Foundation of Language Learning
Foundation of Language Learning
প্যাডাগোজি (Pedagogy) হল এমন একটি বিষয়বস্তু যেটি শিক্ষকতার যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষারর ক্ষেত্রে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় । প্রাথমিক টেট, উচ্চ প্রাথমিক টেট, সেন্ট্রাল টেট এমনকি স্কুল সর্ভিস টেট এর ক্ষেত্রে প্যাডাগোজি বিষয়টি থেকে বিষয় ভিত্তিক প্যাডাগোজি (Subject Pedagogy) এর উপর প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক ব্যাপার । প্রতিযোগী শিক্ষার্থীদের বিষয়টি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা প্রদানের জন্য এবং প্রতিটি বিষয়ের বিষয় ভিত্তিক প্যাডাগোজি তুলে ধরতে আমরা আরম্ভ করেছি Pedagogy বিভাগটি । এই বিভাগের একটি উপ-বিভাগ হলঃ বাংলা প্যাডাগোজি । বাংলা প্যাডাগোজিতে এখন আমরা আলোচনা করবো “ভাষা শিক্ষার ভিত্তি” [Foundation of Language Learning] নামক টপিকটির প্রথম অংশ । এই বিভাগের প্রতিটি টপিক দীর্ঘ আলোচনাযুক্ত, তাই একাধিক অংশে টপিক আলোচনা থাকবে । পরবর্তী বা পূর্ববর্তী অংশে যাবার জন্য পোস্টে উল্লিখিত নির্দেশ তথা Next Part বা Previous Part এ ক্লিক করুনঃ ।
প্রসঙ্গতঃ বিষয়টি মনে রাখার সুবিধার জন্য প্রতিটি টপিক আলোচনা করা হবে প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে ।
“ভাষা শিক্ষার ভিত্তি”
1. ভাষা কাকে বলে ?
উঃ বাগযন্ত্রের দ্বারা উচ্চারিত অর্থবোধক ধ্বনির সাহায্যে মানুষের মনের ভাব প্রকাশের মাধ্যমকেই ভাষা বলে। অধ্যাপক সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে, “মনের ভাবপ্রকাশের জন্য বাগযন্ত্রের সাহায্যে উচ্চারিত ধ্বনির দ্বারা নিষ্পন্ন কোনো বিশেষ জনসমাজে ব্যবহৃত, স্বতন্ত্রভাবে অবস্থিত তথা বাক্যে প্রযুক্ত শব্দ সমষ্টিকে ভাষা বলে।” ভাষা গবেষক ড. সুকুমার সেনের মতে– “মানুষের উচ্চারিত অর্থবহ বহুজনবোধ্য ধ্বনি সমষ্টিই ভাষা।” অর্থাৎ এই দুই সংজ্ঞা থেকে আমরা বলতে পারি মনের ভাব প্রকাশের প্রধান মাধ্যমকে ভাষা বলে।
2. মাতৃ ভাষা কি ?
উঃ শিশু জন্মের পর তার পারিপার্শ্বিক পরিবেশ, গৃহ বা মায়ের নিকট থেকে শুনে যে প্রাথমিকভাবে প্রধান যে ভাষায় দক্ষতার সাথে কথা বলে তাকে মাতৃভাষা বলে। এই ভাষা নিজেই মা, ‘মাতৃভাষা’ শব্দটির ব্যাসবাক্য হলো ‘মাতৃস্বরূপিণী ভাষা’। মানুষ জীবনভর যে ভাষা দিয়ে চিন্তা করে ও চিন্তাকে প্রকাশ কে সেটি আর কোনো ভাষাই নয় সেটি একান্তই তার মাতৃভাষা।
3. বাংলা ভাষা বলতে কি বোঝায় ?
