SLST Geography

SLST Geography Mountain Building Part-II

SLST Geography Mountain Building Part-II

WB SSC SLST এর বিজ্ঞপ্তি শুধু সময়ের অপেক্ষা । অনেকেই আরম্ভ করে দিয়েছেন প্রস্তুতি । কেনোই বা আরম্ভ করবেন না । চরম প্রতিযোগিতাপূর্ণ ক্ষেত্রে চুপিসারে প্রস্তুতি নিয়ে নিজেকে যতোটা এগিয়ে রাখা যায় ততই নিজের লাভ । অনেকেই আবার অপেক্ষা করছেন বিজ্ঞপ্তির জন্য । বিজ্ঞপ্তি বেরোলে আরম্ভ করবো এই মনোভাব কিন্তু আপনাকে অনেকটাই পিছিয়ে নিয়ে যেতে পারে । তাই টপিক ধরে ধরে এক্ষুনি আরম্ভ করুন প্রস্তুতি । আপনার প্রস্তুতি কে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমাদের SLST Geography বিভাগে নিয়মিত নজর রাখুন । আমরা নিরন্তর মক টেস্ট ও টপিক আলোচনা করে চলেছি । এখন আমরা SLST Geography Mountain Building Part-II নামক পোস্টে Mountain Building নামক টপিকটির পরবর্তী অংশ বিশদে আলোচনা করবো ।


পর্বত সৃষ্টি (Mountain Building)

[দ্বিতীয় অংশ]

⟽ পূর্ববর্তী অংশ

❖ পর্বত সৃষ্টিতে ভাঁজ ও চ্যুতির গুরুত্ব: ভাঁজ ও চ্যুতি পর্বত সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া, যা পৃথিবীর পৃষ্ঠকে গঠন করে এবং জটিল ভূতাত্ত্বিক কাঠামো তৈরি করে। এখানে তাদের গুরুত্ব তুলে ধরার জন্য কিছু মূল বিষয় রয়েছে:
➥ পর্বতমালার গঠন: পর্বতমালার গঠন একটি জটিল প্রক্রিয়া যার মধ্যে ভাঁজ ও চ্যুতি সহ বেশ কয়েকটি ভূতাত্ত্বিক প্রক্রিয়ার মিথস্ক্রিয়া জড়িত। এই প্রক্রিয়াগুলির গুরুত্ব তুলে ধরার জন্য এখানে কিছু মূল বিষয় রয়েছে:
i. ভাঁজ ও চ্যুতি: হিমালয়, আন্দিজ ও রকি পর্বতমালার মতো পর্বতমালার গঠনে ভাঁজ ও চ্যুতি অপরিহার্য প্রক্রিয়া।
উদাহরণ: ভারতীয় ও ইউরেশিয়ান পাতের সংঘর্ষের মাধ্যমে হিমালয় গঠিত হয়েছিল, যার ফলে ব্যাপক ভাঁজ ও চ্যুতি হয়েছিল। দক্ষিণ আমেরিকান পাতের নীচে নাজকা পাতের নিমজ্জনের মাধ্যমে আন্দিজ পর্বতমালা গঠিত হয়েছিল, যার ফলে আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপ ও পর্বত সৃষ্টির সৃষ্টি হয়েছিল।
ii. উত্থান ও বিকৃতি : ভাঁজ ও চ্যুতির ফলে পৃথিবীর ভূত্বক উত্থিত হয়, যার ফলে পর্বতের সৃষ্টি হয়। এই প্রক্রিয়াগুলি পৃথিবীর ভূত্বকের বিকৃতিও ঘটায়, যার ফলে জটিল ভূতাত্ত্বিক কাঠামো তৈরি হয়।
উদাহরণ: লারামাইড অরোজেনি যুগে ভূগাঠনিক উত্থান ও আগ্নেয়গিরির ক্রিয়াকলাপের সংমিশ্রণের মাধ্যমে রকি পর্বতমালা গঠিত হয়েছিল। প্যালিওজোয়িক যুগে ভাঁজ ও চ্যুতির সংমিশ্রণের মাধ্যমে অ্যাপালাশিয়ান পর্বতমালা গঠিত হয়েছিল।

