Geography Niryasউচ্চ মাধ্যমিক ভূগোল নির্যাসএকাদশ ভূগোল নির্যাস : দ্বিতীয় সেমিস্টার

Geomorphic Process Faults

Geomorphic Process Faults

পরিবর্তন হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক ভূগোলের সিলেবাস । নতুন সিলেবাস অনুযায়ী সমগ্র উচ্চ মাধ্যমিক ভূগোলকে চারটি সেমিস্টারে বিভক্ত করা হয়েছে, যেখানে একাদশ শ্রেণীতে দুটি এবং দ্বাদশ শ্রেণীতে দুটি সেমিস্টার অন্তর্ভুক্ত । উচ্চ মাধ্যমিক ভূগোলের নতুন সিলেবাসের ভিত্তিতে ভূগোলের সেমিস্টার ভিত্তিক বিষয়বস্তুকে আলোচনা করার জন্য আমরা একাদশ ভূগোল নির্যাস : দ্বিতীয় সেমিস্টার বিভাগের সূচনা করি । এই বিভাগে এখন আমরা আলোচনা করবো একাদশ শ্রেণীর দ্বিতীয় সেমিস্টারের Physical Geography এর Unit-II এর Geomorphic Process অধ্যায় এর এর অন্তর্ভুক্ত টপিক Geomorphic Process Faults সম্পর্কিত প্রথম অংশ । সমগ্র অধ্যায়টি বেশ কয়েকটি পর্বে শেষ হবে, তাই পরবর্তী পর্বটি পড়ার জন্য Next Part এ ক্লিক করো । তাহলে আর অপেক্ষা না করে চলো আমরা মূল বিষয়ে প্রবেশ করি ➦


Geomorphic Process Faults

অন্তর্জাত প্রক্রিয়া : চ্যুতি (Fault)


⟽ পূর্ববর্তী টপিক : ভাঁজ (Fold)

➲ চ্যুতি (Fault) : যখন কোন দুটি সন্নিহিত ভূ-খন্ডের মধ্যে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয় এবং এক ভূ-খন্ড অন্য ভূ-খন্ডের তুলনায় একে অপরকে অতিক্রম করে তখন সেই ঘটনার ফলে উৎপন্ন ভূমিরূপকে চ্যুতি বলা হয় । অন্যভাবে বলা যায়, ভূআলোড়ন জনিত সংনমন ও টানের প্রভাবে ফাটল ধরা শিলা স্তরের এক অংশ ফাটল বরাবর সরে গিয়ে স্থান চ্যুত হয়ে যে ভূমিরূপের উদ্ভব ঘটায় তাকে বলা হয় চ্যুতি । ভূমিরূপের চ্যুতি উল্লম্ব, আনুভূমিক বা যেকোন কোণে ঘটে থাকে ।
ব্রিটিশ ভূতাত্ত্বিক ব্যাকওয়েল (Robert Bakewell) 1813 সালে প্রকাশিত তার “Introduction to Geology” নামক গ্রন্থে চ্যুতি প্রসঙ্গে বলেনঃ “A dislocation or break in continuity of the strata or vein”. ব্রিটিশ ভূতাত্ত্বিক প্রাইস (Neville James Price) 1966 সালে প্রকাশিত তার “Fault and Joint Development in Brittle and Semi-Brittle Rock” নামক গ্রন্থে চ্যুতির সংজ্ঞা প্রসঙ্গে বলেন “A fault is a plane of fracture which exhibits obvious signs of differential movement of the rock mass on either side of the plane”.
ভূমিরূপ হিসাবে চ্যুতিকে একটি ত্রিমাত্রিক জ্যামিতিক চিত্র হিসাবেও ধরা যায় । Pacific Plate ও North American Plate সংযোগস্থলে অবস্থিত ক্যালিফোর্নিয়ার San Andreas Fault এবং Eurasian Plate ও Anatolian Plate এর সংযোগস্থলে অবস্থিত তুর্কির North Anatolian Fault চ্যুতির জনপ্রিয় উদাহরণ । শিলং মালভূমির দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত Dauki Fault ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যুতি ।

একাদশ শ্রেণীর দুটি সেমিস্টারের In Details আলোচনা রয়েছে ইবুক দুটিতে 📥

♦️ইবুক : উচ্চ মাধ্যমিক ভূগোল নির্যাস : একাদশ, প্রথম সেমিস্টার

♦️ইবুক : উচ্চ মাধ্যমিক ভূগোল নির্যাস : একাদশ, দ্বিতীয় সেমিস্টার)

