SLST Geography

SLST Geography Mountain Building

SLST Geography Mountain Building

WB SSC SLST এর বিজ্ঞপ্তি শুধু সময়ের অপেক্ষা । অনেকেই আরম্ভ করে দিয়েছেন প্রস্তুতি । কেনোই বা আরম্ভ করবেন না । চরম প্রতিযোগিতাপূর্ণ ক্ষেত্রে চুপিসারে প্রস্তুতি নিয়ে নিজেকে যতোটা এগিয়ে রাখা যায় ততই নিজের লাভ । অনেকেই আবার অপেক্ষা করছেন বিজ্ঞপ্তির জন্য । বিজ্ঞপ্তি বেরোলে আরম্ভ করবো এই মনোভাব কিন্তু আপনাকে অনেকটাই পিছিয়ে নিয়ে যেতে পারে । তাই টপিক ধরে ধরে এক্ষুনি আরম্ভ করুন প্রস্তুতি । আপনার প্রস্তুতি কে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমাদের SLST Geography বিভাগে নিয়মিত নজর রাখুন । আমরা নিরন্তর মক টেস্ট ও টপিক আলোচনা করে চলেছি । এখন আমরা SLST Geography Mountain Building নামক পোস্টে Mountain Building নামক টপিকটি বিশদে আলোচনা করবো ।


পর্বত সৃষ্টি (Mountain Building)

[প্রথম অংশ]

