SLST Geography

Solar Insolation SLST Geography Special

Solar Insolation SLST Geography Special

WB SSC SLST এর বিজ্ঞপ্তি শুধু সময়ের অপেক্ষা । অনেকেই আরম্ভ করে দিয়েছেন প্রস্তুতি । কেনোই বা আরম্ভ করবেন না । চরম প্রতিযোগিতাপূর্ণ ক্ষেত্রে চুপিসারে প্রস্তুতি নিয়ে নিজেকে যতোটা এগিয়ে রাখা যায় ততই নিজের লাভ । অনেকেই আবার অপেক্ষা করছেন বিজ্ঞপ্তির জন্য । বিজ্ঞপ্তি বেরোলে আরম্ভ করবো এই মনোভাব কিন্তু আপনাকে অনেকটাই পিছিয়ে নিয়ে যেতে পারে । তাই টপিক ধরে ধরে এক্ষুনি আরম্ভ করুন প্রস্তুতি । আপনার প্রস্তুতি কে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমাদের SLST Geography বিভাগে নিয়মিত নজর রাখুন । আমরা নিরন্তর মক টেস্ট ও টপিক আলোচনা করে চলেছি । এখন আমরা Solar Insolation SLST Geography Special নামক পোস্টে Climatology এর গুরুত্বপূর্ণ টপিক বিশদে আলোচনা করবো ।


➣ Join : Our Telegram Channel ☛ Bhugolika-Niryas


Niryas Study SLST Materials Topic : 38

সৌর বিকিরণ (Solar Insolation)

⟽ Previous Topic : Geomorphic Hazard

☛ প্রাককথন : আমাদের সৌরমণ্ডলের একমাত্র নক্ষত্র হল সূর্য । সূর্য প্রায় 1.4 মিলিয়ন কিঃমিঃ (870,000 মাইল) (695,700 কিঃমিঃব্যাসার্ধ) ব্যাস যুক্ত অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত, যা পৃথিবীর ব্যাসের 110 গুণ । সৌর পৃষ্ঠ পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে প্রায় 11,990গুণ বড়ো । সূর্যের মধ্যে প্রায়দশ লক্ষেরও বেশি পৃথিবী অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হবে । যদি গোলাকৃতিপৃথিবীকে সূর্যের ভিতরে ফাঁকা যায়গা সহ বসানো হয় তাহলে প্রায় 960,000 পৃথিবী যায়গা করে নিতে পারবে আবার যদি কোন ফাঁকা স্থান না রাখা হয় তাহলে প্রায়1,300,000 পৃথিবী অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে ।
নক্ষত্র হিসাবে বর্ণালী মানের (Spectral Standards) ভিত্তিতেসূর্য G2V শ্রেণির অন্তর্গত । এখানে G2 বর্ণালী প্রকৃতি (Spectral type) এবং V উজ্জ্বলতার শ্রেণি (luminosity class) নির্ধারণ করছে । এই অনুযায়ী আমাদের সূর্য G-type main-sequence star এবং ইহা একটি হলুদ বামন নক্ষত্র ।

☛ সূর্যের প্রধান উপাদান : পারমাণবিক গঠন অনুযায়ী সূর্যের প্রধান উপাদানগুলি হল হাইড্রোজেন, হিলিয়াম এবং অন্যান্য মহাজাগতিক উপাদান । National Aeronautics and Space Administration এর তথ্য অনুযায়ী সূর্যের পারমাণবিক উপাদানগুলির মধ্যে সূর্যে হাইড্রোজেনের পরিমান 92.1% এবং হিলিয়ামের পরিমান প্রায় 7.8% এছাড়া মাত্র 0.1% অন্যান্য মহাজাগতিক উপাদানের সমন্বয় ঘটেছে ।
আবার অন্যদিকে সৌর ভরের বিন্যাসগত দিক থেকে সূর্যের 70.6% হল হাইড্রোজেন এবং 27.4% হল হিলিয়াম ।
সূর্যের Photosphere এর রাসায়নিক গঠন অনুযায়ী 73.46% Hydrogen এবং 24.85% Helium দ্বারা গঠিত । এছাড়া অন্যান্য রাসায়নিক উপাদান হিসাবে Oxygen 0.77%, Carbon 0.29%, Iron 0.16%, Neon 0.12%, Nitrogen 0.09%, Silicon 0.07%, Magnesium 0.05%, Sulfur 0.10% ইত্যাদির উপস্থিতি রয়েছে ।