➲ চ্যুতির জ্যামিতিক উপাদান : চ্যুতির গাঠনিক বৈশিষ্ট্য প্রকাশকারী উপাদানগুলিকে চ্যুতির জ্যামিতিক উপাদান বলা হয় । চ্যুতির প্রধান জ্যামিতিক উপাদানগুলো হলঃ – i. দুটি শিলা স্তূপের বিচ্ছেদকারী তল বা চ্যুতি তল (Fault Plane), ii. যে রেখা বরাবর চ্যুতি তল ভূপৃষ্ঠকে ছেদ সেই রেখা বা চ্যুতি রেখা (Fault Line), iii. চ্যুতির আয়ামের সাথে সমকোণী আনুভূমিক রেখার কোণ বা চ্যুতির নতি (Dip), iv. চ্যুতি তল ও কোন আনুভূমিক তলের ছেদরেখা বা চ্যুতির আয়াম (Strike), v. ক্ষেপ ও উর্ধ্বস্তূপ যে কোণে মিলিত হয় সেই কোণ বা চ্যুতির কোণ (Hade), vi. চ্যুতির আনুভূমিক উপাংশ বা চ্যুতি ব্যবধি (Heave), vii. চ্যুতির উল্লম্ব উপাংশ বা খেপ (Throw), viii. চ্যুতি তলের উপরে অবস্থিত ভূখণ্ড বা উর্ধ্বস্তূপ (Hanging Wall), ix) চ্যুতি তলের নিচে অবস্থিত ভূখণ্ড বা অধো স্তুপ (Foot Wall) ইত্যাদি ।

➦ চ্যুতি তল (Fault Plane) : চ্যুতির গাঠনিক বৈশিষ্ট্য প্রকাশকারী একটি জ্যামিতিক উপাদান হল চ্যুতি তল । যে তল বা পৃষ্ঠ বরাবর খণ্ডিত শিলা স্তূপ বা শিলার খণ্ডিত অংশ একে অপরকে ঘষতে ঘষতে দূরে সরে যায় তাকে চ্যুতি তল বলে । ভুমিকম্পের ফলে শিলা স্তরে ফাটল ধরলে ফাটল বরাবর একটি খণ্ড অপর খণ্ড থেকে সরে গিয়ে এরুপ তল গঠিত হয় ।
চ্যুতিতল সাধারণত সমতল প্রকৃতির হলেও ক্ষেত্র বিশেষে বক্রও হতে পারে । চ্যুতি তলের নতি থাকে এবং এটি মোটামুটিভাবে সমতল বা মসৃণ । বিভিন্ন প্রকার চ্যুতির ভিত্তিতে চ্যুতি তলের নতি বিভিন্ন হয় তবে এই নতি সর্বদা 45 ডিগ্রি এর কম হয় । চ্যুতি তলের নিচে অধো স্তুপ এবং উপরে ঊর্ধ্বস্তুপ গঠিত হয় ।

➦ চ্যুতি রেখা (Fault Line) : চ্যুতির গাঠনিক বৈশিষ্ট্য প্রকাশকারী একটি জ্যামিতিক উপাদান হল চ্যুতি রেখা । চ্যুতি তল এবং ভূপৃষ্ঠ যে রেখা বরাবর একে অন্যকে ছেদ করে তাকে চ্যুতি রেখা বলে । ইহা সরল বা বক্র হতে পারে । ক্ষেত্র বিশেষে চ্যুতি রেখা ভূপৃষ্ঠের উপরেও দেখা যেতে পারে ।
ভূকম্পন জনিত কারণে ভূখণ্ড ভেঙ্গে গিয়ে একে অপরের থেকে দূরে সরে গেলে ভাঙ্গন বরাবর চ্যুতি রেখা গঠিত হয় । Ring of Fire অঞ্চলে পৃথিবীর দীর্ঘতম ও সক্রিয় চ্যুতি রেখা দেখা যায় । চ্যুতিরেখা বরাবর অনেকসময় অগ্ন্যুৎপাত সংঘটিত হয়ে থাকে ।