☛ প্রাককথন : পর্বত সৃষ্টির ধারণা (Concept of Mountain Building) বা অরোজেনেসিস (Orogenesis) এর একটি সমৃদ্ধ পটভূমি রয়েছে যা শতাব্দী ধরে বিস্তৃত। প্রাচীন দার্শনিক চিন্তাভাবনা থেকে শুরু করে আধুনিক পাত সংস্থান তত্ত্ব পর্যন্ত এই জটিল ভূতাত্ত্বিক প্রক্রিয়া সম্পর্কে আমাদের বোধগম্যতা উল্লেখযোগ্যভাবে বিকশিত হয়েছে। এই ভূতাত্ত্বিক ধারণার প্রেক্ষাপট অনুসন্ধান করলে দেখা যায় প্রাচীনকালে, অ্যারিস্টটল (384-322 খ্রিস্টপূর্বাব্দ) এবং স্ট্রাবো (63 খ্রিস্টপূর্বাব্দ-24 খ্রিস্টাব্দ) এর মতো দার্শনিকরা পর্বতের গঠন নিয়ে চিন্তাভাবনা করেছিলেন এবং পৃথিবীর পৃষ্ঠ গঠনে ক্ষয় ও উত্থানের ভূমিকা স্বীকার করেছিলেন। তবে, সপ্তদশ ও অষ্টাদশ শতাব্দীর আগে জেমস হাটন (1726-1797) ও চার্লস লায়েল (1797-1875) এর মতো বিজ্ঞানীরা আধুনিক ভূতত্ত্বের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন, যার মধ্যে পর্বত সৃষ্টি প্রক্রিয়াগুলির অধ্যয়নও অন্তর্ভুক্ত ছিল। হাটনের অভিন্নতাবাদের তত্ত্ব (Hutton’s Theory of Uniformitarianism) তে প্রস্তাব প্রস্তাব করা হয় ‘ভূতাত্ত্বিক প্রক্রিয়াগুলি দীর্ঘ সময় ধরে ধীরে ধীরে ঘটে’, যা পর্বত সৃষ্টি সম্পর্কে আমাদের বোধগম্যতায় একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন চিহ্নিত করে।
অষ্টাদশ ও ঊনবিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে ভূতাত্ত্বিক তত্ত্বের (Geological Theories) বিকাশ পর্বত সৃষ্টি প্রক্রিয়া সম্পর্কে আমাদের ধারণার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অষ্টাদশ ও ঊনবিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে জনপ্রিয় তত্ত্ব, বিপর্যয় (Catastrophism) পর্বত গঠনকে আকস্মিক, বিপর্যয়কর ঘটনাগুলির জন্য দায়ী বলে অভিহিত করে। ক্যাটাস্ট্রোফিজমের সমর্থকরা বিশ্বাস করতেন যে পৃথিবীর পৃষ্ঠ ভূমিকম্প, বন্যা ও আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের মতো হিংসাত্মক, স্বল্পস্থায়ী ঘটনা দ্বারা গঠিত হয়েছিল। এই তত্ত্বের সাময়িক কিছু প্রভাব থাকা সত্ত্বেও এটি শেষ পর্যন্ত আরও ব্যাপক ব্যাখ্যা দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছিল। পর্বত সৃষ্টি প্রক্রিয়ার জটিলতা ও স্কেল ব্যাখ্যা করার অক্ষমতার মধ্যে ক্যাটাস্ট্রোফিজম তত্ত্ব সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে । বিপরীতে, জেমস হাটন দ্বারা বিকশিত একরূপতাবাদ (Uniformitarianism) এ প্রস্তাব করা হয় যে, পর্বত সৃষ্টি সহ ভূতাত্ত্বিক প্রক্রিয়াগুলি দীর্ঘ সময় ধরে ধীরে ধীরে ঘটে। এই তত্ত্বটি দাবি করে যে লক্ষ লক্ষ বছর ধরে ঘটমান ধীর, ক্রমাগত প্রক্রিয়া, যেমন ক্ষয় ও জমাট বাঁধার দ্বারা পৃথিবী পৃষ্ঠ গঠিত। পর্বত সৃষ্টি সম্পর্কে আমাদের ধারণার ক্ষেত্রে একরূপতাবাদ উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এনেছে, যা পৃথিবীর পৃষ্ঠ গঠনে ধীরে ধীরে প্রক্রিয়াগুলির গুরুত্ব তুলে ধরেছে। ঊনবিংশ শতাব্দীতে জনপ্রিয় সংকোচনশীল পৃথিবী তত্ত্বটি (The Contracting Earth theory) পর্বত গঠনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করে । এই তত্ত্ব অনুসারে, পৃথিবী ঠান্ডা হওয়ার সাথে সাথে এটি সংকুচিত হয়ে যায়, যার ফলে ভূত্বক ভাঁজ হয়ে পর্বত সৃষ্টি হয়। এই তত্ত্বের কিছু সুবিধা থাকা সত্ত্বেও তত্ত্বটি পরবর্তী সময়ে আধুনিক ব্যাখ্যা দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়।
বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে পাত সংস্থান তত্ত্বের (Plate Techtonic Theory) বিকাশের সাথে সাথে পর্বত সৃষ্টি সম্পর্কে আমাদের ধারণায় আমূল পরিবর্তন ঘটে । এই যুগান্তকারী ধারণাটি পৃথিবীর পৃষ্ঠ গঠনে পাতের চলাচল ও মিথস্ক্রিয়ার ভূমিকা তুলে ধরে। পাত সংস্থান্স হিমালয়, আন্দিজ এবং রকি পর্বতমালা সহ বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন পর্বতশ্রেণীর গঠনের জন্য একটি ঐক্যবদ্ধ ব্যাখ্যা প্রদান করেছে।
বর্তমান সময়কালে, ভূতাত্ত্বিক ও ভূ-ভৌতিক গবেষণায় অগ্রগতি পর্বত সৃষ্টি প্রক্রিয়া সম্পর্কে আমাদের ধারণাকে আরও পরিমার্জিত করে চলেছে। আমরা স্বীকার করি যে ভূগাঠনিক বল, রূপান্তর ও ক্ষয় পৃথিবীর পৃষ্ঠ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পর্বত সৃষ্টির অধ্যয়ন পৃথিবীর ভূতাত্ত্বিক ইতিহাস সম্পর্কে আরও বৃহত্তর ধারণা অর্জনের দিকে পরিচালিত করেছে, যার মধ্যে রয়েছে মহাদেশ, মহাসাগর ও ভূদৃশ্যের গঠন।