উঃ ভাষা বিভিন্ন অঞ্চলের, বিভিন্ন জাতির ও বিভিন্ন সংস্কৃতির মানুষের জন্য বিভিন্ন হয়ে থাকে। যেমন, পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা বা বাংলাদেশের বাঙালি সংস্কৃতির অধিকারী বাঙালিরা বাংলা ভাষায় কথা বলে। বাঙালি সংস্কৃতির অধিকারী বাঙালি জাতি যে ভাষায় তাদের মনের ভাব প্রকাশ করে, সেটিই বাংলা ভাষা। মাতৃ ভাষা হিসাবে ব্যবহৃত বিশ্বের জনপ্রিয় ভাষার মধ্যে পঞ্চম স্থানে রয়েছে বাংলা ভাষা, যার দ্বারা বিশ্বের প্রায় 228 মিলিয়ন লোক কথা বলে এবং দ্বিতীয় ভাষা হিসাবে সপ্তম জনপ্রিয় ভাষা, যার মাধ্যমে বিশ্বের প্রায় 37 মিলিয়ন লোক নিজের ভাব প্রকাশ করেন ।
প্রাথমিক টেট প্রস্তুতির জন্য ক্লিক করুনঃ
উচ্চ প্রাথমিক টেট প্রস্তুতির জন্য ক্লিক করুনঃ
4. ভাষা কয় প্রকার হতে পারে ?
উঃ উচ্চারণের প্রকৃতি, ব্যবহারের ব্যাপকতা, পরিবর্তনশিলতা প্রভৃতির ভিত্তিতে ভাষা কে বিভিন্ন ভাবে ভাগ করা যায় যথাঃ অ) সাধু ভাষা, আ) চলিত ভাষা, ই) উপভাষা, ঈ) প্রমিত ভাষা, ঋ) মৌখিকভাষা, এ) আদর্শ কথ্যভাষা, ঐ) বিভাষা, ও) নিভাষা, ঔ) অপভাষা, ক) অপার্থভাষা, খ) মিশ্রভাষা ইত্যাদি ।
5. সাধু ভাষা কি ?
উঃ যে ভাষা প্রধানত তৎসম শব্দবহুল সর্বনাম ও ক্রিয়াপদসমূহ অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ, কিছুটা গুরুগম্ভীর ও কৃত্রিম তাকেই সাধু ভাষা বলে। অন্যভাবে বলা যায়, মৌখিক ভাষার সংস্কারপূত রূপটিকে বলা হয় সাধুভাষা । বর্তমানে শুধুসাহিত্য রচনার প্রয়োজনেই এই ভাষার ব্যবহার হয়ে থাকে।
যেমন- ‘জানিবার ও বুঝিবার প্রবৃত্তি মানুষের মন হইতে যেই দিন চলিয়া যাইবে সেই দিন মানুষ পুনরায় পশুত্ব লাভ করিবে।’
6. চলিত ভাষা কি ?
উঃ শিক্ষিত সমাজে ব্যবহৃত মৌখিক ভাষা বিশেষ পরিবর্তিত না হয়েও যখন কিছুটা মার্জিত রূপ লাভ করে সাহিত্যেও ব্যবহৃত হতে থাকে তখন ভাষার সেই রুপকে বলা হয় চলিত ভাষা বা শিষ্ট কথ্যভাষা ।
যেমন- ‘জানবার ও বুঝবার প্রবণতা মানুষের মন থেকে যেদিন চলে যাবে সেদিন মানুষ আবার পশুত্ব লাভ করবে।’
7. আঞ্চলিক ভাষা কি ?
উঃ বাংলায় লেখ্য ভাষার নির্দিষ্ট একটা রুপ আছে, কিন্তু বিভিন্ন অঞ্চলের মুখের ভাষার সেরকম কোনো নির্দিষ্ট কোনো রুপ নেই। বাংলা ভাষাভাষী বিভিন্ন অঞ্চলে মুখের ভাষার যে ভিন্ন ভিন্ন রুপ দেখা যায়, তাকে আঞ্চলিক ভাষা বা উপভাষা বলে। যেমন- কোনো এক ব্যক্তির দুই পুত্র ছিল। এই শব্দটি বাঁকুড়া তে কোন একটি লোকের দু’টা ছেলে ছিল । আবার মুর্শিদাবাদে কোনো এক লোকের দুইটা ছেলি ছিল এভাবে বলা হয় ।
8. উপভাষা কি ?