➦ চ্যুতির নতি (Dip) ও আয়াম (Strike) : চ্যুতির গাঠনিক বৈশিষ্ট্য প্রকাশকারী একটি জ্যামিতিক উপাদান হল চ্যুতির নতি । আনুভূমিক তলের সঙ্গে চ্যুতি তল যে কোণে হেলে থাকে তাকে চ্যুতির নতি বলে । নতির অভিমুখ ও পরিমাণ দুই’ই আছে ।
চ্যুতির নতির ভিত্তিতে চ্যুতি দুই প্রকারের হয়ে থাকে যথাঃ i. উচ্চ নাতির চ্যুতি ও নিম্ন নতির চ্যুতি । উচ্চ নাতির চ্যুতির ক্ষেত্রে নতিকোণ হয় 45 ডিগ্রির অধিক এবং নিম্ন নতির ক্ষেত্রে নতি কোণ হয় 45 ডিগ্রি এর কম ।
আনুভূমিক তল ও চ্যুতি তল যে রেখা বরাবর একে অন্যকে ছেদ করে তাকে চ্যুতির আয়াম বলে । ইহা সর্বদা নতি অভিমুখে সমকোণে হেলে থাকে ।

➦ চ্যুতির কোণ (Hade), চ্যুতি ব্যবধি (Heave) ও চ্যুতি খেপ (Throw) : উলম্ব তলের সঙ্গে চ্যুতিতল যে কোণে অবস্থান করে তাকে চ্যুতি কোণ বলে । ইহা চ্যুতি তলের কৌণিক মাপ । ক্ষেপ ও উর্ধ্বস্তূপ এই কোণে মিলিত হয় ।
আবার চ্যুতির ঊর্ধ্ব ক্ষেপ ও অধঃক্ষেপের মধ্যবর্তী আনুভূমিক বা পাশাপাশি দূরত্ব কে বলাহয় চ্যুতি ব্যবধি ।
আবার চ্যুতিতল বরাবর চ্যুতির দুপাশের একই স্তরায়ন তল বা শিলা স্তরের মধ্যে উলম্ব দূরত্ব বা ব্যবধান কে ক্ষেপ বলে ।

➦ উর্ধ্বস্তূপ (Hanging Wall) ও অধো স্তুপ (Foot Wall) : চ্যুতিতল চ্যুত ভূখন্ডের একটি খণ্ড হল ঊর্ধ্ব স্তূপ । চ্যুতির যে ভূখণ্ড টি চ্যুতিতল থেকে উপরে ওঠে অবস্থান করে তাকে ঊর্ধ্ব স্তূপ বলে । একে আবার ঝুলন্ত প্রাচীর (Hanging Wall) ও বলা হয় ।
চ্যুতিতল চ্যুত ভূখন্ডের একটি খণ্ড হল অধো স্তুপ । চ্যুতির যে ভূখণ্ড টি চ্যুতিতলের নীচে অবস্থান করে তাকে অধো স্তুপ বা পাদমূল প্রাচীর (Foot Wall) বলে ।
চ্যুতিতল উলম্ব হলে ঊর্ধ্ব স্তূপ বা অধো স্তুপ হয় না ।

➲ চ্যুতির প্রকার : চ্যুতিকে প্রধানতঃ দুটি প্রাথমিক ভিত্তিতে বিভিন্ন গোত্রে বিভক্ত করা যায়, এই ভিত্তি গুলি হলঃ A) জ্যামিতিক ভিত্তি এবং B) উৎপত্তি ভিত্তি ।
➦ জ্যামিতিক ভিত্তি অনুযায়ী গঠিত চ্যুতিকে প্রধান পাঁচটি গোত্রে বিভক্ত করা যায়, যথাঃ a) মোট সরণের ভঙ্গির ভিত্তিতে, b) চ্যুতি তলের আয়াম ও শিলাস্তর ও আয়ামের সম্পর্কের ভিত্তিতে, c) চ্যুতি গোষ্ঠীর নক্সার ভিত্তিতে, d) চ্যুতি তলের নাতির ভিত্তিতে এবং e) আপাত সরণের ভিত্তিতে ।
➦ আবার উৎপত্তি অনুযায়ী চ্যুতিকে তিন ভাগে বিভক্ত করা যায়, যথাঃ a) অনুলোম চ্যুতি, b) বিলোম চ্যুতি এবং c) ছিন্ন চ্যুতি ইত্যাদি।

