TET Miscellaneous Info.উচ্চ প্রাথমিক টেট নির্যাসপ্রাথমিক টেট নির্যাস

Kohlberg’s Moral Development Theory In Bengali

Kohlberg’s Moral Development Theory

TET শব্দের পূর্ণাঙ্গ অর্থ হলঃ Teacher’s Eligibility Test অর্থাৎ শিক্ষক হিসাবে যোগ্যতা নির্ণায়ক অভিক্ষা । NCTE এর নির্দেশ অনুসারে বর্তমানে প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকতায় নিযুক্তির ক্ষেত্রে TET উত্তীর্ণ হওয়া একটি অন্যতম প্রধান শর্ত । একথা মাথায় রেখে প্রতিযোগী শিক্ষার্থীদের সহায়তার জন্য আমদের প্রচেষ্টা আমরা TET Niryas বিভাগে তুলে ধরছি, যেখানে পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিকউচ্চ প্রাথমিক টেট, CTET এর Paper-I ও Paper-II এবং SLST এর বিষয়বস্তুর উপর Study Materials থাকছে । প্রসঙ্গক্রমে Kohlberg’s Moral Development Theory নামক পোস্টে কোহলবার্গ ও তার তত্ত্ব সম্পর্কিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্পর্কে আলোচনা করা হলঃ


Kohlberg's Theory of Moral Development

কোহলবার্গের নৈতিক বিকাশ তত্ত্ব:

➲ লরেন্স কোহলবার্গ: জন্ম: 25 অক্টোবর, 1927, ব্রঙ্কসভিলে, নিউইয়র্ক। তিনি শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে মনোবিজ্ঞান অধ্যয়ন করেন, যেখানে তিনি 1958 সালে তার পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। । মৃত্যু: তিনি 1987 সালে 59 বছর বয়সে মারা যান।

➲ প্রারম্ভিক জীবন এবং শিক্ষা: লরেন্স কোহলবার্গ 25 অক্টোবর, 1927 সালে নিউইয়র্কের ব্রঙ্কসভিলে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে মনোবিজ্ঞান অধ্যয়ন করেন, যেখানে তিনি 1958 সালে তার পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। । কোহলবার্গ হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অফ শিকাগো এবং ইয়েল ইউনিভার্সিটি সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ান। যেখানে তিনি শিক্ষা ও সামাজিক মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক ছিলেন। তার গবেষণা নৈতিক উন্নয়ন, শিক্ষা এবং সামাজিক মনোবিজ্ঞানের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে।

➲ তত্ত্ব : কোহলবার্গের নৈতিক বিকাশের তত্ত্ব অনুযায়ী বলা হয়, ব্যক্তির নৈতিক বিকাশ স্তরগুলি একটি সিরিজের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়, যেখানে প্রতিটি স্তরকে এক একটি অনন্য নৈতিক দৃষ্টিকোণ দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। নৈতিক বিকাশ জ্ঞানীয় বিকাশের ফলাফল, এবং ব্যক্তিরা তাদের নৈতিক যুক্তির ক্ষমতা বিকাশের সাথে সাথে পর্যায়ক্রমে অগ্রসর হয়, এই ধারণার ভিত্তিতে কোহলবার্গের নৈতিক বিকাশের তত্ত্ব বিকশিত হয়েছে ।
লরেন্স কোহলবার্গের “নৈতিক বিকাশের তত্ত্ব” একটি বিস্তৃত কাঠামো যেখানে কিভাবে ব্যক্তিরা নৈতিক যুক্তি ও বিকাশের পর্যায়গুলির মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয় তা ব্যখ্যা করা হয় । কোহলবার্গের তত্ত্ব সম্পর্কে এখানে বেশকিছু তথ্য উপস্থাপন করা হলঃ

