা করার জন্য আমরা একাদশ ভূগোল নির্যাস : দ্বিতীয় সেমিস্টার বিভাগের সূচনা করি । এই বিভাগে এখন আমরা আলোচনা করবো একাদশ শ্রেণীর দ্বিতীয় সেমিস্টারের Physical Geography এর Unit-II এর Geomorphic Process অধ্যায় এর এর অন্তর্ভুক্ত টপিক Endogenic Process Fold সম্পর্কে । সমগ্র অধ্যায়টি বেশ কয়েকটি পর্বে শেষ হবে, তাই পরবর্তী পর্বটি পড়ার জন্য Next Part এ ক্লিক করো । তাহলে আর অপেক্ষা না করে চলো আমরা মূল বিষয়ে প্রবেশ করি ➦
অন্তর্জাত প্রক্রিয়া : ভাঁজ [Endogenic Process Fold]
⟽ পূর্ববর্তী অধ্যায় : Isostasy (সমস্থিতি)
➲ ভাঁজ (Fold) : ভূ-আলোড়ন জনিত পার্শ্বচাপের কারণে ভূত্বকের শিলাস্তর বলিত হয়ে ভূত্বকের উপর যে ঢেউ খেলানো ভূমিরূপের উদ্ভব ঘটে, সেই ভূমিরূপের বক্রতাকে ভাঁজ বলে । অর্থাৎ ভাঁজ বা বলি বলতে শিলাস্তরের কোন বক্রতল বা বক্রতলের সমষ্টিকে বোঝায় । অন্যভাবে বলা যায় গিরিজনি আলোড়নের প্রভাবে শিলায় পার্শ্বচাপ পড়লে তার প্রভাবে পাললিক শিলাস্তরে সমান বা আসমানভাবে তরঙ্গ সদৃশ যে বক্রতার সৃষ্টি হয় তাদের ভাঁজ বলে ।
ভূ-আলোড়ন জনিত পার্শ্বচাপের কারণে যে স্বাভাবিক ভাঁজ সৃষ্টি হয় তা সম্ভবত স্কটিশ ভূতাত্বিক হল (Sir James Hall) প্রথম দেখান এবং “Fold” শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন 1815 সালে । যদিও তার প্রায় 110 বছর পূর্বে ইউরোপীয় আল্পস অঞ্চলে সুইজারল্যান্ডের উরি হ্রদের ভূতাত্বিক কাঠামো ব্যাখ্যায় 1705 সালে সুইডিশ ভূতাত্বিক স্কিউখজের (Johann Jakob Scheuchzer) এবং ইতালিয়ান প্রাকৃতিক বিজ্ঞানী মারসিলি (Luigi Ferdinando Marsili) ভাঁজ সম্পর্কে প্রথম বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণ উপস্থাপন করেন ।
ভূপৃষ্ঠে ভাঁজ সৃষ্টির ফলে বিশালায়তন ভঙ্গিল পর্বত সৃষ্টি হতে দেখা যায়, যেমনঃ হিমালয়, আল্পস ইত্যাদি ভঙ্গিল পর্বত ।
➲ একটি আদর্শ ভাঁজের প্রধান জ্যামিতিক উপাদান : একটি বলিত পৃষ্ঠ যেসমস্ত গাঠনিক উপাদানের ভিত্তিতে গঠিত হয় সেই ভিত্তি উপাদানগুলিকে ভাঁজের জ্যামিতিক উপাদান বলা হয় । ভাঁজের জ্যামিতি বেশ জটিল প্রকৃতির । একটি আদর্শ ভাঁজের বৈশিষ্ট্য প্রকাশকারী প্রধান জ্যামিতিক উপাদানগুলো হলঃ i. ভাঁজের উর্ধ্বমূখী বাঁক বা অ্যান্টিফর্ম (Antiform) ও ভাঁজের নিম্নমূখী বাঁক সিনফর্ম (Synform), ii. এই দুটির সাথে যুক্ত আধোভঙ্গ (Syncline) ও ঊর্ধ্বভঙ্গ (Anticline), iii. অ্যান্টিফর্ম বা সিনফর্ম এ যে রেখা বরাবর শিলার নাতির