➦ জ্যামিতিক ভিত্তিতে গঠিত চ্যুতি : চ্যুতির জ্যামিতিক গঠন অনুযায়ী চ্যুতিকে প্রধান পাঁচটি গোত্রে বিভক্ত করা যায়, যথাঃ a) মোট সরণের ভঙ্গির ভিত্তিতে : মোট সরণের ভঙ্গির ভিত্তিতে চ্যুতিকে তিন ভাগে বিভক্ত করা যায়, যথাঃ i. আয়াম স্খলন চ্যুতি, ii. নতি স্খলন চ্যুতি এবং iii. তির্যক স্খলন চ্যুতি ।
b) চ্যুতি তলের আয়াম ও শিলাস্তর ও আয়ামের সম্পর্কের ভিত্তিতে : চ্যুতি তলের আয়াম ও শিলাস্তর ও আয়ামের সম্পর্কের ভিত্তিতে চ্যুতিকে পাঁচ ভাগে বিভক্ত করা যায়, যথাঃ i. আয়াম চ্যুতি, ii. নতি চ্যুতি, iii. তির্যক চ্যুতি, iv. অনুদৈর্ঘ্য চ্যুতি এবং প্রস্থ চ্যুতি ।
c) চ্যুতি গোষ্ঠীর নক্সার ভিত্তিতে : চ্যুতি গোষ্ঠীর নক্সার ভিত্তিতে চ্যুতিকে চার ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে, যথাঃ i. সমান্তরাল চ্যুতি, ii. আঁএশেলোঁ চ্যুতি, iii. পরিধি চ্যুতি এবং iv. অরীয় চ্যুতি ।
d) চ্যুতি তলের নাতির ভিত্তিতে চ্যুতি দুই প্রকার, যথাঃ i. উচ্চ নতির চ্যুতি এবং ii. নিম্ন নতির চ্যুতি ।
এবং e) আপাত সরণের ভিত্তিতে চ্যুতিকে দুই ভাগে বিভক্ত করা যায়, যথাঃ i. আপাত স্বাভাবিক চ্যুতি এবং ii. আপাত বিপরীত চ্যুতি ।

➦ আয়াম স্খলন চ্যুতি (Strike Slip Fault) : মোট সরণের ভঙ্গির ভিত্তিতে চ্যুতির জ্যামিতিক শ্রেণীবিভাগ এর একটি ভাগ আয়াম স্খলন চ্যুতি । যে চ্যুতির ক্ষেত্রে মোট সরণ চ্যুতি তলের আয়ামের সমান্তরাল হয় তাকে আয়াম স্খলন চ্যুত বলে । এরকম চ্যুতির নতি বরাবর সরণ খুব কম থাকে বা থাকেনা ।
ভঙ্গির পার্থক্য অনুসারে আয়াম স্খলন চ্যুতি (i. ডান হাতি আয়াম স্খলন চ্যুতি ও (ii. বামহাতি আয়াম স্খলন চ্যুতি এই দু’ভাগে বিভক্ত ।
এই ধরনের চ্যুতি Transcurrent Fault, Lateral Fault, Tear Fault বা Wrench Fault ইত্যাদি নামেও পরিচিত । ক্যালিফোর্নিয়ার San Andreas Fault, তুর্কির Anatolian Fault এই ধরনের চ্যুতির স্পষ্ট উদাহরণ ।

➦ নতি স্খলন চ্যুতি (Dip Slip Fault) : মোট সরণের ভঙ্গির ভিত্তিতে চ্যুতির জ্যামিতিক শ্রেণীবিভাগ এর একটি ভাগ নতি স্খলন চ্যুতি । যে চ্যুতির ক্ষেত্রে মোট সরণ চ্যুতি তলের নতির সমান্তরাল হয় তাকে নতি স্খলন চ্যুত বলে । যেসমস্ত ভূখণ্ডে শিলাস্তর উল্লম্বভাবে উপর নিচে অবস্থান করে সেইসমস্ত ভূখণ্ডে এই ধরনের চ্যুতি গঠিত হয় ।
নতি স্খলন চ্যুতির দুই শিলা স্তরের মধ্যে যেটি উপরের দিকে অবস্থান করে সেটিকে ঊর্ধ্ব স্তুপ এবং যে শিলাখণ্ডটি নিম্নের দিকে অবস্থান করে সেটিকে অধো স্তুপ বলা হয় ।
এই ধরনের জ্যামিতিক আকারের ভিত্তিতে স্বাভাবিক চ্যুতি বা অনুলোম চ্যুতি, বিলোম চ্যুতি, থ্রাস্ট চ্যুতি ইত্যাদি গঠিত হয় ।

➦ তির্যক স্খলন চ্যুতি (Oblique Slip Fault) : মোট সরণের ভঙ্গির ভিত্তিতে চ্যুতির জ্যামিতিক শ্রেণীবিভাগ এর একটি ভাগ তির্যক স্খলন চ্যুতি । ভূ-আন্দোলনের ফলে কোন চ্যুতির প্রকৃত স্খলন যদি নতি ও আয়াম এর দিকে না হয়ে অন্যদিকে হয় বা নতি আয়াম এর মধ্যবর্তী স্থানে হয় তাহলে তাকে তির্যক স্খলন চ্যুত বলে ।
প্রায় 45% পাত সীমান্তে তির্যক স্খলন চ্যুতি লক্ষ্য করা যায় ।