➲ নৈতিক বিকাশের পর্যায়: কোহলবার্গ ব্যক্তির নৈতিক বিকাশের ছয়টি পর্যায় চিহ্নিত করেছেন, যেগুলো তিনটি স্তরে বিভক্ত, এগুলি হলঃ
✧ স্তর-1: প্রাক-প্রথাগত পর্যায় (Pre-Conventional Stage): এই পর্যায়ে, ব্যক্তিরা তাদের নৈতিক সিদ্ধান্তগুলি স্থির করে বাহ্যিক পুরষ্কার এবং শাস্তির উপর ভিত্তি করে। তাদের মধ্যে এখনও নৈতিক নীতির বোধ গড়ে ওঠেনি । এই স্তরের পর্যায়দুটি হলঃ
✦ পর্যায়-I: আনুগত্য এবং শাস্তির অভিযোজন (Obedience and Punishment Orientation): এই পর্যায়ে ব্যক্তিরা শাস্তি এড়াতে নিয়ম-নীতি মেনে চলে।
✦ পর্যায়-II: ব্যক্তিবাদ এবং বিনিময় (Individualism and Exchange): এই পর্যায়ে ব্যক্তিরা তাদের নিজস্ব স্বার্থ অনুসরণ করে এবং অন্যদের সাথে অনুগ্রহ বিনিময় করে।
✧ স্তর-2: প্রথাগত পর্যায় (Conventional Stage): এই পর্যায়ে, ব্যক্তিরা তাদের নৈতিক সিদ্ধান্তগুলি গ্রহণ করে সামাজিক নিয়ম এবং প্রত্যাশার উপর ভিত্তি করে। তারা নৈতিক নীতির একটি ধারনা তৈরি করতে সমর্থ হয়, কিন্তু এখনও তারা বাহ্যিক কারণগুলির দ্বারা প্রভাবিত হয়ে থাকে । এই স্তরের পর্যায়দুটি হলঃ
✦ পর্যায় III: ভাল আন্তঃব্যক্তিক সম্পর্ক (Good Interpersonal Relationships): এই পর্যায়ে ব্যক্তিরা অন্যের সাথে ভাল সম্পর্ক বজায় রাখাকে অগ্রাধিকার দেয় এবং অন্যদের কাছ থেকে নিজ কাজের অনুমোদন আশা করে ।
পর্যায় IV: সামাজিক শৃঙ্খলা বজায় রাখা (Maintaining the Social Order): এই পর্যায়ে ব্যক্তিরা সামাজিক শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং কর্তৃত্বের প্রতি সম্মানকে প্রাথমিক গুরুত্ব দেয়।
স্তর-3: উত্তর-প্রথাগত পর্যায় (Post-Conventional Stage): এই পর্যায়ে, ব্যক্তিরা তাদের নৈতিক সিদ্ধান্তগুলি অভ্যন্তরীণ নৈতিক নীতির উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করে । তারা নৈতিক স্বায়ত্তশাসনের বোধ তৈরি করতে সমর্থ হয় এবং ব্যক্তি তাদের নিজস্ব নৈতিক মূল্যবোধ দ্বারা পরিচালিত হয়। এই স্তরের পর্যায়দুটি হলঃ
পর্যায় V: সামাজিক চুক্তি এবং ব্যক্তিগত অধিকার (Social Contract and Individual Rights): এই পর্যায়ে ব্যক্তিরা সামাজিক ন্যায়বিচার এবং ব্যক্তিগত অধিকারকে অগ্রাধিকার প্রদান করে ।
পর্যায় VI: সার্বজনীন নীতি (Universal Principles): এই পর্যায়ে ব্যক্তিরা সর্বজনীন নীতি এবং পরম নৈতিক বিষয়গুলিকে অগ্রাধিকার প্রদান করে৷