☛ সংজ্ঞা : অরোজেনেসিস বলতে সেই ভূতাত্ত্বিক প্রক্রিয়াকে বোঝায় যা ভূগাঠনিক পাত, আগ্নেয়গিরির ক্রিয়াকলাপ এবং অন্যান্য ভূতাত্ত্বিক শক্তির চলাচলের মাধ্যমে পর্বতশ্রেণীর আকৃতি ও গঠন সৃষ্টি করে। এই প্রক্রিয়ায় পৃথিবীর ভূত্বকের বিকৃতি, ভাঁজ, চ্যুতি ও উত্থান জড়িত, যার ফলে জটিল ভূদৃশ্য এবং বিভিন্ন ভূতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য তৈরি হয়।
পর্বত সৃষ্টি বিষয়টিকে বিভিন্ন ভূতাত্ত্বিকদের দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে ‘ভূগাঠনিক পাত আলোড়নের মাধ্যমে পৃথিবীর ভূত্বককে ভাঁজ, ভাঙন ও উত্থানের মাধ্যমে পর্বতশ্রেণী গঠনের প্রক্রিয়া’ হিসাবে । এখানে অরোজেনেসিস সংক্রান্ত বেশ কয়েকজন ভূতাত্ত্বিক সংজ্ঞা ও দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করা হলঃ
➥ হ্যারল্ড জেফ্রিস: জেফ্রিস 1924 সালে প্রকাশিত তার “The Earth: Its Origin, History, and Physical Constitution” বইয়ে ভাঁজ পর্বতমালাকে ‘পৃথিবীর ভূত্বকের বলিরেখা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন যা পৃথিবীর মূল আধা-গলিত অবস্থা থেকে ঠান্ডা হওয়ার সাথে সাথে তৈরি হয়েছিল।
➥ জোলি : জোলি 1925 সালে প্রকাশিত তার “The Surface History of the Earth” বইতে পরামর্শ দিয়েছিলেন যে ‘তেজস্ক্রিয় তাপের কারণে সিম্যাটিক স্তরের পর্যায়ক্রমিক গলন ও দৃঢ়ীকরণ এবং সিয়ালিক স্তরের অবনমন বা উত্থানের ফলে তৈরি হওয়া অনুভূমিক সংকোচন শক্তির প্রভাবে মহাদেশীয় প্রান্তে পলির ভাঁজ, চাপ ও উত্থান ঘটে পর্বত গঠিত হয়’ ।
➥ পাত সংস্থান মডেল (ম্যাককেঞ্জি, ডি. পি. : 1967): এই মডেলটি ধ্বংসাত্মক পাত সীমানায় পাতের অভিসরণ ও সংঘর্ষের মাধ্যমে পর্বত সৃষ্টি সংক্রান্ত ঘটনাবলী ব্যাখ্যা করে, যার ফলে ভঙ্গিল পর্বত, আগ্নেয় পর্বত ও চ্যুতি-স্তুপ পর্বত তৈরি হয়।
➥ জিওসিঙ্ক্লিনাল ওরোজেন তত্ত্ব (কোবের, এল. : 1928): এই তত্ত্বটি জিওসিঙ্ক্লাইন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পর্বত সৃষ্টি ব্যাখ্যা করে । এই তত্ত্ব অনুযায়ী, সংকোচনের বল অনুভূমিক গতি তৈরি করে তাদের জিওসিঙ্ক্লাইনের সাথে সংযুক্ত করে লিথোজেনেসিস, অরোজেনেসিস এবং গ্লিপ্টোজেনেসিসের পর্যায়ে পর্বত গঠন করে।
➥ আর্থার হোমস : হোমস 1944 সালে প্রকাশিত তার “Principles of Physical Geology” বইতে পাত সংস্থান্স এবং পর্বত সৃষ্টির ক্ষেত্রে পৃথিবীর আবরণে তাপীয় পরিচলন স্রোতের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেছেন।

☛ পর্বত সৃষ্টির সাথে জড়িত প্রক্রিয়া: পর্বত সৃষ্টি প্রক্রিয়া বা অরোজেনেসিস, একটি জটিল ভূতাত্ত্বিক প্রক্রিয়া যার মধ্যে বেশ কয়েকটি মূল প্রক্রিয়ার মিথস্ক্রিয়া জড়িত। পর্বত সৃষ্টির সাথে জড়িত কিছু প্রাথমিক প্রক্রিয়া নিম্নরূপ:
✦ অরোজেনেসিস (Orogenesis) : অরোজেনেসিস হল ভূগাঠনিক পাতের মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে পর্বত গঠনের প্রক্রিয়া। এটি একটি জটিল ভূতাত্ত্বিক প্রক্রিয়া যার মধ্যে পৃথিবীর ভূত্বকের বিকৃতি, ভাঁজ ও উত্থান বিষয়গুলো জড়িত। অরোজেনেসিস বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঘটতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে:
i. মহাদেশীয় সংঘর্ষ (Continental Collision): দুটি মহাদেশীয় পাতের সংঘর্ষ, এর ফলে পর্বত তৈরি হয়। উদাহরণস্বরূপ, হিমালয় পর্বতমালা ভারতীয় ও ইউরেশিয়ান পাতের সংঘর্ষের মাধ্যমে গঠিত হয়েছিল।
ii. মহাসাগরীয়-মহাদেশীয় অভিসরণ (Oceanic-Continental Convergence): এক্ষেত্রে কোন মহাসাগরীয় পাত কোন মহাদেশীয় পাতের নীচে অবনমিত হয়ে পর্বত তৈরি করে । উদাহরণস্বরূপ, দক্ষিণ আমেরিকান পাতের নীচে নাজকা পাতের অবনমনের মাধ্যমে আন্দিজ গঠিত হয়েছিল।
iii. আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপ (Volcanic Activity): এক্ষেত্রে ম্যাগমা ভূপৃষ্ঠে উঠে এসে আগ্নেয়গিরি তৈরি হয় । উদাহরণস্বরূপ, হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জ ও মাউন্ট সেন্ট হেলেন্স এর কথা উল্লেখ করা যায় ।