☛ সূর্যের আলো নির্গমন : সূর্যের আলো সূর্য থেকে Electromagnetic Radiation (EMR) আকারে ছড়িয়ে পড়ে । ইহা তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের পার্থক্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত, যথাঃ Gamma Rays, X-rays, এবং Ultraviolet Rays (UV rays) ইত্যাদি ।

☛ সূর্যের কেন্দ্রীয় অংশ : সূর্যের কেন্দ্রীয় অংশ তিনটি অংশে বিভক্ত, এর কেন্দ্র থেকে পৃষ্ঠের দিকে অংশগুলি হলঃ The Core, The Radiative Zone এবং The Convective Zone।
সৌর কেন্দ্র (The Core) : সূর্যের যে অংশে আভ্যন্তরীণ হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম গ্যাসের মিশ্রণের ফলে PP (Proton-Proton) Chain Reaction পদ্ধতিতে Nuclear Fusion ঘটে সেই ঘন ও অত্যুষ্ণ অংশকে বলা হয় সূর্যের কেন্দ্র । সূর্যের এই অংশ সূর্যের 25% অংশ জুড়ে রয়েছে যা প্রায় 1000 পৃথিবীর আয়তনের সমান । এই অংশের ঘনত্ব সিসার ঘনত্বের 10 গুণ এবং উষ্ণতা 15.7 মিলিয়ন কেলভিন (15.7 মিলিয়ন ডিগ্রি সেলসিয়াস বা 28 মিলিয়ন ডিগ্রি ফারেনহাইট)। সূর্যের এই অংশ মূলতঃ বৃহদাকার এক চুল্লি (Reactor) বিশেষ ।
বিকিরণ বলয় (Radiative Zone) : সৌর কেন্দ্র থেকে বাইরের দিকে কেন্দ্রের পরবর্তী যে স্তরে হাইড্রোজেন গ্যাস ব্যপক সঙ্গবদ্ধভাবে অবস্থান করে কেন্দ্রে উৎপন্ন শক্তিকে বাইরে নির্গত হতে প্রতিরোধ করে সেই পুরু, ঘন স্তরকে বলা হয় The Radiative Zone । এই স্তর থেকে অলোকরশ্মি নির্গমনের জন্য প্রায় 1,00000 বছর সময় লাগে । সূর্যের প্রায় 45% অংশ জুড়ে এই অংশ অবস্থিত । এই স্তরের উষ্ণতা ক্রম হ্রাসমান ভাবে 7 মিলিয়ন কেলভিন থেকে 2 মিলিয়ন কেলভিন হয়ে থাকে ।
পরিচলন বলয় (Convective Zone) : সৌর কেন্দ্র থেকে বাইরের দিকে তৃতীয় স্তর হল এই স্তর । এই স্তরে উষ্ণ গ্যাসীয় বস্তু স্ফুটন গোলক (Bubbles) আকারে নির্গত হয় এবং আলো ও তাপ বিকিরণ করে শীতল হতে থাকে । সৌর কেন্দ্র থেকে 70 % অংশের পর থেকে এই স্তরের বিস্তার । এই অংশ থেকে Thermal Convection এর মাধ্যমে সূর্যালোক পরিবাহীত হয় ।