➲ মূল ধারণা: কোহলবার্গের নৈতিক বিকাশের তত্ত্ব বেশ কয়েকটি ধারণার উপর প্রতিষ্ঠিত, যথাঃ
✦ নৈতিক যুক্তি (Moral Reasoning): কোহলবার্গ বিশ্বাস করতেন যে নৈতিক বিকাশ হল জ্ঞানীয় বিকাশের ফল, এবং ব্যক্তিরা তাদের নৈতিক যুক্তির ক্ষমতা বিকাশের সাথে সাথে পর্যায়ক্রমে অগ্রসর হয়। তিনি নৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে নৈতিক যুক্তির গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
✦ নৈতিক নীতি (Moral Principles): কোহলবার্গ বিশ্বাস করতেন যে নৈতিক নীতিগুলি সর্বজনীন এবং পরম, এবং সেগুলি ন্যায়বিচার, সমতা এবং মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধার নীতির উপর ভিত্তি করে বিকশিত হয়।
✦ নৈতিক স্বায়ত্তশাসন (Moral Autonomy): কোহলবার্গ বিশ্বাস করতেন যে নৈতিক স্বায়ত্তশাসন নৈতিক বিকাশের সর্বোচ্চ পর্যায়, যেখানে ব্যক্তিরা তাদের নিজস্ব অভ্যন্তরীণ নৈতিক নীতি দ্বারা পরিচালিত হয়।
✦ ন্যায়বিচার (Justice): কোহলবার্গ বিশ্বাস করতেন যে ন্যায়বিচার একটি মৌলিক নৈতিক নীতি যা মানুষের আচরণকে নির্দেশ করে।
✦ সামাজিক চুক্তি (Social Contract): কোহলবার্গ যুক্তি দিয়েছিলেন যে সামাজিক চুক্তি তত্ত্ব ব্যক্তির নৈতিক বিকাশ বিষয়টিকে বোঝার জন্য একটি কাঠামো প্রদান করে।

➲ শিক্ষাক্ষেত্রে কোহলবার্গ তত্ত্বের প্রভাব: কোহলবার্গের তত্ত্ব শিক্ষা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যথাঃ
i. নৈতিক শিক্ষা (Moral Education): কোহলবার্গের তত্ত্ব নৈতিক বিকাশের প্রচারে নৈতিক শিক্ষার গুরুত্বের উপর জোর দেয়।
ii. নৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ (Ethical Decision-Making): কোহলবার্গের তত্ত্ব শিক্ষাগ্রহণে এবং ব্যক্তিগত জীবনে নৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য একটি কাঠামো প্রদান করে।
iii. নেতৃত্বের বিকাশ (Leadership Development): কোহলবার্গের তত্ত্বটি নেতৃত্বের বিকাশে প্রয়োগ করা যেতে পারে, এবং তত্ত্বটি নৈতিক যুক্তি ও নৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের গুরুত্বের উপর জোর দেয়।

➲ প্রয়োগ : কোহলবার্গ তত্ত্বের প্রয়োগ ক্ষেত্রগুলি হলঃ
✦ শিক্ষা : নৈতিক বিকাশ এবং চরিত্র শিক্ষার প্রচারের জন্য কোহলবার্গের তত্ত্ব শিক্ষাগত ব্যবস্থায় প্রয়োগ করা হয়।
✦ ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি : কোহলবার্গের তত্ত্বটি ক্লিনিকাল সাইকোলজিতে নৈতিক বিকাশ সমন্ধে বোধগম্যতার জন্য এবং নৈতিক বিকাশের জন্য ব্যবহৃত মধ্যস্থতাকারী বিকাশের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।
✦ ব্যবসায়িক নীতিশাস্ত্র : নৈতিক বিকাশকে উন্নীত করতে এবং নৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের কাঠামোর বিকাশের জন্য কোহলবার্গের তত্ত্বটি ব্যবসায়িক নীতিশাস্ত্রে প্রয়োগ করা হয় ।

➲ প্রভাব এবং উত্তরাধিকার: কোহলবার্গের কাজ মনোবিজ্ঞান, শিক্ষা এবং দর্শনের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে। তার নৈতিক বিকাশের তত্ত্ব শিক্ষাগত ব্যবস্থাপনাগুলিতে ব্যাপকভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে এবং নৈতিক শিক্ষা কার্যক্রমের বিকাশকে প্রভাবিত করেছে।