পরিবর্তিত দিক বা গ্রন্থিরেখা (Hinge), iv. দুটি সন্নিহিত গ্রন্থিরেখার মধ্যবর্তী বাহুর উত্তল ও অবতল অংশের বিভাজনকারী বিন্দু বা পরিবর্তন বিন্দু (Inflection Point), v. গ্রন্থিরেখার পার্শবর্তী দুদিকে পরিবর্তন বিন্দু পর্যন্ত স্বল্প অঞ্চল বা লিম্ব (Limb), vi. গ্রন্থিরেখার সমান্তরাল রেখা বা বলির অক্ষ (Axis), vii. পত্রায়ন তলের গ্রন্থিরেখারগুলির সংযুক্তির ফলে প্রাপ্ত সমতল বা অক্ষতল (Axial Plan), viii. প্রস্থচ্ছেদে প্রাপ্ত পর্যায়বৃত্ত বলি পৃষ্ঠের এক একটি পর্যায়ের দৈর্ঘ্য বা তরঙ্গ দৈর্ঘ্য, ix) বলির প্রস্থচ্ছেদের সর্বোচ্চ বিন্দু বা শীর্ষ বিন্দু এবং সর্বনিম্ন বিন্দু বা পাদবিন্দু, x) বলিতস্তরের দুই পৃষ্ঠের সমান্তরাল মধ্যবর্তী দূরত্ব বা কোণীয় বেধ (Orthogonal Thickness) ইত্যাদি ।
প্রসঙ্গতঃ Hinge Fraction Parameter উদ্ভাবন করেন বেইলি (M. Brian Bayly) 1974 সালে ।
➲ ভাঁজ উৎপত্তির ক্রিয়াবিধি (Mechanism of Folding) : ভাঁজ উৎপত্তিতে যেসমস্ত ক্রিয়াশীল প্রভাব কার্যকরী উপাদান হিসাবে ক্রিয়া সম্পাদন করে সেগুলিকে সম্মিলিতভাবে ভাঁজ উৎপত্তির ক্রিয়াবিধি বলা হয় । চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ও কার্যাবলীর প্রকৃতি অনুযায়ী এই ক্রিয়াবিধিকে দুটি গোত্রে বিভক্ত করা যায়, যথাঃ i. ভূগাঠনিক ক্রিয়াবিধি এবং ii. অ-ভূগাঠনিক ক্রিয়াবিধি । ভূগাঠনিক ক্রিয়াবিধির ক্ষেত্রে ভূ-অভ্যন্তরীণ বল এবং অ-ভূগাঠনিক ক্রিয়াবিধির ক্ষেত্রে ভূ-পৃষ্ঠের ওপরের বল ক্রিয়াশীল থাকে ।
ভূগাঠনিক ক্রিয়াবিধির ক্ষেত্রে ভূ-অভ্যন্তরীণ বল হিসাবে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় লক্ষ্য করা যায়, যথাঃ অভ্যন্তরীণ বল বা চাপের অভিমুখ, শিলা মণ্ডলের দৃঢ়তা এবং ভাঁজ স্তরগুলির বিকৃতির প্রকৃতি ও জ্যামিতিক গঠন ।
একাদশ শ্রেণীর দুটি সেমিস্টারের In Details আলোচনা রয়েছে ইবুক দুটিতে 📥
♦️ইবুক : উচ্চ মাধ্যমিক ভূগোল নির্যাস : একাদশ, প্রথম সেমিস্টার
♦️ইবুক : উচ্চ মাধ্যমিক ভূগোল নির্যাস : একাদশ, দ্বিতীয় সেমিস্টার)
➲ ভাঁজ উৎপত্তির ক্রিয়াবিধি অনুসারে ভাঁজের প্রকার : সুইডিশ ভূতাত্বিক Hans Ramberg 1963 সালে প্রকাশিত তার “Strain distribution and geometry of folds” এবং আমেরিকান ভূতাত্বিক Peter J. Hudleston 1986 সালে প্রকাশিত তার “Extracting information from folds in rock” নামক গ্রন্থে ভাঁজ উৎপত্তির ভূ-গাঠনিক ক্রিয়াবিধি অনুযায়ী স্বাভাবিক ভাঁজকে তিনটি গোত্রে বিভক্ত করেছেন, যথাঃ i. Buckle Folds, ii. Bending Folds এবং iii. Passive Folds ।