➥ ভূতাত্ত্বিক গঠন : ভাঁজ ও চ্যুতি জটিল শিলা ও চ্যুতির নিদর্শন তৈরি করে, যা পৃথিবীর ভূতাত্ত্বিক ইতিহাস সম্পর্কে মূল্যবান তথ্য প্রদান করে।
i. জটিল নিদর্শন : ভাঁজ শিলাগুলির জটিল নিদর্শন তৈরি করে, যার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিক্লাইন, সিনক্লাইন ও মনোক্লাইন। চ্যুতি জটিল চ্যুতির নিদর্শন তৈরি করে, যার মধ্যে রয়েছে স্বাভাবিক চ্যুতি, বিপরীত চ্যুতি ও নতি-স্খলন চ্যুতি।
উদাহরণ: অ্যাপালাশিয়ান পর্বতমালায় ভাঁজ ও চ্যুতির জটিল নিদর্শন রয়েছে, যা অঞ্চলের ভূতাত্ত্বিক ইতিহাস সম্পর্কে মূল্যবান তথ্য প্রদান করে।
ii. ভূতাত্ত্বিক মানচিত্র: ভূতাত্ত্বিক মানচিত্র তৈরি এবং সম্ভাব্য প্রাকৃতিক সম্পদ সনাক্তকরণের জন্য ভাঁজ ও চ্যুতি বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
উদাহরণ: রকি পর্বতমালার ভূতাত্ত্বিক মানচিত্র তৈরি কয়লা এবং তেলের মতো সম্ভাব্য প্রাকৃতিক সম্পদ সনাক্তকরণে সহায়তা করেছে।

➥ পর্বত সৃষ্টি প্রক্রিয়া: সংকোচন শক্তির কারণে ভাঁজ ও চ্যুতি ঘটে, যার ফলে শিলা উত্থান ঘটে এবং পর্বত তৈরি হয়।
i. সংকোচন ও উত্থান : সংকোচন শক্তি ভাঁজ ও চ্যুতি ঘটায়, যার ফলে শিলা উত্থান হয়। শিলা উত্থানের ফলে পর্বত তৈরি হয়।
উদাহরণ: হিমালয় পর্বতমালা ভারতীয় ও ইউরেশিয়ান পাতের সংঘর্ষের মাধ্যমে গঠিত হয়েছিল, যার ফলে শিলা উত্থান ঘটে।
ii. ভূগাঠনিক কার্যকলাপ: ভাঁজ ও চ্যুতি ভূগাঠনিক কার্যকলাপ দ্বারা পরিচালিত হয়, যেমন পাতের সংঘর্ষ ও অধঃপতন।
উদাহরণ: দক্ষিণ আমেরিকান পাতের নীচে নাজকা পাতের অধঃপতনের মাধ্যমে আন্দিজ পর্বতমালা গঠিত হয়েছিল, যার ফলে আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপ ও পর্বত সৃষ্টি ঘটে।

✦ পর্বত সৃষ্টিতে আগ্নেয়প্রক্রিয়া ও চৌম্বকবাদের (Volcanism and Magmatism) গুরুত্ব : পর্বত সৃষ্টি, পৃথিবীর পৃষ্ঠ গঠন এবং জটিল ভূতাত্ত্বিক কাঠামো তৈরিতে আগ্নেয়প্রক্রিয়া ও চৌম্বকবাদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এখানে তাদের গুরুত্ব তুলে ধরার জন্য কিছু মূল বিষয় উল্লেখ করা হল:
➥ আগ্নেয়গিরি : আগ্নেয়গিরির মধ্যে ম্যাগমা ও আগ্নেয়গিরির পদার্থ, যেমন লাভা ও ছাইয়ের অগ্ন্যুৎপাত জড়িত। আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপ পৃথিবীর পৃষ্ঠে নতুন উপাদান যোগ করে এবং আগ্নেয়গিরির ভূমিরূপ তৈরি করে পর্বত সৃষ্টিতে অবদান রাখতে পারে।
উদাহরণ: উত্তর আমেরিকার ক্যাসকেড রেঞ্জ জুয়ান ডি ফুকা পাতের অবক্ষয়ের সাথে সম্পর্কিত আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপের মাধ্যমে গঠিত হয়েছিল। মাউন্ট সেন্ট হেলেন্স এবং মাউন্ট রেইনিয়ার হল ক্যাসকেড রেঞ্জের আগ্নেয়গিরির উদাহরণ।
➥ চৌম্বকবাদ : চৌম্বকবাদে পৃথিবীর পৃষ্ঠের নীচে ম্যাগমার চলাচল জড়িত করে, যা প্লুটন এবং আগ্নেয়গিরির শিলা গঠনের দিকে পরিচালিত করতে পারে। ম্যাগমেটিজম পৃথিবীর ভূত্বকে নতুন উপাদান যোগ করে এবং জটিল ভূতাত্ত্বিক কাঠামো তৈরি করে পর্বত সৃষ্টিতে অবদান রাখতে পারে।
উদাহরণ: ক্যালিফোর্নিয়ার সিয়েরা নেভাদা পর্বতমালা চুম্বকীয় ও সংস্থানিক ক্রিয়াকলাপের সংমিশ্রণের মাধ্যমে গঠিত হয়েছিল। সিয়েরা নেভাদা ব্যাথোলিথের গ্রানাইটিক শিলাগুলি ম্যাগম্যাটিক ক্রিয়াকলাপের ফলাফল।
➥ পর্বত সৃষ্টিতে ভূমিকা: আগ্নেয়প্রক্রিয়া ও ম্যাগমেটিজম পৃথিবীর পৃষ্ঠ ও ভূত্বকে নতুন উপাদান যুক্ত করতে পারে, যা পর্বত সৃষ্টিতে অবদান রাখে। এই প্রক্রিয়াগুলি আগ্নেয়গিরি, প্লুটন এবং আগ্নেয়গিরির চাপের মতো জটিল ভূতাত্ত্বিক কাঠামো তৈরি করতে পারে।
উদাহরণ: আন্দিজ পর্বতমালা নিমজ্জন, আগ্নেয়প্রক্রিয়া ও ম্যাগমেটিজমের সংমিশ্রণের মাধ্যমে গঠিত হয়েছিল। জাপানি দ্বীপমালা উত্তর আমেরিকান পাতের নীচে প্রশান্ত মহাসাগরীয় পাতের নিমজ্জনের মাধ্যমে গঠিত হয়েছিল, যার ফলে আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপ ও পর্বত সৃষ্টি হয়।

