Soil forming process and factors Part-II
Soil forming process and factors Part-II
পরিবর্তন হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক ভূগোলের সিলেবাস । নতুন সিলেবাস অনুযায়ী সমগ্র উচ্চ মাধ্যমিক ভূগোলকে চারটি সেমিস্টারে বিভক্ত করা হয়েছে, যেখানে একাদশ শ্রেণীতে দুটি এবং দ্বাদশ শ্রেণীতে দুটি সেমিস্টার অন্তর্ভুক্ত । উচ্চ মাধ্যমিক ভূগোলের নতুন সিলেবাসের ভিত্তিতে ভূগোলের সেমিস্টার ভিত্তিক বিষয়বস্তুকে আলোচনা করার জন্য আমরা একাদশ ভূগোল নির্যাস : দ্বিতীয় সেমিস্টার বিভাগের সূচনা করি । এই বিভাগে এখন আমরা আলোচনা করবো একাদশ শ্রেণীর দ্বিতীয় সেমিস্টারের Physical Geography এর Unit-II এর Geomorphic Process অধ্যায় এর অন্তর্ভুক্ত টপিক Soil forming process and factors সম্পর্কিত প্রথম অংশ । সমগ্র অধ্যায়টি বেশ কয়েকটি পর্বে শেষ হবে, তাই পরবর্তী পর্বটি পড়ার জন্য Next Part এ ক্লিক করো । তাহলে আর অপেক্ষা না করে চলো আমরা মূল বিষয়ে প্রবেশ করি ➦
মৃত্তিকা সৃষ্টির প্রক্রিয়া ও উপাদান (দ্বিতীয় অংশ)
☛ মৃত্তিকা সৃষ্টির ক্ষেত্রে ভূপ্রকৃতির প্রভাব : মৃত্তিকা সৃষ্টিতে ভূপ্রকৃতির ভূমিকা নিষ্ক্রিয় । কিন্তু ভূমির উচ্চতা, বন্ধুরতা, ঢাল এর উপর নির্ভর করে মাটির স্তর ও গভীরতা গঠিত হয়, যেমন -i. পাহাড়ী অঞ্চলে ভূমির অত্যধিক ঢালের জন্য ভূমি ক্ষয়ের প্রভাবে মাটি স্তর পাতলা (5-10 সেমিঃ) হয় । ii. সমভূমি অঞ্চলে ভূমির ঢাল কম ফলে ভূমিক্ষয় কমের জন্য গভীর স্তর যুক্ত মাটি গঠিত হয়েছে । iii. মরুভূমিতে সিরোজেম, নদী উপত্যকা য় পলি, উপকূল ভাগে উপকূলীয়, দাক্ষিণাত্যের মালভূমিতে রেগুর মাটি লক্ষ্য করা যায় ।
➦ ভূপ্রকৃতির বৈশিষ্ট্য : যেমন- উচ্চতা, ঢালের প্রকৃতি, দিক ও আকৃতির ওপর নির্ভর করে বিভিন্ন ধরণের মাটির গঠন হয়ে থাকে। যথা- (i. ভূমির বিভিন্ন উচ্চতায় বৃষ্টিপাত, উষ্ণতা ও উদ্ভিদের নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে আলাদা আলদা মৃত্তিকা সৃষ্টি হয়। উপত্যকার উচ্চ অংশ থেকে নিম্নঅংশ পর্যন্ত ঢাল অনুসারে বিভিন্ন ধরণের মৃত্তিকা সৃষ্টি হয়। একে মাটির ক্যাটেনা বলে। (ii. ভুমির ঢালের তিনটি অংশই মৃত্তিকা সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। যেমন- (A) অপেক্ষাকৃত উচ্চ ঢালে জলনিকাশি ব্যবস্থা বেশি কার্যকরী হয় ফলে আবহবিকারজাত পদার্থ দ্রুত অপসারিত হয়ে মাটি গঠনে বাধা সৃষ্টি করে। এছাড়াও, অনুস্রাবণ প্রক্রিয়ার অনুপস্থিতিতে মাটির স্তর অপরিনত ও অগভীর হয় (প্রায় 50 সেমি-র কম)। (B) মধ্যম ঢাল যুক্ত অঞ্চলে জলনিকাশি ব্যবস্থা মধ্যম মানের সুতরাং মাটির স্তরের গভীরতা মধ্যম মানের। (C) সমতল ভূমিতে পৃষ্ঠ প্রবাহের হার কম এবং অনুস্রাবণ প্রক্রিয়া বেশি সুতরাং মাটির স্তরের গভীরতা বেশি এবং সুস্পষ্ট। (iii. ভূমির ঢালের দিক মাটি গঠনের ওপর প্রভাব ফেলে। যথা- উত্তর গোলার্ধের উচ্চভূমির দক্ষিণ দিকের ঢাল অপেক্ষাকৃত বেশি আলোকিত, উষ্ণ ও আর্দ্র হয়। ফলে মাটির গঠন সস্পষ্ট, সূক্ষ্ণ গ্রথন বিশিষ্ট মাটি সৃষ্টি হয়। (iv. ঢালের আকৃতি মাটি গঠনের অন্যতম নিয়ন্ত্রক, যথা- উত্তল ঢালে ক্ষয়কার্য বেশি হয় ফলে মাটির স্তর অগভীর হয়, অন্যদিকে অবতল ঢালে সঞ্চয়কার্যের হার বেশি হওয়ায় স্তর পুরু ও সুস্পষ্ট হয়ে থাকে।
