Notable Experiments and Theories of Famous Psychologists In Bengali
Notable Experiments and Theories of Famous Psychologists
TET শব্দের পূর্ণাঙ্গ অর্থ হলঃ Teacher’s Eligibility Test অর্থাৎ শিক্ষক হিসাবে যোগ্যতা নির্ণায়ক অভিক্ষা । NCTE এর নির্দেশ অনুসারে বর্তমানে প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকতায় নিযুক্তির ক্ষেত্রে TET উত্তীর্ণ হওয়া একটি অন্যতম প্রধান শর্ত । একথা মাথায় রেখে প্রতিযোগী শিক্ষার্থীদের সহায়তার জন্য আমদের প্রচেষ্টা আমরা TET Niryas বিভাগে তুলে ধরছি, যেখানে পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক টেট, CTET এর Paper-I ও Paper-II এবং SLST এর বিষয়বস্তুর উপর Study Materials থাকছে । প্রসঙ্গক্রমে Notable Experiments and Theories of Famous Psychologists নামক পোস্টে বিভিন্ন Psychologist ও তাদের গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও তত্ত্ব সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য আলোচনা করা হলঃ
বিখ্যাত মনোবিজ্ঞানীদের উল্লেখযোগ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও তত্ত্ব
1. সিগমুন্ড ফ্রয়েড:
❖ “দ্য কেস অফ আনা ও।” (The Case of Anna O.) (1881): এটি ছিল বার্থা প্যাপেনহেইম নামে একজন রোগীর কেস স্টাডি, যিনি হিস্টিরিয়ায় ভুগছিলেন। ফ্রয়েডের আন্না ও.-এর চিকিৎসায় সম্মোহন এবং উন্মুক্ত মেলামেশা জড়িত ছিল এবং এই চিকিৎসা মনোবিশ্লেষণের সূচনা করে।
❖ “স্বপ্নের ব্যাখ্যা” (The Interpretation of Dreams) (1900): এই বইটিতে, ফ্রয়েড স্বপ্নের বিশ্লেষণের ধারণা এবং মানুষের মানসিকতার গঠন প্রবর্তন করেছিলেন। তিনি যুক্তি দিয়েছিলেন যে, স্বপ্নগুলি আমাদের অচেতন মনের জন্য আমাদের সচেতন মনের সাথে যোগাযোগ করার একটি উপায়।
2. ইভান পাভলভ:
❖ “প্রাচীন অনুবর্তন” (Classical Conditioning) (1897): পাভলভের এই পরীক্ষায় প্রতিবার একটি কুকুরকে খাবার দেওয়ার সময় একটি ঘণ্টা বাজানোর বিষয়টি জড়িত ছিল। পরীক্ষার ফল হিসাবে দেখা যায় সময়ের সাথে সাথে, কুকুরটি খাবারের সাথে ঘণ্টার শব্দকে যুক্ত করতে শিখেছিল এবং কোনও খাবার উপস্থিত না থাকলেও ঘণ্টার শব্দ শোনার সাথে সাথে কুকুরটি লালা বের করতে থাকে ।
3. বিএফ স্কিনার:
❖ “অপারেন্ট কন্ডিশনিং চেম্বার” (Operant Conditioning Chamber) (1938): স্কিনারের এই পরীক্ষায় একটি ইঁদুরকে খাদ্যকণা বিতরণকারী একটি লিভারের সাথে একটি চেম্বারে রাখা হয়েছিল । পরীক্ষার ফল হিসাবে ইঁদুর খাদ্য গ্রহণের জন্য লিভার টিপতে শিখেছিল, এবং এই পরীক্ষার মাধ্যমে স্কিনার দেখিয়েছিলেন কিভাবে শক্তিবৃদ্ধি এবং শাস্তির মাধ্যমে আচরণ পরিবর্তন করা যায়।
❖ “টিচিং মেশিনস” (Teaching Machines) (1954): নতুন আচরণ শেখানোর জন্য মেশিনের ব্যবহারের বিষয়টি স্কিনারের এই পরীক্ষায় জড়িত। তিনি দেখিয়েছিলেন কীভাবে মেশিনগুলি তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া এবং শক্তিবৃদ্ধি প্রদান করতে পারে এবং কীভাবে সেগুলিকে জটিল আচরণ শেখাতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
4. আলবার্ট বান্দুরা:
❖ “বোবো ডল এক্সপেরিমেন্ট” (Bobo Doll Experiment) (1961): বান্দুরার এই পরীক্ষায় জড়িত ছিল, একটি ববো পুতুলের প্রতি আক্রমনাত্মক আচরণ কারী প্রাপ্তবয়স্ক মডেলের ভিডিও শিশুদের দেখানোর বিষয়টি । ভিডিওটি শিশুদের দেখানোর পর তাদের বোবো পুতুলের সাথে খেলার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল এবং দেখা যায় তারা পুতুলটির প্রতি আক্রমণাত্মক আচরণ প্রদর্শন করেছিল। এই পরীক্ষার মাধ্যমে বান্দুরা দেখিয়েছিলেন কীভাবে শিশুরা অন্যদের পর্যবেক্ষণ ও অনুকরণ করে আক্রমণাত্মক আচরণ শেখে।