➲ ভবিষ্যতের গবেষণার দিকনির্দেশ:
✦ মিশ্র-সাংস্কৃতিক গবেষণা (Cross-Cultural Research): কোহলবার্গের তত্ত্বের সার্বজনীনতা নির্ধারণের জন্য ভবিষ্যত গবেষণাক্ষেত্রে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রসঙ্গে পরীক্ষা-নিরীক্ষার উপর আলোকপাত করা উচিত।
✦ অনুদৈর্ঘ্য অধ্যয়ন (Longitudinal Studies): সময়ের সাথে সাথে নৈতিক বিকাশের স্থিতিশীলতা এবং পরিবর্তন পরীক্ষা করার জন্য ভবিষ্যতের গবেষণায় অনুদৈর্ঘ্য অধ্যয়ন পরিচালনার উপর আলোকপাত করা উচিত।
✦ হস্তক্ষেপ (Interventions): নৈতিক বিকাশ এবং চরিত্র শিক্ষার উন্নয়নের জন্য ভবিষ্যত গবেষণায় হস্তক্ষেপের বিকাশ ও পরীক্ষা করার উপর আলোকপাত করা উচিত।

➲ সমালোচনা এবং সীমাবদ্ধতা: কোহলবার্গের তত্ত্বটি সাংস্কৃতিক পক্ষপাত, লিঙ্গ পক্ষপাত এবং অতি সরলীকরণের অভিযোগ সহ বিভিন্ন সমালোচনা এবং বিতর্কের সৃষ্টি করে, যেমনঃ
✦ সাংস্কৃতিক পক্ষপাত : কোহলবার্গের তত্ত্বটি পশ্চিমা নৈতিক মূল্যবোধ এবং নীতির উপর ভিত্তি করে বিকশিত হওয়ায় বিশ্বের অন্যান্য অংশের ক্ষেত্রে এই তত্ত্বকে সাংস্কৃতিকভাবে পক্ষপাতদুষ্ট হিসাবে বিবেচনা করা হয় ।
✦ অভিজ্ঞতামূলক সমর্থনের অভাব : কোহলবার্গের তত্ত্বটি পরীক্ষামূলক সমর্থনের অভাবের জন্য সমালোচিত হয়েছে, কারণ তত্ত্বটি সীমিত সংখ্যক অধ্যয়ন এবং সমস্যা বিশ্লেষণের উপর ভিত্তি করে বিকশিত ।
✦ খুব বিস্তৃত : কোহলবার্গের তত্ত্বটি খুব বিস্তৃত, এই মতামত উপস্থাপন করেও তত্ত্বটির সমালোচনা করা হয়েছে। কারণ এই তত্ত্ব নির্দিষ্ট ক্ষেত্রগুলিতে আলোকপাত করার পরিবর্তে নৈতিক বিকাশের সমস্ত দিক ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করে।
✦ লিঙ্গ পক্ষপাত: কোহলবার্গের তত্ত্বটি লিঙ্গ-পক্ষপাতমূলক হওয়ার জন্যও সমালোচিত হয়েছে, কারণ তত্ত্বটি যত্ন এবং সহানুভূতির চেয়ে ন্যায়বিচারকে অগ্রাধিকার দেয়।
✦ অতি সরলীকরণ: মানুষের নৈতিক বিকাশের জটিলতাকে অতি সরলীকরণের জন্য কোহলবার্গের তত্ত্বের সমালোচনা করা হয়েছে।

➲ সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ গবেষক:
✦ লরেন্স কোহলবার্গ : কোহলবার্গ নৈতিক বিকাশ তত্ত্বের প্রতিষ্ঠাতা।
✦ ক্যারল গিলিগান : গিলিগান হলেন একজন মনোবিজ্ঞানী যিনি কোহলবার্গের তত্ত্বকে সাংস্কৃতিকভাবে পক্ষপাতদুষ্ট এবং অভিজ্ঞতামূলক সমর্থনের অভাবের জন্য সমালোচনা করেছেন।
✦ জেমস রেস্ট : রেস্ট হলেন একজন মনোবিজ্ঞানী যিনি কোহলবার্গের তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে নৈতিক বিকাশের অপর একটি তত্ত্ব উপস্থাপন করেন, যেখানে অন্যান্য নৈতিক বিকাশের তত্ত্বগুলিকেও অন্তর্ভুক্ত করেন ।