☛ মৃত্তিকা গঠনে সময়ের প্রভাব : প্রারম্ভ থেকে পরিণত অবস্থায় একটি আদর্শ মৃত্তিকা সৃষ্টি হতে হাজার হাজার বছর সময় লাগে । মাত্র 2 সেমিঃ পুরু মাটি তৈরি হতে 500 বছর সময় লাগে । কম সময় ধরে মাটি সৃষ্টির উপাদানগুলো কাজ করলে মাটি হয় অপরিণত, যেমন – রেন্ডজিনা । অনুকূল পরিবেশে মাটির A, B, C তিনটি স্তর গঠিত হতে অন্তত কয়েকশো বছর সময় লাগে, যেমন – নদীর ধারে সঞ্চিত পলি হিমবাহের গ্রাবরেখা প্রভৃতি অল্প দিনে সঞ্চিত হওয়ায় এর উন্নত পরিলেখ গঠিত হয় না ।
আবহবিকার গ্রস্ত শিলাচূর্ণ বা রেগোলিথ থেকে পরিণত মাটি গঠন পর্যন্ত অতিক্রান্ত সময়কে মৃত্তিকা সৃষ্টির সময় বলে। একটি পরিণত মৃত্তিকা স্তর সৃষ্টি হতে কয়েক জাহার বছর সময় লাগে। মৃত্তিকা গঠন পর্যায়- মৃত্তিকা বিজ্ঞানী মোহর (1969) সালে সময়ের সাথে মাটি গঠনের পাঁচটি পর্যায় উল্লেখ করেছেন। যথা- (i. প্রারম্ভিক পর্যায় (Initial Stage)- আদি বা জনক শিলা অবিকৃত অবস্থায় থাকে, অত্যন্ত অপরিনত মৃত্তিকা গঠিত হয়। (ii. তরুণ পর্যায় (Juvenile Stage)- আদি শিলাতে আবহবিকার শুরু হয়, প্রাথমিক খনিজের প্রাধান্য লক্ষ করা যায়। (iii. যৌবন পর্যায় (Virile Stage)- কাদা-কণা ও গৌণ খনিজের পরিমান বৃদ্ধি পায়। (iv. বার্ধক্য পর্যায় (Senile Stage)- অত্যন্ত কঠিন খনিজ দ্বারা সকল খনিজের বিয়োজন কাজ শেষ হয়। (v. পরিণত পর্যায় (Final Stage)- মাটি গঠন প্রক্রিয়ার সমাপ্তি ঘটে, পরিনত মৃত্তিকা ও স্তর সুস্পষ্ট হয়।
বৈশিষ্ট্য– (A) সময়ের সাথে সাথে মাটির স্তর বিভাজন সুস্পষ্ট হয়। (B) আর্দ্রপরিবেশে সময় বৃদ্ধির সাথে সাথে মাটিতে ক্যালসিয়াম কার্বোনেটের পরিমান হ্রাস পায়। (C) হালকা উষ্ণ পরিবেশে সময়ের সাথে নাইট্রোজেন ও জৈব পদার্থ বৃদ্ধি পায়। (D) আর্দ্র অঞ্চলে সময় বৃদ্ধির সাথে হাইড্রোজেন আয়নের গাঢ়ত্ব বৃদ্ধি পায়। (E) আর্দ্র অঞ্চলে দ্রুত রাসায়নিক আবহবিকার ঘটে ফলে অল্প সময়েই মাটি পরিনতি লাভ পায়। (F) মাত্র 1 ইঞ্চি পুরু মাটি গঠন হতে কয়েকশো বছর সময় লাগে।
☛ মৃত্তিকা সৃষ্টির প্রক্রিয়া : যে প্রক্রিয়ায় আদি শিলা থেকে মাটি পরিপূর্ণতা লাভ করে তাকে মাটির গঠন প্রক্রিয়া বলে । মাটি সৃষ্টির প্রক্রিয়াগুলো হলঃ A. প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া : i. স্তূপীকরণ, ii. স্থান পরিবর্তন, iii. দ্রবণ আকারে স্থানান্তর, iv. ভাসমান অবস্থায় স্থানান্তর ; B. রাসায়নিক প্রক্রিয়া : i. জল যোজন, ii. হাইড্রোলিসিস, iii. কার্বন সংযোজন ; C. জৈবিক প্রক্রিয়া : i. স্থানান্তরন, ii. নাইট্রোজেন বিশ্লিষ্টকরণ ; D. যৌগিক প্রক্রিয়া : i. হৃতমানকরণ, ii. চুয়ী সরণ, পডজলিকরণ ইত্যাদি ।