SLST Geography হোক বা PSC Geography প্রত্যেক ক্ষেত্রে সিলেবাস অনুযায়ী টপিক ধরে ধরে এরূপ ডিটেলস আলোচনাভিত্তিক স্টাডি ম্যাটেরিয়ালস পেতে প্রয়োজন অনুযায়ী নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন

➣ SLST Geography : IX-X

➣ SLST Geography : XI-XII

➮ PSC Geo Study Materials

❖ অরোজেনেসিসের পর্যায় (Stages of Orogenesis): পর্বত গঠনের প্রক্রিয়া অরোজেনেসিসকে তিনটি পর্যায়ে ভাগ করা যেতে পারে: প্রাথমিক, প্রধান এবং চূড়ান্ত। প্রতিটি পর্যায় পৃথিবীর পৃষ্ঠ গঠনে এবং জটিল পর্বতশ্রেণী তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
➥ প্রাথমিক পর্যায় (Initial Stage : 50-100 মিলিয়ন বছর আগে): অরোজেনেসিসের প্রাথমিক পর্যায়ে ভূগাঠনিক পাতের মিথস্ক্রিয়া জড়িত, যার ফলে ভাঁজ ও চ্যুতি তৈরি হয়। পাতগুলি মিথস্ক্রিয়া করার সাথে সাথে পৃথিবীর ভূত্বকে চাপ তৈরি হয়, যার ফলে বিকৃতি ও ফাটল তৈরি হয়। এই পর্যায়ে, পর্বতশ্রেণীর ভিত্তি তৈরি হয়, যা আরও উত্থান ও বিকৃতির জন্য পর্যায় তৈরি করে।
➥ প্রধান পর্যায় (Main Stage : 20-50 মিলিয়ন বছর আগে): অরোজেনেসিসের প্রধান পর্যায়ে পৃথিবীর ভূত্বকের ক্রমাগত বিকৃতি ও উত্থান ঘটে, যার ফলে পর্বত তৈরি হয়। এই পর্যায়ে, পর্বতশ্রেণী বৃদ্ধি পায় ও বিকশিত হতে থাকে এবং চলমান ভূগাঠনিক কার্যকলাপ ভূদৃশ্যকে আকৃতি দেয়। প্রধান পর্যায়টি উল্লেখযোগ্য উত্থান ও উত্তোলন দ্বারা চিহ্নিত করা হয়, যা গভীর শিলাগুলিকে উন্মুক্ত করে এবং জটিল ভূতাত্ত্বিক কাঠামো তৈরি করে।
➥ চূড়ান্ত পর্যায় (Final Stage : চলমান): অরোজেনেসিসের চূড়ান্ত পর্যায়ে পর্বতের ক্ষয় ও আবহবিকার জড়িত, যার ফলে একটি স্থিতিশীল ভূদৃশ্য তৈরি হয়। এই পর্যায়ে, পর্বতশ্রেণীটি বায়ু, জল এবং বরফের মতো বাহ্যিক শক্তি দ্বারা আকৃতি লাভ করে, যার ফলে উপত্যকা, শৈলশিরা ও অন্যান্য ভূমিরূপ তৈরি হয়। চূড়ান্ত পর্যায়টি অরোজেনেসিস চক্রের সমাপ্তি চিহ্নিত করে এবং পর্বতশ্রেণী ভূদৃশ্যের একটি স্থিতিশীল অংশ হয়ে ওঠে।