SLST Geography হোক বা PSC Geography প্রত্যেক ক্ষেত্রে সিলেবাস অনুযায়ী টপিক ধরে ধরে এরূপ ডিটেলস আলোচনাভিত্তিক স্টাডি ম্যাটেরিয়ালস পেতে প্রয়োজন অনুযায়ী নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন

➣ SLST Geography : IX-X

➣ SLST Geography : XI-XII

➮ PSC Geo Study Materials

☛ পর্বত সৃষ্টির ধরণ (Types of Mountain Building) : পর্বত সৃষ্টি বা অরোজেনেসিস, বিভিন্ন ভূতাত্ত্বিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঘটতে পারে। এখানে তিনটি প্রধান ধরণের পর্বত সৃষ্টির কথা বলা হল:
❖ সংঘর্ষমূলক অরোজেনেসিস (Collisional Orogenesis) : সংঘর্ষমূলক অরোজেনেসিস হল এক ধরণের পর্বত সৃষ্টি প্রক্রিয়া যা দুটি মহাদেশীয় পাতের সংঘর্ষ এবং চূর্ণবিচূর্ণ হওয়ার ফলে পর্বত তৈরি হয়। এই প্রক্রিয়াটি পৃথিবীর ভূত্বকের ঘনত্ব এবং বিকৃতি দ্বারা চিহ্নিত করা হয়, যার ফলে জটিল ভূতাত্ত্বিক কাঠামো তৈরি হয়।
➥ প্রক্রিয়া: দুটি মহাদেশীয় পাতের সংঘর্ষের ফলে পৃথিবীর ভূত্বক ঘন ও বিকৃত হয়, যার ফলে পর্বত তৈরি হয়। ভাঁজ, চ্যুতি এবং উত্থানের সংমিশ্রণের মাধ্যমে ভূত্বক ঘন হয়, জটিল ভূতাত্ত্বিক কাঠামো তৈরি হয়। শিলাগুলি ভাঁজ ও চ্যুতিগ্রস্থ হয়ে উত্থাপিত হয়, যার ফলে জটিল ভূতাত্ত্বিক কাঠামো সহ পর্বত তৈরি হয়।
➥ বৈশিষ্ট্য: সংঘর্ষমূলক অরোজেনেসিস জটিল ভূতাত্ত্বিক কাঠামো তৈরি করে, যার মধ্যে ভাঁজ, চ্যুতি ও উত্থান অন্তর্ভুক্ত। এই প্রক্রিয়ার ফলে হিমালয় এবং আল্পসের মতো উচ্চ পর্বতশ্রেণী তৈরি হতে পারে। মহাদেশীয় পাতগুলির সংঘর্ষের ফলে ক্রমাগত বিকৃতি ঘটতে পারে, সময়ের সাথে সাথে শিলাগুলি ভাঁজ ও চ্যুতি সহ উত্থিত হতে থাকে। ভারতীয় ও ইউরেশিয়ান পাতের মধ্যে চলমান সংঘর্ষের কারণে হিমালয় পর্বতমালা এখনও প্রতি বছর প্রায় ১ ইঞ্চি (২.৫ সেমি) বৃদ্ধি পাচ্ছে।
➥ উদাহরণ: ভারতীয় ও ইউরেশিয়ান পাতের সংঘর্ষের মাধ্যমে হিমালয় গঠিত হয়েছিল, যার ফলে পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশ্রেণী তৈরি হয়েছিল, যার উচ্চতা ৮,৮০০ মিটার (২৯,০০০ ফুট) এরও বেশি ছিল। আফ্রিকান ও ইউরেশিয়ান পাতের সংঘর্ষের মাধ্যমে আল্পস পর্বতমালা তৈরি হয়েছিল, যার ফলে ৪,৮০০ মিটার (১৫,৭০০ ফুট) এরও বেশি উচ্চতার একটি পর্বতশ্রেণী তৈরি হয়েছিল।