➦ ধৌতিকরণ (Eluviation) : মৃত্তিকা সৃষ্টির একটি গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক প্রক্রিয়া এলুভিয়েশন । এর অর্থ হল ‘ধৌতিকরণ’ । যে পদ্ধতিতে অনুস্রবনরত জলের সাথে মৃত্তিকা উপাদানগুলি প্রলম্বিত বা দ্রবীভূত অবস্থায় ঊর্ধ্ব স্তর থেকে নিম্নস্তর গুলিতে আধোগত হয় তাকে এলুভিয়েশন বলে । ইহা দুই প্রকারের, যথাঃ যান্ত্রিক ও রাসায়নিক । এলুভিয়েশনের হার বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রা প্রভৃতির উপর নির্ভরশীল ।
একাদশ শ্রেণীর দুটি সেমিস্টারের In Details আলোচনা রয়েছে ইবুক দুটিতে 📥
♦️ইবুক : উচ্চ মাধ্যমিক ভূগোল নির্যাস : একাদশ, প্রথম সেমিস্টার
♦️ইবুক : উচ্চ মাধ্যমিক ভূগোল নির্যাস : একাদশ, দ্বিতীয় সেমিস্টার)
➦ চুয়ীসরণ (Illuviation) : মৃত্তিকা সৃষ্টির অপর এক গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক প্রক্রিয়া ইলুভিয়েশন । যে প্রক্রিয়ায় মাটির ঊর্ধ্বস্তর বা A স্তর বা এলুভিয়েশন স্তর থেকে মৃত্তিকা খনিজ দ্রব্যগুলি যান্ত্রিক বা রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে নীচে নেমে ‘B’ স্তরে সঞ্চিত হয় তাকে ইলুভিয়েশন প্রক্রিয়া বলে । বেশী বৃষ্টি হলে ইলুভিয়েশন সংঘটিত হয় প্রায় 150 সেমিঃ গভীরতায়, কম বৃষ্টিপাত যুক্ত অঞ্চলে এই গভীরতা 50 সেমিঃ ।
➦ ধৌত প্রক্রিয়া (Leaching) : যে প্রক্রিয়ায় সহজ দ্রবনীয় বিভিন্ন জৈব ও অজৈব পদার্থ যেমন খনিজ লবণ, বিভিন্ন জৈব ও অজৈব অ্যাসিড ইত্যাদি জলে দ্রবীভূত হয়ে নিম্ন দিকের মৃত্তিকা স্তরে স্থানান্তরিত হয় তাকে লিচিং প্রক্রিয়া বলে । এই প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট মাটি হল অম্ল ধর্মী ল্যাটোসোল, পডজল ইত্যাদি । সাধারণতঃ শীতল-আর্দ্র পর্ণমোচি বৃক্ষের বনভূমিভাগে এই প্রক্রিয়া অধিক কার্যকর।
➦ ল্যাটেরাইজেশন (Laterization) : ল্যাটেরাইট মাটি গঠনের প্রক্রিয়াকে ল্যাটেরাইজেশন বলে । যে প্রক্রিয়ায় ক্রান্তীয় উষ্ণ ও আর্দ্র জলবায়ুতে বর্ষাকালে মাটির উপরের স্তর থেকে মাটি ধুয়ে যাবার সময় বালি বা সিলিকার অক্সাইড অপসারিত হয় এবং লোহা ও অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইড মাটির উপরের স্তরে বা সামান্য গভীরতায় সঞ্চিত থেকে যায়, তাকে ল্যাটেরাইজেশন বলে ।
➦ পডজোলাইজেশন (Podjolization) : পডজল মাটি গঠনের প্রক্রিয়াকে পডজোলাইজেশন বলে । শীতল নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ুতে যেসব স্থানে বৃষ্টিপাত তুলনামূলক কিছুটা বেশী সেসব স্থানে মাটির উপরের সিলিকা সমৃদ্ধ পদার্থগুলো জমে লোহা ও অ্যালুমিনিয়ামের অপসারিত হওয়ার এবং ‘B’ স্তরে সঞ্চিত হওয়ার প্রক্রিয়াকে পডজোলাইজেশন বলে । এই উপায়ে ধূসর বা ছাই রঙের মাটি সৃষ্টি হয় ।