❖ অরোজেনেসিসের উদাহরণ: পর্বত গঠনের প্রক্রিয়া বা অরোজেনেসিস, বিশ্বের অনেক গুরুত্বপূর্ণ পর্বতশ্রেণীকে আকৃতি দিয়েছে। এখানে কিছু উদাহরণ দেওয়া হল:
◈ হিমালয়: হিমালয় পর্বতমালা ভারতীয় ও ইউরেশিয়ান পাতের সংঘর্ষের মাধ্যমে গঠিত হয়েছিল। এই সংঘর্ষ প্রায় 50 মিলিয়ন বছর আগে শুরু হয়েছিল এবং এখনও চলছে, যার ফলে পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশ্রেণী তৈরি হয়েছে।
◈ আন্দিজ পর্বতমালা: দক্ষিণ আমেরিকান পাতের নীচে নাজকা পাতের অধীনস্থ হওয়ার মাধ্যমে আন্দিজ পর্বতমালা গঠিত হয়েছিল। এই প্রক্রিয়াটি প্রায় 30 মিলিয়ন বছর আগে শুরু হয়েছিল এবং এখনও অব্যাহত রয়েছে, যার ফলে আগ্নেয়গিরি ও ভঙ্গিল পর্বতমালার একটি শৃঙ্খল তৈরি হয়েছে।
◈ রকি পর্বতমালা: লারামাইড অরোজেনি চলাকালীন ভূগাঠনিক উত্থান ও আগ্নেয়গিরির ক্রিয়াকলাপের সংমিশ্রণের মাধ্যমে রকি পর্বতমালা গঠিত হয়েছিল।
✦ ভাঁজ ও চ্যুতি (Folding and Faulting): ভাঁজ ও চ্যুতি হল পর্বতমালার আকৃতির বিকৃতির অপরিহার্য প্রক্রিয়া। শিলাস্তর বিভিন্ন ধরণের চাপের শিকার হলে এই প্রক্রিয়াগুলি ঘটে ফলে শিলাস্তরের আকৃতি, আকার ও অবস্থানের পরিবর্তন হয়।
❖ ভাঁজ: সংকোচনমূলক বলের শিকার হয়ে শিলাস্তর বাঁকতে ও বিকৃত হতে শুরু করলে ভাঁজ ঘটে । শিলাস্তরে বিভিন্ন ধরণের ভাঁজ রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে: ঊর্ধ্ব ভঙ্গ (Anticlines): এক্ষত্রে শিলা সংকুচিত হয়ে উপরের দিকে ভাঁজ তৈরি হয়। অধোঃ ভঙ্গ (Synclines): এক্ষত্রে শিলা সংকুচিত হয়ে নিচের দিকে ভাঁজ তৈরি হয়।
উদাহরণ: প্যালিওজোয়িক যুগে ভাঁজ ও চ্যুতির সংমিশ্রণের মাধ্যমে অ্যাপালাশিয়ান পর্বতমালা গঠিত হয়েছিল।

SLST Geography Mock Test Series 

➣ SSC SLST GEOGRAPHY MOCK TEST SERIES : IX-X

➣ SSC SLST GEOGRAPHY MOCK TEST SERIES : XI-XII

❖ চ্যুতি: চাপের প্রভাবে শিলাস্তর ভেঙে গিয়ে ফ্র্যাকচার বরাবর সরে গেলে তাকে চ্যুতি বলে । বিভিন্ন ধরণের চ্যুতি রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:
সাধারণ চ্যুতি (Normal Faults): শিলাস্তরকে টেনে আলাদা করার সময় যে চ্যুতি তৈরি হয়। বিপরীত চ্যুতি (Reverse Faults): শিলা সংকুচিত হলে যে চ্যুতি তৈরি হয়। ণতি-স্খলন চ্যুতি (Strike-Slip Faults) : শিলাস্তর একে অপরের উপর দিয়ে অনুভূমিকভাবে পিছলে গেলে যে চ্যুতিগুলি তৈরি হয়।
উদাহরণ: ক্যালিফোর্নিয়ার সান আন্দ্রেয়াস চ্যুতি ণতি-স্খলন চ্যুতিের একটি বিখ্যাত উদাহরণ। ➣ Next Part


➣ New Published : উচ্চ মাধ্যমিক ভূগোল নির্যাস [দ্বাদশ; তৃতীয় সেমিস্টার]

⟽ Previous Post : SLST Geo MCQ


 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page