✦ নিমজ্জন-সম্পর্কিত অরোজেনেসিস (Subduction-Related Orogenesis) : নিমজ্জন-সম্পর্কিত অরোজেনেসিস হল এক ধরণের পর্বত সৃষ্টি প্রক্রিয়া, যেখানে একটি মহাসাগরীয় পাতকে অন্য কোন মহাদেশীয় পাতের নীচে জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হয় । এর ফলে আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপ ও পর্বত সৃষ্টি হয়। এই প্রক্রিয়াটি আগ্নেয়গিরির চাপ (Volcanic arcs) ও পর্বতশ্রেণী গঠন দ্বারা চিহ্নিত করা হয়।
➥ প্রক্রিয়া: একটি মহাসাগরীয় পাতের অবনমনের ফলে উপরের মহাদেশীয় পাতটি ক্রমবর্ধমান তাপ ও চাপের শিকার হয়, যার ফলে আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপ দেখা দেয়। আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপের ফলে কারণ ম্যাগমা ভূপৃষ্ঠে উঠে আসে এবং শক্ত হয়ে আগ্নেয়গিরির চাপ ও পর্বতশ্রেণী তৈরি করে । আগ্নেয়গিরির শিলা সঞ্চিত হওয়া এবং পৃথিবীর ভূত্বকের বিকৃতির ফলে পর্বত তৈরি হয়।
➥ বৈশিষ্ট্য: নিমজ্জন-সম্পর্কিত অরোজেনেসিস একটি জটিল ভূতাত্ত্বিক প্রক্রিয়া যা বেশ কয়েকটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে। এই বৈশিষ্ট্যগুলি নিমজ্জিত মহাসাগরীয় পাত ও উপরিউত্থিত মহাদেশীয় পাতের মধ্যে মিথস্ক্রিয়ার ফলাফল।
i. আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপ: নিমজ্জন-সম্পর্কিত অরোজেনেসিস আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপ দ্বারা চিহ্নিত করা হয়, যার ফলে আগ্নেয়গিরি চাপ ও পর্বতশ্রেণী তৈরি হয়। মহাসাগরীয় পাতের অবনমনের ফলে ম্যাগমা তৈরি হয়, যা পৃষ্ঠে উঠে আগ্নেয়গিরি ও আগ্নেয়গিরির শিলাস্তর তৈরি করে।
ii. পর্বত সৃষ্টি: আগ্নেয়গিরি নির্গত শিলা জমা হওয়া এবং পৃথিবীর ভূত্বকের বিকৃতির ফলে পর্বত তৈরি হয়। নিমজ্জন-সম্পর্কিত অরোজেনেসিস প্রক্রিয়া ভূত্বকের বিকৃতির দিকে পরিচালিত করে, যার ফলে ভাঁজ, চ্যুতি এবং অন্যান্য ভূতাত্ত্বিক কাঠামো তৈরি হয়।
iii. ভূমিকম্পের কার্যকলাপ: নিমজ্জন-সম্পর্কিত অরোজেনেসিস প্রায়শই ভূমিকম্পের কার্যকলাপের সাথে থাকে, যা ভূগাঠনিক পাতের নড়াচড়ার ফলে ঘটে। মহাসাগরীয় পাতের নিমজ্জনের ফলে ভূমিকম্প ও কম্পন হয়।
➥ উদাহরণ: i. আন্দিজ পর্বতমালা: দক্ষিণ আমেরিকান পাতের নীচে নাজকা পাতের নিমজ্জনের মাধ্যমে আন্দিজ পর্বতমালা গঠিত হয়েছিল, যার ফলে 6,900 মিটার (22,600 ফুট) এর বেশি উচ্চতার একটি আগ্নেয়গিরির চাপ তৈরি হয়েছিল। ii. জাপানি দ্বীপ চাপ: উত্তর আমেরিকান পাতের নীচে প্রশান্ত মহাসাগরীয় পাতের নিমজ্জনের মাধ্যমে জাপানি দ্বীপ চাপ তৈরি হয়েছিল, যার ফলে ঘন ঘন ভূমিকম্প এবং আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের সাথে একটি আগ্নেয়গিরির চাপ তৈরি হয়েছিল।