➦ ক্যালসিফিকেশন (Calsification) : মাটির পরিলেখের কোন এক স্থানে ক্যালসিয়াম কার্বনেটের সঞ্চয় যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঘটে তাকে ক্যালসিফিকেশন বলে । তৃণভূমি অঞ্চলে, যেখানে কম বৃষ্টিপাত হয় সেখানে এই প্রক্রিয়া কাজ করে । এই পদ্ধতিতে চুনাপাথর যুক্ত অঞ্চলে পেডোক্যাল মাটির সৃষ্টি হয় । নাতিশীতোষ্ণ তৃণভূমিতে এর ফলে চার্ণোজেম মাটি সৃষ্টি হয় ।
➦ হিউমিফিকেশন (Humification) : আর্দ্র বা উপআর্দ্র জলবায়ু যুক্ত অঞ্চলে যে পচনমূলক প্রক্রিয়ায় জৈব পদার্থ সমূহ হিউমাসে পরিণত হয় তাকে হিউমাস গঠন বা হিউমিফিকেশন বলে । বিভিন্ন জীব তথা ব্যাকটেরিয়া, ফাংগি, কেঁচো, উই প্রভৃতি জৈব পদার্থের পচনের এরূপ জটিল প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে ।
➦ স্যালিনাইজেসন (Salinization) : লবণাক্ত বা সোলোনচাক মাটি সৃষ্টির একটি প্রক্রিয়া হল স্যালিনাইজেসন । যে প্রক্রিয়ায় মরু ও মরুময় অঞ্চলে জলাভাবে মাটির পরিলেখে Ca, Mg, Na ও K এর সালফেট, ক্লোরাইড প্রভৃতি লবণ সঞ্চিত হয় তাকে স্যালিনাইজেসন বলে । এই প্রক্রিয়ায় গঠিত মাটিতে সাধারণ লবণের পরিমাণ হয় 2% এবং PH 8.5 বা তার বেশী ।
☛ PSC Geography Study Materials
➦ গ্লেইজেসন (Gleization) : প্রধানতঃ জলমগ্ন এলাকার মৃত্তিকাতে অক্সিজেনের পরিমাণ কম থাকায় ক্ষুদ্র জীবাণুসমূহ মৃত্তিকাস্থ জৈব পদার্থ জারনের পরিবর্তে বিজারণ প্রক্রিয়ায় জৈব অম্লের সৃষ্টি করে । ফলে পুরপুরি জলে সম্পৃক্ত থাকায় ধৌতকরণ না হওয়ার জন্য মৃত্তিকা স্বাভাবিক বাদামী রঙের পরিবর্তে নীলাভ বাদামী বা ধূসর রঙের হয় । মাটি গঠনের এই প্রক্রিয়াকে গ্লেইজেসন বলে ।
➦ অ্যালকালাইজেশন (Alkalization) : যে প্রক্রিয়ায় শুষ্ক মরু অঞ্চলে মাটির কাদাকণা যৌগে Ca, Mg প্রভৃতি আয়নের থেকে Na আয়ন বেশী জমা হয় তাকে অ্যালকালাইজেশন বলে । Na আয়ন কাদাকণা ও জৈব পদার্থের সাথে বিক্রিয়া করে মাটিকে অতি মাত্রায় ক্ষারকিয় করে তোলে এবং মাটির চার ধারে কালো রঙের আবরণ তৈরী করে ।
➦ ফেরালাইটিজেশন (Feralitezation) : যে প্রক্রিয়ায় আর্দ্র গ্রীষ্মমন্ডলীয় জলবায়ুর অধিক বৃষ্টিপাত এবং বেশী তাপে প্রধান বা মূল শিলা কেউলিনাইট ও সেসক্যুই অক্সাইড সমৃদ্ধ মাটিতে পরিণত করে তাকে ফেরালাইটিজেশন বলে । প্রক্রিয়া কালে মাটি আম্লিক হয়ে পড়ে । এই প্রক্রিয়ায় উত্পন্ন মাটি হল চারনোজেম; ফেরালাইটিক ।
➦ খনিজিকরণ (Mineralization) : যে প্রক্রিয়ায় হিউমাস গঠনকারী খনিজ পদার্থ গুলি পুনরায় মাটিতে মেশে তাকে খনিজিকরণ বলে । সব মাটিতেই এই প্রক্রিয়া কাজ করে আবার হিউমিফিকেশণের বিপরীত প্রক্রিয়া এটি । এতে দীর্ঘকালীন ব্যবধানে হিউমাস বিয়োজিত হয় এবং মাটিতে নাইট্রোজেন যৌগ গুলি নির্গত হয় ।