➲ প্রকাশনা এবং পুরষ্কার: কোহলবার্গ “The Philosophy of Moral Development” (“নৈতিক বিকাশের দর্শন“) (1981) এবং “The Psychology of Moral Development” (“নৈতিক বিকাশের মনোবিজ্ঞান“) (1984) সহ অসংখ্য নিবন্ধ এবং গ্রন্থ প্রকাশ করেছেন। তিনি মনোবিজ্ঞান এবং শিক্ষায় অবদানের জন্য আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের মনোবিজ্ঞান পুরষ্কার বিশিষ্ট বৈজ্ঞানিক অবদান সহ বেশ কয়েকটি পুরস্কার অর্জন করেন ।

প্রাথমিক টেট প্রস্তুতির জন্য ক্লিক করুনঃ

উচ্চ প্রাথমিক টেট প্রস্তুতির জন্য ক্লিক করুনঃ

➲ গুরুত্বপূর্ণ বই গবেষণা পত্র: কোহলবার্গের সৃষ্টি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ ও গবেষণাপত্রগুলি হলঃ
➱ কোহলবার্গের গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ:
✦ “The Philosophy of Moral Development” (“নৈতিক বিকাশের দর্শন”) (1981)
✦ “Essays on Moral Development” (“নৈতিক বিকাশের উপর প্রবন্ধ”) (1981)
✦ “The Psychology of Moral Development” (“নৈতিক বিকাশের মনোবিজ্ঞান”) (1984)
✦ “Moral Stages: A Current Formulation and a Response to Critics” (“নৈতিক পর্যায়: একটি বর্তমান প্রণয়ন এবং সমালোচকদের প্রতিক্রিয়া”) (1973)
✦ “The Meaning and Measurement of Moral Development” (“নৈতিক বিকাশের অর্থ এবং পরিমাপ”) (1971)
➱ গবেষণা পত্র:
✦ “A Cognitive-Developmental Approach to Socialization” (“সামাজিককরণের জন্য একটি জ্ঞানীয়-উন্নয়নমূলক পদ্ধতি”) (1969)
✦ “Moral Development and Moral Education” (“নৈতিক উন্নয়ন এবং নৈতিক শিক্ষা”) (1975)
✦ “Revisions in the Theory and Its Application” (“তত্ত্ব এবং এর প্রয়োগে সংশোধন”) (1981)
✦ “The Meaning and Measurement of Moral Development” (“নৈতিক বিকাশের অর্থ এবং পরিমাপ”) (1981)
✦ “The Relationship Between Moral Judgment and Moral Action” (“নৈতিক বিচার এবং নৈতিক কর্মের মধ্যে সম্পর্ক”) (1984)
এই সমস্ত গ্রন্থ ও গবেষণাপত্র কোহলবার্গের নৈতিক বিকাশের তত্ত্ব, নৈতিক শিক্ষা এবং নৈতিক বিচার বিষয়ে তার গবেষণার একটি বিস্তৃত সম্যক ধারণা প্রদান করে।

➲ উপসংহার: ব্যক্তির নৈতিক উন্নয়ন বিষয় সমন্ধে ধারণা অর্জন এবং নৈতিক শিক্ষার প্রচারের ক্ষেত্রে কোহলবার্গের নৈতিক বিকাশের তত্ত্ব একটি ব্যাপক কাঠামো প্রদান করে। তত্ত্বটির প্রভাবশালী ভূমিকার সাথে সাথে আমরা সমালোচনা এবং সীমাবদ্ধতার বিষয়ওগুলিও আমরা উপলব্ধি করতে পারি । ভবিষ্যতের গবেষণায় এই সীমাবদ্ধতাগুলিকে মোকাবেলা করার জন্য এবং নৈতিক বিকাশের জন্য নতুন হস্তক্ষেপের বিকাশের দিকে মনোনিবেশ করা উচিত। কোহলবার্গ সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রতি তার আবেগ এবং বাস্তব বিশ্বের সমস্যাগুলিতে মনস্তাত্ত্বিক নীতিগুলি প্রয়োগ করার প্রতিশ্রুতির জন্য পরিচিত ছিলেন। তিনি 1987 সালে 59 বছর বয়সে মারা যান। ➤ Read in English


⟽ পূর্ববর্তী পোস্ট : ভাইগটস্কি ও তার তত্ত্ব

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page