দুটি স্তরের মধ্যবর্তী সান্দ্রতার প্রভাবে গঠিত ভাঁজ কে Buckle Fold বলা হয় । স্তর বরাবর প্রযুক্ত পীড়ানের প্রভাবে গঠিত ভাঁজ কে Bending Fold এবং যান্ত্রিক পদ্ধতি বিহীনভাবে অর্থাৎ অভ্যন্তরীণ বল মুক্ত অবস্থায় গঠিত ভাঁজ কে Passive Fold বলা হয় ।
➲ ভাঁজ বিভাজন ভিত্তি : ভূতাত্বিক গঠনে ভাঁজ একটি অন্যতম প্রধান মাধ্যম । বিভিন্ন বিষয়ের ভিত্তিতে বিভিন্ন ভাবে ভাঁজকে বিভাজিত করা যায় । এই বিভাজন ভিত্তিগুলি হলঃ i. ভাঁজ বন্ধনের ভিত্তিতে (Based on Fold Closure), ii. প্রতিসাম্য বা সামঞ্জস্যতার ভিত্তিতে (Based on Symmetry), iii. ভাঁজ অক্ষের নিমজ্জনের ভিত্তিতে (Based on Plunge of Fold Axis), iv. অক্ষ তলের অভিমুখের ভিত্তিতে (Based on orientation of axial plan), v. গ্রন্থি রেখার প্রকৃতির ভিত্তিতে (Based on nature of hing line), vi. গ্রন্থির আকৃতির ভিত্তিতে (Based on shape of hinge), vii. গ্রন্থির সংখ্যার ভিত্তিতে (Based on no of hinges), viii. জ্যামিতিক উপাদানের ভিত্তিতে (Based on geometrical elements), ix) ভাঁজের উপরিস্থাপনের ভিত্তিতে (Based on superposition of fold), x) ফ্ল্যুয়েটির বিভাজন (Fluety classification of fold) ইত্যাদি ।
ব্রিটিশ ভূতাত্ত্বিক ফ্লুয়েটি (M. J Fluety) 1964 সালে প্রকাশিত তার “The Description of Folds” নামক গবেষণাপত্রে বিভিন্ন ভিত্তিতে ভাঁজ কে শ্রেণিবিভক্ত করেছেন, এই ভিত্তিগুলি হলঃ i. ভাঁজ অক্ষের নিমজ্জনের পরিমাণের ভিত্তিতে (Based on amount of plunge of fold axis), ii. অক্ষ তলের নতির পরিমাণের ভিত্তিতে (Based on amount of dip of axial plan) এবং iii. অন্তর্বতী কোণের ভিত্তিতে (Based on interlimb angel) ।
➲ ভাঁজ বন্ধনের ভিত্তিতে (Based on Fold Closure) ভাঁজের প্রকার : ভাঁজ বন্ধনের ভিত্তিতে ভাঁজকে চার ভাগে ভাগ করা যায়, যথাঃ i. বিপরীত গঠন (Antiform), ii. অনুরুপ গঠন (Synform), iii. নিরপেক্ষ ভাঁজ (Neutral Fold) এবং iv. উল্লম্ব ভাঁজ (Vertical Fold) ইত্যাদি ।
শিলা স্তরের বক্রতা যখন ভূপৃষ্ঠের স্বাপেক্ষে উপরের দিকে হয় অর্থাৎ উত্তল প্রকৃতির হয় তখন ভাঁজের সেই গঠনকে বলা হয় বিপরীত গঠন (Antiform)। এই ধরনের বক্রতাকে ঋণাত্মক বক্রতা (Negative Curvature) বলা হয় । অন্যদিকে শিলা স্তরের বক্রতা যখন ভূপৃষ্ঠের স্বাপেক্ষে নিম্নের দিকে হয় অর্থাৎ অবতল প্রকৃতির হয় তখন ভাঁজের সেই গঠনকে বলা হয় অনুরুপ গঠন (Synform)। এই ধরনের বক্রতাকে ধনাত্মক বক্রতা (Positive Curvature) বলা হয় ।