❖ “স্ব-কার্যকারিতা তত্ত্ব” (Self-Efficacy Theory) (1977): বান্দুরার স্ব-কার্যকারিতা তত্ত্ব ব্যাখ্যা করে কিভাবে তাদের ক্ষমতা সম্পর্কে মানুষের বিশ্বাস তাদের আচরণ এবং প্রেরণাকে প্রভাবিত করে। তিনি দেখিয়েছেন কিভাবে অভিজ্ঞতা, পর্যবেক্ষণ এবং সামাজিক প্ররোচনার মাধ্যমে স্ব-কার্যকারিতা বাড়ানো যায়।
5. জিন পিয়াগেট:
❖ “সংরক্ষণের কাজ” (Conservation Tasks) (1950 এর দশক): পিয়াগেট-এর এই পরীক্ষায় জড়িত ছিল তরল, বালি বা ব্লকের মতো উপাদানগুলিকে পরিমাণ অনুযায়ী সংরক্ষণ করার জন্য শিশুদের প্রয়োজনীয় কাজগুলির একটি সিরিজ উপস্থাপন করা । এর মাধ্যমে তিনি দেখিয়েছেন কিভাবে শিশুরা বিভিন্ন ধাপের মাধ্যমে সংরক্ষণ এবং অন্যান্য গাণিতিক ধারণা সম্পর্কে তাদের বোধের বিকাশ ঘটায়।
❖ “জ্ঞানীয় বিকাশ তত্ত্ব” (Theory of Cognitive Development) (1950 এর দশক): পিয়াগেটের এই তত্ত্ব ব্যাখ্যা করে কিভাবে শিশুরা সেন্সরিমোটর, প্রি-অপারেশনাল, কংক্রিট অপারেশনাল এবং ফর্মাল অপারেশনাল সহ বিভিন্ন ধাপের মাধ্যমে তাদের জ্ঞানীয় ক্ষমতা বিকাশ করে।
6. আব্রাহাম মাসলো:
❖ “প্রয়োজনের শ্রেণিবিন্যাস” (Hierarchy of Needs) (1943): মাসলোর তত্ত্ব ব্যাখ্যা করে যে, কীভাবে মানুষের চাহিদাগুলি একটি শ্রেণিবদ্ধ কাঠামোতে সংগঠিত হয়, যার ভিত্তিস্তরে থাকে মৌলিক চাহিদা এবং শীর্ষস্তরে থাকে স্ব-বাস্তবকরণ প্রয়োজন। তিনি দেখিয়েছেন কিভাবে মানুষ উচ্চ-স্তরের প্রয়োজনে যাওয়ার আগে তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণে উদ্বুদ্ধ হয়।
7. এরিক এরিকসন:
❖ “সাইকোসোশ্যাল থিওরি” (Psychosocial Theory) (1950): এরিকসনের তত্ত্ব ব্যাখ্যা করে যে, কীভাবে মানুষের বিকাশ আটটি পর্যায়ে ঘটে । এই আটটি পর্যায়ের প্রতিটিতেই নিজস্ব স্বতন্ত্র সংকট বা সংঘাত থাকে। তিনি দেখিয়েছেন কিভাবে মানুষ তাদের পরিচয় এবং উদ্দেশ্যের বোধকে বিভিন্ন পর্যায়ের মাধ্যমে বিকাশ করে, যার মধ্যে রয়েছে বিশ্বাস বনাম অবিশ্বাস, স্বায়ত্তশাসন বনাম লজ্জা ও সন্দেহ, এবং সততা বনাম হতাশা।
প্রাথমিক টেট প্রস্তুতির জন্য ক্লিক করুনঃ
উচ্চ প্রাথমিক টেট প্রস্তুতির জন্য ক্লিক করুনঃ
8. লরেন্স কোহলবার্গ:
❖ “নৈতিক উন্নয়ন তত্ত্ব” (Moral Development Theory) (1950) : কোহলবার্গের তত্ত্ব ব্যাখ্যা করে যে, কীভাবে লোকেরা তাদের নৈতিক যুক্তির ক্ষমতাকে একটি সিরিজের মাধ্যমে বিকাশ করে। তিনি দেখিয়েছেন কিভাবে মানুষ একটি প্রাক-প্রচলিত স্তর থেকে উন্নতি করে, যেখানে তারা শাস্তি এড়াতে নিয়ম মেনে চলে। অন্যদিকে উত্তর-প্রচলিত স্তরে তারা তাদের নিজস্ব নৈতিক নীতিগুলি বিকাশ করে।
9. লেভ ভাইগোটস্কি:
❖ “প্রক্সিমাল ডেভেলপমেন্টের অঞ্চল” (Zone of Proximal Development) (1978): ভাইগোটস্কির ধারণা ব্যাখ্যা করে কিভাবে শিশুরা সামাজিক মিথস্ক্রিয়া এবং নির্দেশনার মাধ্যমে নতুন দক্ষতা এবং ধারণা শিখে। তিনি দেখিয়েছেন যে, কীভাবে শিশুরা অধিক কার্যকরভাবে শিখতে পারে যখন অধিক জ্ঞানী অন্যকারোর কাছ থেকে তাদের নির্দেশনা এবং সহায়তা দেওয়া হয়।
10. ড্যানিয়েল গোলম্যান:
❖ “আবেগজনিত বুদ্ধিমত্তা” (Emotional Intelligence) (1995): গোলম্যানের বইটি সংবেদনশীল বুদ্ধিমত্তার ধারণা এবং ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে সংবেদনশীল বুদ্ধিমত্তার গুরুত্বের সূচনা করেছে। অনুশীলন এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কীভাবে মানসিক বুদ্ধিমত্তা বিকাশ করা যায় তা তিনি এই গ্রন্থে দেখিয়েছেন।
❖ “সামাজিক বুদ্ধিমত্তা” (Social Intelligence) (2006): গোলম্যানের বইটিতে সামাজিক বুদ্ধিমত্তার ধারণা এবং ব্যক্তিগত ও পেশাগত সম্পর্কের ক্ষেত্রে এর গুরুত্ব অন্বেষণ করা হয়েছে। অনুশীলন এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কীভাবে সামাজিক বুদ্ধিমত্তা বিকাশ করা যায় তা তিনি এই গ্রন্থে দেখিয়েছেন। ➣ Read in English