✦ আগ্নেয়গিরি সংক্রান্ত অরোজেনেসিস (Volcanic Orogenesis) : আগ্নেয়গিরির উৎপত্তি হল এক ধরণের পর্বত সৃষ্টি প্রক্রিয়া যা আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপের মাধ্যমে ঘটে। এই প্রক্রিয়ায় ম্যাগমা পৃথিবীর পৃষ্ঠে স্থানান্তরিত হয়, যার ফলে আগ্নেয়গিরি এবং আগ্নেয়গিরি সংশ্লিষ্ট ভূমিরূপ তৈরি হয়।
➥ আগ্নেয়গিরির উৎপত্তি প্রক্রিয়া: আগ্নেয়গিরির উৎপত্তি প্রক্রিয়ায় বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় জড়িত যা পৃথিবীর পৃষ্ঠকে আকৃতি দেয় এবং আগ্নেয়গিরি সংশ্লিষ্ট ভূমিরূপ তৈরি করে।
i. অগ্ন্যুৎপাত জনিত কার্যাবলী : আগ্নেয়গিরির উৎপত্তি বিভিন্ন স্থানে ঘটতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে: মধ্য-সমুদ্রের ঢাল: যেখানে ভূগাঠনিক পাতগুলি বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে এবং নতুন ভূত্বক তৈরি হচ্ছে। হটস্পট: এমন এলাকা যেখানে ম্যাগমা পৃষ্ঠে উঠতে সক্ষম, প্রায়শই আগ্নেয়গিরির দ্বীপ তৈরি হচ্ছে। নিমজ্জন অঞ্চল: যেখানে একটি ভূগাঠনিক পাত অন্যটির নীচে নিমজ্জিত হওয়ার ফলে আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপের সৃষ্টি হচ্ছে।
ii. আগ্নেয় শিলার সঞ্চয়: আগ্নেয় শিলার সঞ্চয় পৃথিবীর পৃষ্ঠকে উঁচু করে তুলতে পারে, যার ফলে আগ্নেয়গিরির উৎপত্তি হতে পারে। এই প্রক্রিয়ার ফলে বিভিন্ন ধরণের শিলার সঞ্চয় হতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে লাভা প্রবাহ, ছাই জমা ও আগ্নেয় ব্রেকশিয়া ইত্যাদি ।
iii. আগ্নেয়গিরি সংশ্লিষ্ট ভূমিরূপের গঠন: আগ্নেয়গিরির ক্রিয়াকলাপের ফলে বিভিন্ন ভূমিরূপ তৈরি হতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে: শিল্ড আগ্নেয়গিরি: মৃদু ঢালু আগ্নেয়গিরি যার ভিত্তি প্রশস্ত এবং যা সমতল বা গোলাকার চূড়া যুক্ত । স্ট্র্যাটোভোলকানো: খাড়া ঢাল এবং সরু চূড়া সহ লম্বা শঙ্কুযুক্ত আগ্নেয়গিরি। আগ্নেয় ক্ষেত্র: অসংখ্য ছোট আগ্নেয়গিরি এবং আগ্নেয়গিরির বৈশিষ্ট্য সহ বিস্তৃত আগ্নেয় ক্রিয়াকলাপের ক্ষেত্র।
➥ আগ্নেয়গিরি সংক্রান্ত অরোজেনেসিসের বৈশিষ্ট্য: আগ্নেয়গিরি সংক্রান্ত অরোজেনেসিস একটি ভূতাত্ত্বিক প্রক্রিয়া যা বিভিন্ন স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে। এই বৈশিষ্ট্যগুলি আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপ এবং আগ্নেয়গিরিজাত শিলা জমা হওয়ার ফলাফল।
i. আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপ: আগ্নেয়গিরি জনিত অরোজেনেসিস আগ্নেয়গিরির ক্রিয়াকলাপ দ্বারা চিহ্নিত করা হয়, যার ফলে আগ্নেয়গিরি জাত শিলা ও ভূমিরূপ তৈরি হয়। পৃথিবীর পৃষ্ঠে ম্যাগমার চলাচল আগ্নেয়গিরির ক্রিয়াকলাপের একটি মূল দিক।
ii. আগ্নেয় পর্বতমালার গঠন: এই প্রক্রিয়ার ফলে আগ্নেয়গিরির শিলা জমা হওয়ার মাধ্যমে আগ্নেয় পর্বতমালা তৈরি হয়। আগ্নেয়গিরির শিলা জমা হওয়ার ফলে পৃথিবীর পৃষ্ঠতল তৈরি হতে পারে, যার ফলে আগ্নেয় পর্বতমালা তৈরি হতে পারে।
iii. ভূমিরূপের বিভিন্নতা: আগ্নেয়গিরির অরোজেনেসিসের ফলে শিল্ড আগ্নেয়গিরি তৈরি হতে পারে, যা মৃদু ঢালু আগ্নেয়গিরি যার ভিত্তি প্রশস্ত এবং একটি সমতল বা গোলাকার চূড়া যুক্ত । এই প্রক্রিয়ার ফলে স্ট্র্যাটোভলকানোও তৈরি হতে পারে, যা খাড়া ঢাল এবং একটি সংকীর্ণ চূড়া সহ লম্বা, শঙ্কুযুক্ত আগ্নেয়গিরি। আগ্নেয়গিরির অরোজেনেসিসের ফলে আগ্নেয়গিরির ক্ষেত্রও তৈরি হতে পারে, যা অসংখ্য ছোট আগ্নেয়গিরি ও আগ্নেয়গিরির বৈশিষ্ট্য সহ বিস্তৃত আগ্নেয় কার্যকলাপের ক্ষেত্র।