আবার শিলা স্তরের বক্রতা যখন ভূপৃষ্ঠের স্বাপেক্ষে পার্শবর্তী দিকে বা আনুভূমিক ভাবে অবস্থান করে তখন সেই প্রকৃতির বক্রতাকে বলা হয় নিরপেক্ষ ভাঁজ (Neutral Fold) । নিরপেক্ষ ভাঁজ যুক্ত শিলা স্তরের বক্রতার নতি যখন ভূপৃষ্ঠের সাথে উল্লম্বভাবে অবস্থান করে তখন ভাঁজের সেই গঠনকে উল্লম্ব ভাঁজ (Vertical Fold) বলা হয় ।
➲ প্রতিসাম্য বা সামঞ্জস্যতার ভিত্তিতে (Based on Symmetry) ভাঁজের প্রকার : প্রতিসাম্য বা সামঞ্জস্যতার ভিত্তিতে ভাঁজকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়, যথাঃ i. প্রতিসম ভাঁজ (Symmetrical Fold) এবং ii. অপ্রতিসম ভাঁজ (Asymmetrical Fold) ।
➦ প্রতিসম ভাঁজ : গাঠনিক অক্ষ তলে সামঞ্জস্যতার ভিত্তিতে বিকশিত এক প্রকার ভাঁজ হল প্রতিসম ভাঁজ । যখন কোন শিলা স্তরের উভয় পার্শ্বস্থ বাহু শিলা স্তরের উল্লম্ব অক্ষতলের সাথে সামঞ্জস্যরেখে সমান কোণে বিপরীত দিকে হেলে অবস্থান করে তখন যে ভাঁজ গঠিত হয় তাকে বলা হয় প্রতিসম ভাঁজ । এরুপ ভাঁজে বাহুদুটি প্রায় সমান দৈর্ঘ্যের হয়ে থাকে এবং বিপরীতমূখী অবস্থায় বাহুর নতিও সমান হয় । বিপরীতমুখী সমান সংকোচন বলের প্রভাবে এরুপ ভাঁজ গঠিত হয় ।
➦ অপ্রতিসম ভাঁজ : গাঠনিক অক্ষ তলে অসামঞ্জস্যতার ভিত্তিতে বিকশিত এক প্রকার ভাঁজ হল অপ্রতিসম ভাঁজ । যখন কোন শিলা স্তরের উভয় পার্শ্বস্থ বাহু শিলা স্তরের আনত অক্ষতলের সাথে সামঞ্জস্য রেখে বিভিন্ন কোণে বিপরীত দিকে হেলে অবস্থান করে তখন যে ভাঁজ গঠিত হয় তাকে বলা হয় অপ্রতিসম ভাঁজ । এরুপ ভাঁজ অসমান দৈর্ঘ্যযুক্ত বাহু দ্বারা গঠিত হয়ে থাকে এবং বিপরীতমূখী অবস্থায় বাহুর নতি ভিন্ন হয় । বিপরীতমুখী অ-সমান সংকোচন বলের প্রভাবে এরুপ ভাঁজ গঠিত হয় । মেঘালয়ের মাওকাজেম গ্রামের উত্থিত ভূমির অপ্রতিসম ভাঁজের উদাহরন ।
➲ ভাঁজ অক্ষের নিমজ্জনের ভিত্তিতে (Based on Plunge of Fold Axis) ভাঁজের প্রকার : ভাঁজ অক্ষের নিমজ্জনের ভিত্তিতে ভাঁজকে তিন ভাগে বিভক্ত করা হয়, যথাঃ i. আনুভূমিক ভাঁজ (Horizontal Fold), ii. নিমগ্ন ভাঁজ (Plunging Fold) এবং iii. উল্লম্ব ভাঁজ (Vertical Fold) ।
➦ যখন শিলাস্তরে গঠিত কোন ভাঁজের অক্ষ ভূপৃষ্ঠের স্বাপেক্ষে আনুভূমিকভাবে অবস্থান করে তখন সেই প্রকৃতির ভাঁজকে বলা হয় আনুভূমিক ভাঁজ । আবার ভাঁজের অক্ষ ভূপৃষ্ঠের স্বাপেক্ষে কৌণিকভাবে অবস্থান করে যে ভাঁজ গঠন করে তাকে বলা হয় নিমগ্ন ভাঁজ । আবার ভাঁজের অক্ষ ভূপৃষ্ঠের স্বাপেক্ষে উল্লম্ব ভাবে অবস্থানের ফলে যে ভাঁজ গঠিত হয় তাকে উল্লম্ব ভাঁজ বলা হয় ।