উঃ একটি আদর্শ ভাষার অন্তর্গত বার্তালাপা বা সাহিত্যিক ভাষার ক্ষেত্রে কোন বিশেষ অঞ্চলে প্রচলিত ধ্বনিগত, রূপগত এবং বিশিষ্ট বাগধারাগতভাবে বেশ কিছু পার্থক্য যুক্ত ভাষাকে উপভাষা বলে । এ প্রসঙ্গে বলা ভালো যে এই আঞ্চলিক পার্থক্য শুধু মাত্র মৌখিক ভাষার মধ্যেই বিদ্যমান, কিন্তু লেখ্য ভাষায় সেই প্রভেদ দেখা যায় না । ড. সুকুমার সেন উপভাষার সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেছেন “কোনো ভাষা-সম্প্রদায়ের অন্তর্গত ছোটো ছোটো দলে বা অঞ্চল বিশেষে প্রচলিত ভাষাছাঁদ কে উপভাষা বলে।” অর্থাৎ সংকীর্ণ আঞ্চলিক ভাষা কেই উপভাষা বলা হয় ।
9. উপভাষা কয় প্রকার হতে পারে ?
উঃ বাগবৈচিত্রের ভিত্তিতে উপভাষা দুই প্রকার হয়ে থাকে, যথাঃ অ) কেন্দ্রীয় উপভাষা :- কোনো অঞ্চল বিশেষের উপভাষা যদি সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক প্রভৃতি কারণে অন্য উপভাষা থেকে অধিক গুরুত্ব অর্জন করে, তখন সেই উপভাষাটিকে কেন্দ্রীয় উপভাষা বলা হয় । এবং আ) সামাজিক উপভাষা :- একই ভৌগোলিক ক্ষেত্রে সামাজিক স্তর ভেদে বিভিন্ন মানুষের কথনগত বৈচিত্রের ভিত্তিতে উপভাষা যে রুপ ধারণ করে তাকে সামাজিক উপভাষা বলে । অধ্যাপক পরেশচন্দ্র ভট্টাচার্য এই উপভাষাকে ‘শ্রেণীভাষা‘ নামে অভিহিত করাই শ্রেয় বলে মনে করেছেন।
10. প্রমিত ভাষা কি ?
উঃ একই ভাষার উপভাষাগুলো অনেক সময় বোধগম্য হয় না। এজন্য একটি উপভাষাকে আদর্শ ধরে সকলের বোধগম্য ভাষা হিসেবে তৈরি ভাষারুপই হলো প্রমিত ভাষা।
11. মৌখিকভাষা কি ?
উঃ স্বাভাবিক ভাবে মানুষের মুখে মুখে সচরাচর যে ভাষা ব্যবহৃত হয় তাকে বলা হয় মৌখিকভাষা বা কথ্য ভাষা।
12. আদর্শ কথ্যভাষা কি ?
উঃ কেন্দ্রীয় উপভাষা পরিমার্জিত ও সংস্কার-কৃত হয়ে বিশিষ্টজন সম্মত রূপ লাভ করে সাহিত্য রচনার উপযোগী রূপে স্বীকৃতি লাভ করলে তখন তাকে আদর্শ কথ্যভাষা বলে। মূলতঃ আদর্শ কথ্যভাষাই চলিত ভাষারূপে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
13. বিভাষা কি ?
উঃ এক-একটি কথ্য উপভাষিক অঞ্চলের মধ্যে কথ্য উপভাষার আরো ছোট ছোট উপবিভাগ দেখা যায়, এই উপবিভাগ গুলিকে বিভাষা বলে । যেমন: দক্ষিণ পশ্চিম বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার উপভাষা ঝাড়খণ্ডী হলেও উচ্চারণে কিছু পার্থক্য রয়েছে।
14. নিভাষা কি ?