➦ আয়াম চ্যুতি (Strike Fault) : চ্যুতি তলের আয়াম এর সাথে সন্নিহিত শিলাস্তরের আয়াম সম্পর্কের ভিত্তিতে চ্যুতির জ্যামিতিক শ্রেণীবিভাগের একটি ভাগ আয়াম চ্যুতি । যখন কোন চ্যুতির চ্যুতি তলের আয়াম এর সন্নিহিত স্তর গুলো আয়াম এর সমান্তরাল হয় তখন তাকে আয়াম চ্যুতি বলে ।
আয়াম চ্যুতি মূলতঃ উল্লম্ব বা প্রায় উল্লম্ব হয়ে থাকে ।

➦ নতি চ্যুতি (Dip Fault) : চ্যুতি তলের আয়াম এর সাথে সন্নিহিত শিলাস্তরের আয়াম সম্পর্কের ভিত্তিতে চ্যুতির জ্যামিতিক শ্রেণীবিভাগের একটি ভাগ নতি চ্যুতি । যখন কোন চ্যুতির চ্যুতি তলের আয়াম এর সন্নিহিত স্তর গুলো নতির সমান্তরাল হয় তখন তাকে নতি চ্যুতি বলে ।
নতি চ্যুতির ক্ষেত্রে শিলা স্তরের আয়াম উল্লম্বভাবে অবস্থান করে ।

➦ তির্যক চ্যুতি (Oblique Fault) : চ্যুতি তলের আয়াম এর সাথে সন্নিহিত শিলাস্তরের আয়াম সম্পর্কের ভিত্তিতে চ্যুতির জ্যামিতিক শ্রেণীবিভাগের একটি ভাগ তির্যক চ্যুতি । চ্যুতি তলের আয়াম সন্নিহিত স্তর গুলো আয়াম এর সঙ্গে সূক্ষ কোণে অবস্থান করলে তাকে তির্যক চ্যুতি বলে ।

➦ অনুদৈর্ঘ চ্যুতি (Longitudional Fault) : চ্যুতি তলের আয়াম এর সাথে সন্নিহিত শিলাস্তরের আয়াম সম্পর্কের ভিত্তিতে চ্যুতির জ্যামিতিক শ্রেণীবিভাগের একটি ভাগ অনুদৈর্ঘ চ্যুতি । আঞ্চলিক গঠনের সমান্তরাল দিকে চ্যুতি সম্পন্ন হলে তাকে অনুদৈর্ঘ চ্যুতি বলে ।

➦ প্রস্থ চ্যুতি (Transverse Fault) : চ্যুতি তলের আয়াম এর সাথে সন্নিহিত শিলাস্তরের আয়াম সম্পর্কের ভিত্তিতে চ্যুতির জ্যামিতিক শ্রেণীবিভাগের একটি ভাগ প্রস্থ চ্যুতি । আঞ্চলিক গঠনের আড়াআড়িভাবে চ্যুতি সম্পন্ন হলে সেই চ্যুতিকে বলা হয় প্রস্থ চ্যুতি ।

➦ আঁ-এশেলোঁ চ্যুতি (En echelon Fault) : চ্যুতি গোষ্ঠীর নক্সার ভিত্তিতে চ্যুতির জ্যামিতিক শ্রেণিবিভাগের একটি বিভাগ হল আঁ-এশেলোঁ চ্যুতি । যখন কতগুলি ছোট ছোট চ্যুতির একটি অন্যটির উপর ন্যস্ত হয়ে পর্যাক্রমিক চ্যুতি গঠন করে তখন সেই ধরনের চ্যুতিকে আঁ-এশেলোঁ চ্যুতি বলা হয় ।
এই গোষ্ঠীতে চ্যুতি রেখাগুলি পরস্পর সমান্তরাল হলেও সামগ্রিকভাবে এরা পরস্পরের মুখোমুখি না থেকে শুধুমাত্র প্রান্ত অংশে প্রাবরিত হয় বা মুখোমুখি থাকে । ➣ Next Part

Syllabus of XI Sem-I
Syllabus of XI Sem-II
Purple And Blue Modern Portfolio Graphic Design Book Cover_20241212_114832_0000
Syllabus of XI Sem-I
Syllabus of XI Sem-II
previous arrow
next arrow

➣ বাংলা প্যাডাগোজি : ভাষা শিক্ষার ভিত্তি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page