ভাঁজ অক্ষের সাথে নিমজ্জনের পরিমাণের ভিত্তিতে ফ্লুয়েটি (1964) আবার ভাঁজকে পাঁচ ভাগে বিভক্ত করেছেন ।
➲ অক্ষ তলের অভিমুখের ভিত্তিতে (Based on orientation of axial plan) ভাঁজের প্রকার : অক্ষ তলের অভিমুখের ভিত্তিতে ভাঁজকে মূলতঃ পাঁচ ভাগে বিভক্ত করা হয়, এই বিভাগগুলি হলঃ i. খাড়া ভাঁজ (Upright Fold), ii. শায়িত ভাঁজ (Recum bent Fold), iii. আনত ভাঁজ (Inclined Fold), iv. হেলান ভাঁজ (Reclined Fold) এবং v. আবৃত বা বিপর্যস্ত বা উল্টানো ভাঁজ (Overturned Fold) ইত্যাদি ।
➦ যখন কোন ভাঁজের অক্ষ তলের অভিমুখ ভূমিরূপের সাথে উল্লম্ব বা প্রায় উল্লম্ব ভাবে (90–80° কোণে) অবস্থান করে তখন সেই ভাঁজকে বলা হয় খাড়া ভাঁজ । দুই মার্কিন ভূতাত্ত্বিক উইলস ও উইলস (Bailey Willis & Robin Willis) 1929 সালে প্রকাশিত তাদের “Geologic Structures” নামক গ্রন্থে এই ধরনের ভাঁজের ব্যখ্যা করেন ।
➦ আনুভূমিক পার্শ্বচাপ একদিকে অধিক ভাবে প্রযুক্ত হওয়ার ফলে যখন কোন ভাঁজের একটি বাহু অন্য বাহুর উপর 10 ডিগ্রি বা তার কম কোন করে শায়িতভাবে অবস্থান করে তখন ভাঁজের সেই রুপভেদকে বলা হয় শায়িত ভাঁজ । King Oscar Fjord শায়িত ভাঁজের প্রকৃষ্ট উদাহরন ।
➦ যেসমস্ত ভাঁজের একটি বাহু অক্ষ তলের সাথে 10° থেকে 80° কোণে হেলে অন্য বাহুর উপর আনত ভাবে অবস্থান করে সেই ভাঁজকে বলা হয় আনত ভাঁজ । দুই মার্কিন ভূতাত্ত্বিক উইলস ও উইলস (Bailey Willis & Robin Willis) 1929 সালে প্রকাশিত তাদের “Geologic Structures” নামক গ্রন্থে এই ধরনের ভাঁজের ব্যখ্যা করেন ।
➦ যেসমস্ত ভাঁজের একটি বাহু অক্ষ তলের সাথে 80° থেকে 100° কোণে হেলে অন্য বাহুর উপর আনত ভাবে অবস্থান করে সেই ভাঁজকে বলা হয় হেলান ভাঁজ । ব্রিটিশ ভূতাত্বিক সাটন (John Sutton) 1960 সালে এই ধরনের ভাঁজ সম্পর্কে ধারণা দেন ।
➦ অক্ষতলের পার্থক্য অনুযায়ী একটি অন্যতম ভাঁজ আবৃত ভাঁজ । অসমান ও সমমূখী সংকোচন বলের প্রভাবে ভাঁজ গঠনকালে এক বাহু অপেক্ষা অন্য বাহুতে অত্যধিক চাপ পড়লে বাহুদুটি একই দিকে ভিন্নকোণে হেলে যে ভাঁজ গঠন করে তাকে আবৃত ভাঁজ বলে । এক্ষেত্রে ভাঁজের একটি বাহু 90° অপেক্ষা বেশি ঘুরে যায় এবং অক্ষতলটি খুব হেলে অবস্থান করায় একটি বাহু অন্যবাহুকে আবৃত করে রয়েছে বলে মনে হয় । ➣ Next Part