উঃ অনেকসময় কোন ব্যক্তি বিশেষের কোনো বাক্য বা শব্দ ব্যবহারে যদি স্বাতন্ত্র্য ঘটে, আর যদি সেই স্বাতন্ত্র্য সমন্বিত শব্দ তার পরিবারের লোকেরা বা প্রিয় পরিচিতরা ব্যবহার করতে থেকে, তবে সেই স্বাতন্ত্র্য সমন্বিত ব্যক্তিনিষ্ঠ ভাষাকে নিভাষা বলে। ড. সুকুমার সেন এই ভাষাকে বলেছেন ‘নিজভাষা‘। যেমন গ্রামাঞ্চলের মেয়েদের মধ্যে নিজভাষার উদারহণ পাওয়া যায়। প্রধানত স্বামী, শ্বশুর, ভাসুর ইত্যাদি গুরুজনদের নাম করতে নেই বলে গ্রামের বিবাহিত মহিলাদের মধ্যে নিজভাষার উদাহরণ মেলে। যেমন: আমার ঠাকুমার নাম “দুর্গা” তাই আমার মা, কাকিমা রা সবাই দূর্গা পূজা কে বলে “বড় পূজা” । ঠাকুরদার নাম “শ্যাম” বলে একই ভাবে সোম বার কে বলে “যম বার” এই শব্দ গুলি শুনে শুনে বাড়ির অনেকেই এই শব্দ গুলি ব্যবহার করে ।
15. অপভাষা কি ?
উঃ এক ভাষাগোষ্ঠীর লোক যখন অন্যভাষা সঠিক ভাবে না শিখে বা উচ্চারণ রীতি না বুঝে বিকৃত বা ভ্রমপ্রমাদ পূর্ণ শব্দ বা বাক্য উচ্চারণ করে, তখন সেই বিকৃত বাক্ ব্যবহারকে অপভাষা বলে । যেমন: মূল ইংরেজি শব্দ “স্টেশন” কিন্তু অনেকে “টেসন যাবি” ইত্যাদি বলে থাকে । এরুপ বিকৃত বা ভুল উচ্চারণ এ হল অপ ভাষার নিদর্শন।
16. অপার্থভাষা কি ?
উঃ সাধারণত দুর্বৃত্ত সম্প্রদায় প্রকাশ্যে নিজেদের মধ্যে এমন ভাষায় কথা বলে, যার একটি বিশেষ দলীয় লোকেরাই শুধু বুঝতে পারে, অন্যেরা তাদের এই কথাবার্তায় কোনো অপরাধের সন্ধ্যান পায় না। তাদের এরূপ বাগব্যবহারকে অপার্থভাষা বা সংকেত ভাষা বলে। এরুপ ভাষায় ‘পুলিশ‘ এর জনপ্রিয়তা ‘মামা‘ হিসাবে এবং জেল বা কয়েদখানা/সংশোধনাগার “শশুরবাড়ি” হিসাবে অধিক প্রচলিত ।
17. মিশ্রভাষা কি ?
উঃ যখন এক ভাষাভাষী জনগোষ্ঠী অন্য ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীর মধ্যস্থায়ীভাবে বসবাস করে তখন এই দুটি ভিন্ন ভাষাভাষী জনগোষ্ঠী প্রয়োজনের তাগিদে উভয়ে উভয়ের ভাষার দ্বারা প্রভাবিত হয় এবং কাজ চালানো গোছের এক জাতীয় সরলভাষা তৈরি করে নেয় তাকে বলে মিশ্রভাষা। যেমনঃ বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে দুই জেলার মুল ভাষার মিশ্রণে উদ্ভুত ভাষা যা মূল দুটি ভাষা থেকে অনেকটাই আলাদা ।
18. শিশুর মাতৃভাষা বিকাশের প্রথম স্তরের গুরুত্বপূর্ণ আচরণগুলি কিকি ?