☛ সৌর পৃষ্ঠের স্তর : সৌর পৃষ্ঠ তিনটি স্তরে বিভক্ত, যথাঃ অলোকমণ্ডল (Photosphere), বর্ণমণ্ডল (Chromosphere) ও ছটামণ্ডল (Corona) ।
i. অলোকমণ্ডল (Photosphere) : সূর্যের অভ্যন্তরভাগ থেকে বাইরের দিকের প্রথম স্তর যেটিকে আমরা উজ্জ্বল হলুদ রঙের ক্ষেত্র হিসাবে দেখতে পাই সেই অংশটিকে বলা হয় অলোকমণ্ডল। সূর্যের এই অংশ প্রায় 400 কিঃমিঃ পুরু এবং এই অংশের উষ্ণতা প্রায় 6,000 ক্যালভিন (5,700°C বা 10,300°F) ।
সূর্যের এই অংশে Granules, Sunspots, Solar Flares, Coronal Mass Ejections, Solar Prominences এবং Solar Cycle ইত্যাদি বিষয়গুলি সংঘটিত হয় ।
ii. বর্ণমণ্ডল (Chromosphere) : সূর্যের অলোক মণ্ডলের বাইরের দিকের গোলাপী-লাল বর্ণের যে অংশে অত্যুষ্ণ গ্যাসের ছন্দবদ্ধ আন্দোলন সংঘটিত হয় সেই অংশকে বলা হয় বর্ণমণ্ডল । এই অংশটিপ্রায় 2,000 কিলোমিটার (1,250 মাইল) পুরু । সূর্যের এই অংশে উষ্ণতার ক্রমবর্ধমান অবস্থা পরিলক্ষিত হয় । অলোকমণ্ডল ও বর্ণমণ্ডলের সংযুক্তি অংশে উষ্ণতা থাকে প্রায় 4,400 k (4,100°C, 7,500°F) এবং বর্ণমণ্ডলের বহিঃ দিকে এই উষ্ণতা ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়ে একেবারে বহিঃ অঞ্চলে উষ্ণতা হয় 25,000 k (25,000°C, 45,000°F) । এই উষ্ণতা পরবর্তী স্তরে পৌঁছাতে পৌঁছাতে 1 মিলিয়ন কেলভিন (1 মিলিয়ন °C, 1.8 মিলিয়ন °F) এ পৌঁছায় ।
iii. ছটামণ্ডল (Corona) : সূর্যের একেবারে বহিঃ অঞ্চল হল ছটা মণ্ডল । এই অংশে সূর্যের উষ্ণতা থাকে প্রায় 1 মিলিয়ন কেলভিন । এই উষ্ণতায় গ্যাসীয় পদার্থ জ্বাজল্যমান অবস্থায় 145 কিঃমিঃ (90 মাইল) প্রতি সেকেন্ড গতিতে শিখা আকারে নির্গত হয় । কিছু ক্ষেত্রে এই নির্গমন গতি 400 কিঃমিঃ (249 মাইল) প্রতি সেকেন্ড হয়ে থাকে ।


SLST Geography হোক বা PSC Geography প্রত্যেক ক্ষেত্রে সিলেবাস অনুযায়ী টপিক ধরে ধরে সম্পূর্ণ ডিটেলস আলোচনাভিত্তিক স্টাডি ম্যাটেরিয়ালস পেতে প্রয়োজন অনুযায়ী নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন

➣ SLST Geography : IX-X

➣ SLST Geography : XI-XII

➮ PSC Geo Study Materials

☛ সৌর বিকিরণ বা সূর্য রশ্মির তাপীয় ফল (Solar Insolation) : সূর্যের বাইরের অংশের উষ্ণতা (6000° সেন্টিগ্রেড) র প্রায় 200 কোটি ভাগের মাত্র 1 ভাগ অতি ক্ষুদ্র তড়িৎ চৌম্বক তরঙ্গ (দৈর্ঘ্য <0.4 মাইক্রন) রূপে সেকেন্ডে প্রায় 2,97,600 কিমি বা 1,86,000 মাইল বেগে পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে বা পৃথিবী পৃষ্ঠে পৌঁছায় তাকে সৌর বিকিরণ বলে ।
আমেরিকান ভূগোলবিদ ত্রিবার্থা (Glenn Thomas Trewartha) এর মতে “The radiant energy received from the sun, transmitted in a form analogs to shortwaves and travelling at the rate of 1,86000 mile a second is called solar radiation or insolation”।
সৌরবিকিরণ মূলতঃ i. পাইরানোমিটার (Pyranometers), ii. পাইরোলিওমিটার (Pyrhelimeters), iii. ডিফিউসোগ্রাফ (Diffusography) ইত্যাদি যন্ত্রের সাহায্যে পরিমাপ করা হয় ।
সূর্যরশ্মির তাপীয় ফলের নিয়ন্ত্রক : সূর্যরশ্মির তাপীয় ফলের নিয়ন্ত্রকগুলি হলঃ i. সৌর ধ্রুবক, ii. সৌর কলঙ্ক, iii. সৌর ঝড়, iv. সূর্যরশ্মির পতন কোণ, v. পৃথিবী ও সূর্যের দূরত্ব, vi. বায়ুমণ্ডলের স্বচ্ছতা ইত্যাদি ।

☛ সৌর ধ্রুবক বা সৌর স্থিরাঙ্ক (Solar Constant) : বায়ুমণ্ডলের বহিঃপ্রান্তে প্রতি 1 বর্গ সেমি এলাকায় প্রতি মিনিটে সৌরবিকিরণের যতটুকু অংশ লম্বভাবে পতিত হয়, তাকে সৌর ধ্রুবক বা সৌর স্থিরাঙ্ক (Solar Constant) বলে। সৌর ধ্রুবককে ল্যাংলি (Langley) এককে প্রকাশ করা হয়। সৌর ধ্রুবকের নির্ণীত পরিমাণ 1.94 – 2.04 Langley; 1 Langley = প্রতি বর্গ সেমিতে 1 ক্যালরি তাপ (cal/cm²)। বর্তমান কালে উপগ্রহ দ্বারা নির্ণীত সৌর ধ্রুবকের এর মান 1368 Wm-2 । সৌর ধ্রুবক অক্ষাংশগত পার্থক্য, দিনের সময়সীমার হ্রাস-বৃদ্ধি, সৌর বিস্ফোরণ প্রভূতি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। প্রতি 11 বছরে সৌর কলঙ্কের ফলে সৌর তাপীয় ফলের হ্রাস বৃদ্ধি ঘটে ।

☛ সৌর কলঙ্ক (Sunspot) : সূর্য পৃষ্ঠে উপস্থিত বিভিন্ন আকৃতির কালো কালো দৃশ্যমান দাগকে সৌর কলঙ্ক বলে । এগুলি 16 কিঃমিঃ থেকে 16 লাখ কিঃমিঃ ব্যাসার্ধের হয়ে থাকে এবং সূর্যের অন্যান্য অংশ থেকে প্রায় 5,500 ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড কম উষ্ণ । 1848 সালে সুইস অ্যাস্ট্রোনোমার রুডলফ (Johnan Rudelf Wolf) সৌর কলঙ্ক গণনার ধারণা প্রদান করেন । 1893 সালের পর সৌর কলঙ্ক গণনা শুরু হয় ।
ইনসোলেশনের ওপর সৌর কলঙ্কর প্রভাব : প্রতি 11 বছরে সৌরকলঙ্কের সংখ্যা সর্বাধিক হয়। এর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে সৌর বিকিরণের পরিমাণ হ্রাস পায় ফলে সূর্যরশ্মির তাপীয় ফলের পরিমাণও হ্রাস পায়। অন্যদিকে সৌরকলঙ্কের সংখ্যা হ্রাস পেলে সৌর বিকিরণের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভূপৃষ্ঠের সূর্য রশ্মির তাপীয় ফলের পরিমাণও বৃদ্ধি পায়।

☛ সূর্যরশ্মির পতন কোণ ও সূর্যরশ্মির তাপীয় ফল : সূর্যরশ্মির তাপীয় ফলের ক্ষেত্রে সূর্য রশ্মির পতনকোণ এবং পর্যবেক্ষণ স্থান থেকে ভূপৃষ্ঠের স্পর্শকের ছেদবিন্দু গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করে। তির্যক সূর্যরশ্মি অপেক্ষা লম্ব সূর্যরশ্মিতে সূর্যরশ্মির তাপীয় ফলের পরিমাণ অধিক হয়।