SLST Geography Mock Test Series 

➣ SSC SLST GEOGRAPHY MOCK TEST SERIES : IX-X

➣ SSC SLST GEOGRAPHY MOCK TEST SERIES : XI-XII

➥ উদাহরণ: i. ক্যাসকেড রেঞ্জ: উত্তর আমেরিকার ক্যাসকেড রেঞ্জটি জুয়ান ডি ফুকা পাতের অধঃপতনের সাথে সম্পর্কিত আগ্নেয়গিরির ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে গঠিত হয়েছিল, যার ফলে মাউন্ট সেন্ট হেলেন্স এবং মাউন্ট রেইনিয়ার সহ আগ্নেয়গিরির শৃঙ্খল তৈরি হয়েছিল।
i. হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জ: হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জ আগ্নেয়গিরির ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে গঠিত হয়েছিল, যেখানে ম্যাগমা ভূপৃষ্ঠে উঠেছিল, যার ফলে ঢাল আগ্নেয়গিরি তৈরি হয়েছিল যার শিখর 4,200 মিটার (13,800 ফুট) এরও বেশি উচ্চতায় পৌঁছেছিল।
➥ তথ্য: i. সক্রিয় আগ্নেয়গিরি: ক্যাসকেড রেঞ্জে 30 টিরও বেশি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি সহ অনেক সুপ্ত আগ্নেয়গিরি রয়েছে।
ii. শিল্ড আগ্নেয়গিরি: হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে পাঁচটি ঢাল আগ্নেয়গিরি রয়েছে, যার মধ্যে মাউনা কেয়া এবং মাউনা লোয়া পৃথিবীর বৃহত্তম দুটি আগ্নেয়গিরি।
iii. আগ্নেয় ভূমিরূপ: হাওয়াইয়ান দ্বীপপুঞ্জ বিভিন্ন ধরণের আগ্নেয় ভূমিরূপ দ্বারা চিহ্নিত, যার মধ্যে শিল্ড আগ্নেয়গিরি, আগ্নেয়গিরির শঙ্কু এবং লাভা প্রবাহ অন্তর্ভুক্ত। ➣ Next Part


➣ New Published : উচ্চ মাধ্যমিক ভূগোল নির্যাস [দ্বাদশ; তৃতীয় সেমিস্টার]

⟽ Previous Post : SLST Geo MCQ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page