উঃ শিশুর মাতৃভাষা বিকাশের প্রথম স্তরের গুরুত্বপূর্ণ আচরণগুলি হল অনুসরণ ও অনুকরণ । এবং দ্বিতীয় ভাষার বিকাশের ক্ষেত্রে অনুসরণ, অনুকরণ, পুনরাবৃত্তি এবং অনুশীলন ।
19. ভাষা শিখনের মূল নীতিগুলি কিকি ?
উঃ ভাষা শিখনের মূল নীতিগুলি হলঃ অ) বর্ণসমষ্টির সঙ্গে সার্থক পরিচয়, আ) আত্ম প্রকাশ, ই) নৈতিক বিকাশ, ঈ) পাঠ দক্ষতা ও পাঠাভ্যাস, উ) কল্পনা শক্তির বিকাশ এবং ঊ) প্রগতিশীল চিন্তার উন্মোচন ইত্যাদি ।
20. বাংলা ভাষা শিক্ষণের কৌশলগুলি কিকি ?
উঃ বাংলা ভাষা শিক্ষণের কৌশলগুলি হলঃ বিবৃতি (Narration), ব্যখ্যান (Explainatiin), বর্ণনা (Description), মূর্তণ (Illustration), প্রশ্নন (Questioning) ও উত্তর দান (Answering) ইত্যাদি ।
21. ভাষা শিক্ষণের কয়টি মডেল রয়েছে ?
উঃ ভাষা শিক্ষণের মূলতঃ প্রধান চারটি মডেল রয়েছে, যথাঃ অ) Advanced Organizer Model, আ) Concept Attainment Model, ই) ICON Model এবং ঈ) PEACOCK Model ইত্যাদি ।
22. ভাষার শিখন বা ব্যবহারিক নৈপুণ্যতা অর্জনের কয়টি ক্ষেত্র রয়েছে ?
উঃ ভাষার শিখন বা ব্যবহারিক নৈপুণ্যতা অর্জনের চারটি ক্ষেত্র রয়েছে, যথাঃ ক) শোনা (Listening), খ) বলা (Speaking), গ) পড়া (Reading) এবং ঘ) লেখা (Writing) ইত্যাদি ।
23. ভাষা শিখনের প্রথম সোপান কি ?
উঃ ভাষা শিখনের প্রথম সোপান হল ‘শোনা’ । শিশু পারিপার্শ্বিক পরিবেশ থেকে যোগাযোগের বিভিন্ন উপাদান যথাঃ ধ্বনি, শব্দ, কথোপকথন ইত্যাদি শুনে সেগুলিকে অনুধাবন করার চেষ্টা করে ।
24. শিশুর ভাষা শিখনের প্রথম ক্ষেত্র কোনটি ?
উঃ শিশুর ভাষা শিখনের প্রথম ক্ষেত্রটি তৈরি হয় গৃহ-পরিবেশ থেকে ।
25. ভাষা শিখনে ‘শোনা’র গুরুত্ব কি ?
উঃ শিশু তার অভিব্যক্তি প্রকাশের জন্য মাতৃভাষা শেখে । এই শিখন এর সূচনা হয় শোনা এর মধ্য দিয়ে । শিশুর পারিপার্শ্বিক আপনজনের নিকট থেকে ধ্বনি, শব্দ, কথোপকথন ইত্যাদি শুনে সেগুলিকে বোঝার চেষ্টা করে এবং অনুরুপভাবে অনুকরণ করে শব্দ করার চেষ্টা করে । শিশু যদি কিছু না শোনে তাহলে সে কিছু বলতেও পারবে না । কোন কিছু শোনার পরেই শিশুর মধ্যে মানসিক ও শারীরিক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয় এবং তাতে সাড়া দেওয়ার প্রয়োজনে সে স্বতঃস্ফূর্তভাবে শব্দ/আওয়াজ করে এবং ধীরেধীরে শব্দ উচ্চারণ করতে থাকে । শিশু যতো বেশি শুনবে ততোই বলতে চেষ্টা করবে । ➣ Next Part