☛ সৌর ঝড় (Solar Storm) : সৌর ঝড় বলতে বোঝায় সূর্যের কার্যকলাপের ব্যাঘাতকে যা পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র, বায়ুমণ্ডল এবং প্রযুক্তিগত ব্যবস্থার উপর প্রভাব ফেলতে সক্ষম । সৌর শিখা বা করোনাল ভর নির্গমন (CME) এর সময় সূর্য প্রচুর পরিমাণে শক্তি নির্গত করলে তা মহাকাশে ছড়িয়ে পড়ে সৌর ঝড় সৃষ্টি করে ।

সৌর ঝড়ের প্রকার: সৌর ঝড় প্রধানত তিন প্রকারের হয়ে থাকে, যথাঃ i. সৌর অগ্নিশিখা, ii. করোনাল ভর নির্গমন ও iii. সৌর বায়ু ।

➣ PSC GEO MCQ SERIES
i. সৌর অগ্নিশিখা (Solar Flares) : সৌর কলঙ্ক তৈরির প্রক্রিয়াকালে ছটামণ্ডল ও সূর্যের অভ্যন্তরের মধ্যে একটি সংযোগ পথ তৈরি হয় । এই পথে সৌর পদার্থগুলির আন্দোলিতভাবে বাইরে দিকে নির্গমনের প্রক্রিয়াকে সৌর শিখা বলা হয় । এই প্রক্রিয়া মাত্র কয়েক মিনিট চলে এবং এই সময়কালে এই পদ্ধতিতে সৌর কেন্দ্র থেকে 160 বিলিয়ন মেগাটন TRINITROTOLUENE (TNT) নির্গত হয়ে থাকে ।
সৌর অগ্নিশিখাগুলিকে তাদের এক্স-রে শক্তি উৎপাদনের উপর ভিত্তি করে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়, যেখানে X-শ্রেণীর অগ্নিশিখা সবচেয়ে শক্তিশালী । C-শ্রেণীর অগ্নিশিখা (C-class flares) : ক্ষুদ্র, পৃথিবীতে এর প্রভাব ন্যূনতম। M-শ্রেণীর অগ্নিশিখা (M-class flares) : মাঝারি, যোগাযোগ ব্যবস্থায় সামান্য ব্যাঘাত ঘটাতে সক্ষম। X-শ্রেণীর অগ্নিশিখা (X-class flares) : শক্তিশালী, যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং পাওয়ার গ্রিডে উল্লেখযোগ্য ব্যাঘাত ঘটাতে সক্ষম। 2017 সালের 6ই সেপ্টেম্বর, একটি শক্তিশালী X17 ফ্লেয়ারের ফলে পৃথিবীতে যোগাযোগ ব্যবস্থা ও জিপিএসে ব্যাঘাত ঘটে।

ii. করোনাল ভর নির্গমন (Coronal Mass Ejections : CMEs) : সৌর চুম্বকীয় ক্ষেত্রে স্থির সঞ্চালনের মাঝে কোনরকম অস্থিরতার প্রভাবে যে প্রক্রিয়া সংঘটিত হয় তাকে বলা হয় করোনাল ভর নির্গমন । মূলতঃ সৌর কলঙ্ক যুক্ত অঞ্চলে এই ঘটনা ঘটে থাকে । এই ঘটনা সূর্যের করোনা থেকে প্লাজমা এবং চৌম্বক ক্ষেত্রের বৃহৎ বহির্গমন, যা পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের সাথে যোগাযোগ করতে পারে। “সিএমই 3,000 কিমি/সেকেন্ড (1,864 মাইল/সেকেন্ড) গতিতে ভ্রমণ করতে পারে, যা 18-36 ঘন্টার মধ্যে পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রকে প্রভাবিত করে।” “সিএমই ভূ-চৌম্বকীয় ঝড় সৃষ্টি করতে পারে, যোগাযোগ ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ গ্রিড এবং উপগ্রহ কার্যক্রম ব্যাহত করতে পারে। 2012 সালের 23শে জুলাই সংঘটিত একটি সিএমই হয়েছিল ।

iii. সৌর বায়ু (Solar Wind) : সৌর বায়ু হল সূর্য দ্বারা নির্গত চার্জযুক্ত কণার একটি প্রবাহ, যা পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের সাথে মিথস্ক্রিয়া করার সময় ভূ-চৌম্বকীয় ঝড় সৃষ্টি করতে সক্ষম । সৌর বায়ুর গতি 400 থেকে 800 কিমি/সেকেন্ড পর্যন্ত পরিবর্তিত হতে পারে। সৌর বায়ু ভূ-চৌম্বকীয় ঝড় সৃষ্টি করতে, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও উপগ্রহ কার্যক্রম ব্যাহত করতে সক্ষম। 2017 সালে একটি উচ্চ-গতির সৌর বায়ু প্রবাহ লক্ষ্য করা যায়, যার ফলে সৃষ্ট ভূ-চৌম্বকীয় ঝড় পৃথিবীর যোগাযোগ ব্যবস্থা ও উপগ্রহ কার্যক্রমকে ব্যাহত করে।

➣ Upper Primary TET Syllabus

☛ সৌর ঝড়ের প্রভাব: সৌর ঝড়ের প্রভাবে i. যোগাযোগ ও নেভিগেশন সিস্টেমে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়, যেমনঃ রেডিও ব্ল্যাকআউট: সৌর ঝড় রেডিও ব্ল্যাকআউটের কারণ হতে পারে, যা রেডিও তরঙ্গের উপর নির্ভরশীল যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ব্যাহত করে। স্যাটেলাইট ট্রান্সমিশন: সৌর ঝড় স্যাটেলাইট ট্রান্সমিশনে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে, যার ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং নেভিগেশন সিস্টেমে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। GPS ব্যাঘাত: সৌর ঝড় GPS সিস্টেমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে, যা নেভিগেশন এবং সময় ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করে। 2011 সালে একটি সৌর ঝড় 20 মিনিটের GPS বিভ্রাটের কারণ হয়েছিল, যা বিমানের নেভিগেশন সিস্টেমকে প্রভাবিত করেছিল।
ii. পাওয়ার গ্রিডের ব্যাঘাত : ভূ-চৌম্বকীয়ভাবে প্ররোচিত স্রোত (Geomagnetically Induced Currents : GICs): ভূ-চৌম্বকীয় ঝড় পাওয়ার গ্রিডগুলিতে স্রোত সৃষ্টি করতে পারে, যার ফলে সম্ভাব্যভাবে ব্ল্যাকআউট এবং সরঞ্জামের ক্ষতি হতে পারে। পাওয়ার গ্রিডের ক্ষতি: GICs ট্রান্সফরমারের ক্ষতি করতে পারে, যার ফলে ব্যয়বহুল মেরামত এবং সম্ভাব্য বিদ্যুৎ বিভ্রাট হতে পারে। 1989 সালে কানাডার কুইবেকে 9 ঘন্টার ব্ল্যাকআউটের কারণ হয়েছিল, যার ফলে 60 লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
iii. বর্ধিত বিকিরণ ঝুঁকি : সৌর ঝড় মহাকাশে বিকিরণের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়ে মহাকাশচারী ও উপগ্রহ পরিচালনার জন্য ঝুঁকি তৈরি করতে সক্ষম । মহাকাশচারীদের নিরাপত্তা: বর্ধিত বিকিরণ এক্সপোজার দীর্ঘমেয়াদী মহাকাশ অভিযানের ক্ষেত্রে মহাকাশচারীদের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি তৈরি করতে সক্ষম । নভোচারীদের বিকিরণ এক্সপোজার কমাতে সৌর ঝড়ের সময় আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে আশ্রয় নিতে হতে পারে।
iv. দর্শনীয় অরোরা প্রদর্শন : সৌর ঝড় নিম্ন অক্ষাংশে খালি চোখে দৃশ্যমান দর্শনীয় অরোরা প্রদর্শন করতে পারে এবং অরোরা কার্যকলাপ বৃদ্ধি করতেও সক্ষম । 2013 সালে সৃষ্ট একটি সৌর ঝড় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ অংশ জুড়ে দর্শনীয় অরোরা প্রদর্শনের সৃষ্টি করেছিল।


SLST Geography 50 Set Mock Test Series 

[আপনার প্রস্তুতি ঠিক পথে চলছে কি না তা বুঝতে  মক টেস্ট আরম্ভ করে এগিয়ে থাকতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুনঃ]

➣ SSC SLST GEOGRAPHY MOCK TEST SERIES : IX-X

➣ SSC SLST GEOGRAPHY MOCK TEST SERIES : XI-XII

☛ পর্যবেক্ষণ ও প্রস্তুতি : NASA ও NOAA সম্ভাব্য সৌর ঝড়ের পূর্বাভাস এবং প্রস্তুতি নিতে সৌর কার্যকলাপ ক্রমাগত পর্যবেক্ষণ করে। এছাড়া মহাকাশ আবহাওয়া পূর্বাভাস কেন্দ্র (Space Weather Prediction Center : SWPC): সৌর ঝড় এবং তাদের সম্ভাব্য প্রভাবের জন্য সতর্কতা ও পূর্বাভাস প্রদান করে।
☛ সাম্প্রতিক উদাহরণ : ক্যারিংটন ইভেন্ট (Carrington Event : 1859) : একটি বিশাল সৌর ঝড় যা পৃথিবী পৃষ্ঠে টেলিগ্রাফ সিস্টেমের ব্যাপক ক্ষতি করে এবং আগুনের সূত্রপাত করে। হ্যালোইন ঝড় (Halloween Storms : 2003): 2003 সালের এই ধারাবাহিক সৌর ঝড়ের কারণে বেশ কয়েকটি দেশে বিদ্যুৎ বিভ্রাট এবং যোগাযোগ বিঘ্নিত হয়।

☛ দিনের দৈর্ঘ্য ও ইনসোলেশন : পৃথিবীর যে স্থানে দিনের দৈর্ঘ্য যত বেশি হবে সূর্যরশ্মির তাপীয় ফলের পরিমাণ ততই বেশি হবে। অক্ষাংশ যত বাড়ে দিনের দৈর্ঘ্য তত বাড়ে এবং বাড়তে বাড়তে 90 ডিগ্রি অক্ষাংশে প্রায় ছয় মাস দিন হয়।
অক্ষাংশ অনুযায়ী সৌর বিকিরণ এর দীর্ঘতম সম্ভাব্য  সময়কাল

অক্ষাংশ      সময়কাল: 
0°            12h
17°           13h
41°           15h
49°            16h
63°            20h
66°30′       24h
67°21′       1 মাস
90°            6 মাস

☛ পৃথিবী ও সূর্যের মধ্যে দূরত্ব এবং ইনসোলেশন : উপবৃত্তাকার কক্ষপথে পৃথিবী সূর্যকে কেন্দ্র করে পরিক্রমণ করায় পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব সারাবছর একরকম থাকেনা। স্বাভাবিকভাবে দূরত্ব কম হলে বা পৃথিবীর অনুসূর অবস্থানে ইনসোলেশন বেশি হয়। অন্যদিকে পৃথিবীর অপসূর অবস্থানে ইনসোলেশন কম হয়।
☛ বায়ুমণ্ডলের স্বচ্ছতা ও ইনসোলেশন : স্বচ্ছ ও পরিস্কার আবহাওয়া থাকলে ইনসোলেশন বেশি হয়। অন্যদিকে বায়ুমণ্ডলে ধূলিকণা, মেঘ প্রভূতি থাকলে সূর্যরশ্মি প্রতিফলিত হয় ফলে ইনসোলেশন কম হয়।


➣ MGI Upper Primary TET Study Materials

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page